বিজ্ঞান ও মেধাভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় মানুষকে বোকা বানানো সম্ভব না

850

Published on মার্চ 15, 2022
  • Details Image

আমরা চাই একটা বিজ্ঞান ও মেধাভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা। এই সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের জন্য সর্বপ্রথমে দরকার যুক্তিনির্ভর পরিবেশ ও মন-মানসিবকতা। চিন্তু-ভাবনায় বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হতে হবে। গবেষণামূলক মতবাদে আমাদের বিশ্বাস আনতে হবে। গবেষণামূলক বই ছাপাতে হবে এবং পড়তে হবে তাহলেই আমাদের উন্নতি হবে, আমরা সভ্যতার বিকাশ ঘটাতে পারব। যুক্তিনির্ভর পরিবেশ সৃষ্টি হলে সাধারণ মানুষের উপর সমাজের প্রভাবশালী উচ্চশ্রেণীর কর্তাদের কতৃত্ব কমে যাবে। কুসংস্কার থেকে মানুষ মুক্তি পাবে। সাম্প্রদায়িক শক্তি আর মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। আমাদের সম্প্রীতির বাংলাদেশে ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করতে পারবে না, পারবে না ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টি করতে। মানুষকে তখন আজগুবি কথায় কেউ বিশ্বাস করাতে পারবে না। বিজ্ঞান ও মেধাভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা সৃষ্টি হলে মানুষকে বোকা বানানো সম্ভব না। আজ ১৫ মার্চ অমর একুশে বইমেলায় নজরুল মঞ্চে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রকাশনা “বিপ্লব ও মানবিকতা” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন-যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। এর আগে বাদ যোহর যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি’র সহধর্মিনী শহীদ আরজু মণি সেরনিয়াবাত-এর ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

“বিপ্লব ও মানবিকতা” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন-বিপ্লব ও মানবিকতা সরলীকরণ করলে “বিপ্লব” শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় আত্মসচেতন পরিবর্তন। বিভিন্ন ধরণের বিপ্লব আছে। নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের সহ¯্র বিপ্লবও আছে আবার গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলনও এক ধরণের বিপ্লব। “বিপ্লব ও মানবিকতা” শিরনামের পিছনে আমাদের যেই চিন্তাটা কাজ করেছে, সেটা হল: রাজনীতির গুনগতমানের পরিবর্তনের জন্য আমরা ২০১৯ সাল থেকে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। এই লক্ষ্যে আমরা যেই পন্থা অবলম্বন করেছি সেটা হচ্ছে মানবিক পন্থা আমরা রাজনীতির মৌলিক নীতিতে ফেরত যেতে চেষ্টা করছি যেমন সেবামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে শীতবস্ত্র বিতরণ, খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, বাসস্থান করে দেয়া, টেলিমেডিসিন প্রভৃতি। এই গ্রন্থটাতে যুবলীগের নেতৃবৃন্দের লেখনীয় মধ্য দিয়ে, আমাদের কাজের কিছু বিবরণ পাবেন যেমন-একই সাথে বিপ্লব ও মানবিকতার তাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক বিশ্লেষণও পাবেন। তবে আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিপ্লবী হচ্ছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। তিনি বাল্যকাল থেকে পরিবর্তনের জন্য সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীর অধিকার আদায়ের জন্য বিপ্লব করে গেছে। তরুণ মুজিব ব্রিটিশ সা¤্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে, পাকিস্তান সৃষ্টির লক্ষ্যে একজন মাঠ পর্যায়ের কর্মী হিসাবে বিপ্লবে অংশ নিয়েছেন। পাকিস্তান সৃষ্টির পর, সেই পাকিস্তানিরা তাঁকে নির্যাতন-শোষণ শুরু করে। ভাষা আন্দোলনে তাঁর বিপ্লবী এবং প্রতিবাদী ভূমিকা এবং পরের ইতিহাস আপনাদের জানা। বিপ্লবের সাথে মানবিকতার যোগসূত্রটা সেখানেই, যেখানে বিপ্লব মানবিক অধিকার আদায়ের জন্য করা হয়।

যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন-১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুজিব বাহিনীর প্রধান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি প্রতিষ্ঠা করেন যুবলীগ। যুবলীগ কি উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা আপনারা জানেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, চারদিকে হায়েনার ছোবল, অসহায় মানুষের উপর নির্যাতন, সবমিলিয়ে সেই সময় যুবশক্তির খুব বেশি প্রয়োজন ছিল। সেই যুবশক্তিকে দেশ গড়ার কাজে নিয়োগের জন্যই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই যুবশক্তির উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যেন স্বাধীনতা বিরোধীরা মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে এবং দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে উদ্ধার করা।

তিনি আরও বলেন-যুবলীগ গণতন্ত্র রক্ষায় সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। রাজনীতির আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি যুবলীগ বিভিন্ন সময়ে মানবিক কার্যাবলীর কারণে মানুষের কাছে বেশি পরিচিতি পেয়েছে। করোনা মহামারির সময় দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিকালে তার স্বাক্ষর রেখেছে যুবলীগ। আর এই কারণেই এই গ্রন্থটির নামকরণ করা হয়েছে “বিপ্লব ও মানবিকতা”। আপনারা বই পড়বেন, বই পড়তে মানুষকে উৎসাহ দিবেন।

বিপ্লব ও মানবিকতা গ্রন্থটির সম্পাদক ও প্রকাশক শেখ ফজলে শামস্ পরশ, নির্বাহী সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সম্পাদনা সহযোগী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জহুরুল ইসলাম মিল্টন, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এ্যাড. নবীরুজ্জামান বাবু। বইটির শুভেচ্ছা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫০ টাকা। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ সুইডিশ ভাষায় রূপান্তর করাসহ আরো দুইটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ নবী নেওয়াজ, মোঃ এনামুল হক খান, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মোঃ রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ হেলাল উদ্দিন, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জহুরুল ইসলাম মিল্টন, অর্থ সম্পাদক মোঃ শাহাদাত হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শামছুল আলক অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডাঃ মোঃ ফরিদ রায়হান, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক এ্যাড. মোঃ হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবদুল মুকিত চৌধুরী, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, মহিলা সম্পাদক এ্যাড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা প্রকাশনা সম্পাদক এ্যাড. শেখ মোঃ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রাশেদুল হাসান সুপ্ত, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী স্মরণ, উপ-স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডাঃ মাহফুজুর রহমান উজ্জল, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আবদুর রহমান, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামছুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-কৃষি ও সমবায় সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণা বৈদ্য, উপ-মহিলা সম্পাদক সৈয়দ সানজিদা শারমীন, সহ-সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান উজ্জল, মোঃ রাজু আহমেদ, মোঃ মাইদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান, জামিল আহমেদ, মোঃ আবদুর রহমান জীবন, নাজমুল হুদা ওয়ারেছী চঞ্চল, মোঃ আরিফুল ইসলাম, মোঃ আলমগীর হোসেন শাহ জয়, মোঃ বাবলুর রহমান বাবলু, আহতাসামুল হাসান ভূইয়া রুমি, মোঃ রাশেদুল ইসলাম সাফিন, মোঃ আবু রায়হান রুবেল, সাইফুল ইসলাম সাইফ, মোঃ মনিরুজ্জামান পিন্টু, কার্যনির্বাহী সদস্য এ কে এম মহিউদ্দিন খোকা মজুমদার, সরদার মোহাম্মদ আলী মিন্টু, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, এ্যাড. এম এ কামরুল হাসান খান আসলাম, এ্যাড. মোঃ গোলাম কিবরিয়া, শেখ মাতিন মুসাব্বির সাব্বির, প্রফেসর ড. মোঃ আরশেদ আলী আশিক, আবুল কালাম আজাদ, শাম্মি খান, মোঃ শহিদুল ইসলাম লাকি, রাজু আহমেদ ভিপি মিরান, মোঃ আঃ রহিম ভূইয়া, ইঞ্জি. মোঃ মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, ইঞ্জি. মোঃ আসাদুল্লা তুষার, মানিক লাল ঘোষ, মোঃ নূর হোসেন সৈকত, নুরুল ইসলাম নুরু মিয়া, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমি ফাতেমা, মোঃ তারিক আল মামুন, মোঃ ওলিদ হোসেন, ডাঃ মোঃ আওরঙ্গজেব আরু, এ্যাড. মোঃ সাজেদুর রহমান চৌধুরী বিপ্লব, বিকাশ চন্দ্র হাওলাদার, মোঃ আরিফুল ইসলাম উজ্জলসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত