467
Published on নভেম্বর 9, 2022সোমবার (৭ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ আয়োজিত ‘৭ নভেম্বর : মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবসের প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে-অকারণে যারা হত্যা করেছেন তাদেরও বিচার বাংলার মাটিতে হবে। সেই বিচারটি আমরা বাংলার মাটিতে দেখতে পাব বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি আরও বলেন, কথায় কথায় মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা, তাদের একটি বিরূপ অবস্থানে দাঁড় করানো, এই ষড়যন্ত্র, এই রক্তের হোলি খেলা যারা করছেন তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এজন্য একটা তদন্ত কমিটি হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেন, জিয়াকে অনেকে মুক্তিযোদ্ধা মনে করে। আমি মনে করি, জিয়া পাকিস্তানিদের পক্ষ থেকে অনুপ্রবেশকারী ছিল। জিয়ার নেতৃত্বে স্বাধীনতা বিরোধীরা এদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চেয়েছে। এজন্য তারা ধরে ধরে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে এবং করতে চেষ্টা করেছে। কাজেই জিয়াকে মরণোত্তর বিচারের আওতায় আনতে কমিশন গঠন করা হোক।
আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, ১৯৭৫ সালে ৭ নভেম্বর পর থেকে স্বাধীনতা বিরোধীরা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংসকারীরা বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করেছে। কিন্তু তাদের দিবসে ঢাকা শহরের গুটি কয়েক মানুষ ছাড়া আর কেউ ছিল না। তাহলে এটা বিপ্লব ও সংহতি দিবস হলো কিভাবে? তবে এক জায়গায় তাদের এই বিপ্লব ও সংহতি দিবস ঠিক আছে, সেটা হচ্ছে -একাত্তরের খুনিদের সাথে পঁচাত্তরের খুনিদের সংহতি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, পৃথিবীতে যেসব নিকৃষ্ট হত্যাকাণ্ড ঘটেছে জিয়ার নেতৃত্বে ১৯৭৭ সালে এইরকম একটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আর খুনি জিয়া রাজত্ব শুরু করেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে। তার পাকিস্তানি প্রভুদের প্ররোচনায় সে ২৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডসহ আরও নানা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফেরাতে সে এসব হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম হেলাল মোর্শেদ খান বীরবিক্রম, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীরবিক্রমের কন্যা ও সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীরউত্তমের কন্যা মাহজাবিন খালেদ, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম, সশস্ত্র বাহিনীতে হত্যাকাণ্ড নিয়ে গবেষক আনোয়ার কবির প্রমুখ।