885
Published on ডিসেম্বর 17, 2021শাহাব উদ্দিন মাহমুদ:
মুক্তিযুদ্ধের চুড়ান্ত পর্বে ৩ ডিসেম্বর বিকেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কলকাতায় এক জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। পৌনে ৬টায় পাকিস্তান বিমানবাহিনী হঠাৎ ভারতের বিমানবাহিনীর স্থাপনাসমূহ ও বিমানবন্দরগুলোতে বোমাবর্ষণ শুরু করে। একই সঙ্গে শুরু হয় সর্বাত্মক যুদ্ধ। নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর বিমান ঘাঁটিতে গঠিত মুক্তিফৌজের ক্ষুদ্র বিমানবাহিনী সক্রিয় করা হয়। মধ্যরাত ঢাকার নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল এবং চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় বিমানের তৈল সংরক্ষণাগারে আকস্মিক আক্রমণের মাধ্যমে বিমান যুদ্ধের সূচনা করে মুক্তিফৌজ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দিল্লী পৌঁছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে বলেন, পাকিস্তান আজ ভারতের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক হামলা চালিয়েছে। এই আক্রমণ ঐক্যবদ্ধভাবেই প্রতিহত করতে হবে। তিনি দেশবাসীকে চরম ত্যাগ স্বীকারে তৈরি হওয়ার আহ্বান জানান। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের জগজিৎ সিং অরোরার অধিনায়কত্বে ঘোষিত হয় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ড। ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনী হলো মিত্রবাহিনী। গভীর রাতেই মিত্রবাহিনী অবরুদ্ধ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মুক্ত এলাকায় অবস্থানরত মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয়। রাতে যশোর, চট্টগ্রাম, তেজগাঁও এবং কুর্মিটোলায় মিত্রবাহিনী বিমান হামলা শুরু করে। সে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধের চুড়ান্ত পর্ব।
ভারত-বাংলাদেশ বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাক অবস্থানগুলোকে ঘিরে ফেলার প্রচেষ্টায় সীমান্তের ৭টি এলাকা দিয়ে প্রচণ্ড আক্রমণ পরিচালনা করে। ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সব রণক্ষেত্রে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর অভিযানে পাকবাহিনী সর্বত্র পিছু হটে। ভারতীয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী বাংলাদেশে পাক বাহিনীর ওপর প্রচণ্ড আক্রমণ চালায়। ভারতীয় বিমান বাহিনীর জঙ্গী বিমানগুলো বারবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, করাচী, চালনা প্রভৃতি এলাকায় সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপর আক্রমণ চালায়। প্রথম রাতের আক্রমণেই পাকিস্তান বিমান বহরের প্রায় অর্ধেক বিমান ধ্বংস হয়ে যায়। ৫ ডিসেম্বর মিত্রশক্তির বিমানবাহিনী ঢাকার আকাশ পুরোপুরি দখল করে নেয়। বাংলাদেশে পাকবাহিনীর প্রায় সব বিমান বিধ্বস্ত হয়ে যায়। সারাদিন ধরে ভারতীয় জঙ্গী বিমানগুলো অবাধে আকাশে উড়ে পাক সামরিক ঘাঁটিগুলোতে প্রচণ্ড আক্রমণ চালায়, অকেজো করে দেয় বিমানবন্দরগুলো।
বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর যৌথ কমান্ডের সফল আক্রমণে সাবমেরিন গাজী ধ্বংস হয়। ভারতের ৫৭ মাউন্টেন ডিভিশন আখাউড়ার যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে মিলিত হয়। পাকবাহিনী মিত্রবাহিনীর সঙ্গে টিকতে না পেরে আত্মসমর্পণ করে। ৬ ডিসেম্বর মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক মাইলফলক। এদিন সকালে ভুটানের তৎকালীন রাজা জিগমে দর্জি ওয়াংচুক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি জানিয়ে তারবার্তা দেন। তিনি বলেন, বিদেশী দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশের জনগণের মহান এবং বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম অদূর ভবিষ্যতে সাফল্য লাভ করবে। ভুটানের জনগণ এবং তার প্রত্যাশা, সৃষ্টিকর্তা বর্তমান বিপদ থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করবেন। অন্যদিকে মিত্রবাহিনীর আক্রমণে দিশেহারা হানাদার বাহিনী সূর্য ওঠার আগেই বিভিন্ন সীমান্ত ঘাঁটি থেকে পালাতে থাকে। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতির মধ্যে ভারত স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশকে। লোকসভায় দাঁড়িয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশ সরকারের বার বার অনুরোধের ভিত্তিতে ভারত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ আমেরিকা উত্তর ভিয়েতনামে যুদ্ধরত দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত মার্কিন ৭ম নৌবহরকে বঙ্গোপসাগরের দিকে যাত্রার নির্দেশ দেয়। রণাঙ্গনে ততক্ষণে পাকিস্তানীরা পালাতে শুরু করে। বঙ্গোপসাগরে ভারতের নৌবাহিনী অবরোধ সৃষ্টি করে। জেনারেল নিয়াজী যুদ্ধ পরিস্থিতির বিবরণ দিয়ে রাওয়ালপিন্ডিতে গোপন বার্তা পাঠান।
৮ ডিসেম্বর পাকবাহিনী বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সম্পূর্ণভাবে বিছিন্ন ও অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মানেকশ হানাদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে আশ্বাস দেন, আত্মসমর্পণ করলে পাকবাহিনীর প্রতি জেনেভা কনভেনশনের রীতি অনুযায়ী সম্মানজনক ব্যবহার করা হবে। জেনারেল মানেকশের এই আহ্বান আকাশবাণী থেকে নানা ভাষায় বারবার প্রচার করা হয়। ৯ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনী দেশের অধিকাংশ জেলায় বিজয়কেতন উড়িয়ে ঢাকা দখলের জন্য মরিয়া। মিত্রবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, আমরা এখন বড় ধরনের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। আর আমাদের পিটি-৬৭ জলচর ট্যাঙ্কগুলো নদী পেরিয়ে যেতে পারবে। মিত্রবাহিনী দ্রæত ঢাকা পৌঁছাবার লক্ষ্য নিয়ে চারদিক থেকে অগ্রসর হচ্ছে। ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকা ছাড়া দেশের বেশিরভাগ জেলা শত্রæমুক্ত হয়ে যায়। ঢাকায় কারফিউ আর বø্যাক আউটের মধ্যে চ‚ড়ান্ত হামলা চালিয়ে শত্রæদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করার লক্ষ্যে এগিয়ে যায় যৌথবাহিনী। মিত্রবাহিনীর জঙ্গী বিমানগুলো ঢাকা বেতার কেন্দ্র এবং কুর্মিটোলার ওপর বার বার রকেট হামলা অব্যাহত রেখে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপন করে। মিত্রবাহিনীর বিমান আক্রমণে চট্টগ্রাম ও চালনা বন্দর অচল হয়ে পড়ে। কয়েকটি জাহাজভর্তি পাকসেনা বঙ্গোপসাগর হয়ে পালাবার সময় ধরা পড়ে।
১১ ডিসেম্বর সকাল থেকে ঢাকায় প্রচণ্ড লড়াই শুরু হয়। রাতে ঢাকার চারপাশের নির্দিষ্ট এলাকায় মিত্রবাহিনী ছত্রীসেনা অবতরণ করায়। বঙ্গোপসাগরে মার্কিন সপ্তম নৌবহর প্রেরণের প্রতিবাদে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা ইউনিট ক্র্যাক প্লাটুন সকাল ১০টায় তোপখানা রোডের আমেরিকান কালচারাল সেন্টার এক্সপ্লোসিভ লাগিয়ে উড়িয়ে দেয়। ১২ ডিসেম্বর বিকেলে ভারতের আরও একটি ইউনিট ডেমরা ঘাট থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে এসে হাজির হয়। জামালপুর ও ময়মনসিংহের দিক থেকে জেনারেল নাগরার বাহিনী টাঙ্গাইলে প্যারাশ্যূট ব্যাটালিয়নের সঙ্গে যোগ দিয়ে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। মিত্রবাহিনী টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, কালিয়াকৈর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ছত্রীসেনা নামিয়ে রাতে প্রচণ্ড আক্রমণ চালায়। তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে কাদেরিয়াা বাহিনী। শুরু হয় তুমুল যুদ্ধ। ফলে ঢাকা অভিযানের সর্বাপেক্ষা সম্ভাবনাপূর্ণ পথের সদ্ব্যবহার শুরু হয়।
১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় শত শত পাকিস্তানী সেনা আত্মসমর্পণ করে। রেডিও পাকিস্তান ঢাকা কেন্দ্রের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। ১৪ ডিসেম্বর যৌথবাহিনী ফরিদপুর থেকে ঢাকার পথে মধুমতি নদী অতিক্রম করে। দ্রæত ঢাকা পৌঁছানোর জন্য মিত্রবাহিনী দুটি ব্রিগেড শত্রæর অবস্থান এড়িয়ে দুভাগে বিভক্ত হয়ে নদী পার হয়। মিত্রবাহিনী পারাপারের জন্য শত শত নৌকার বন্দোবস্ত করে। সারারাত ধরে তাঁদের নদী পার করে। ১৫ ডিসেম্বর মার্কিন ৭ম নৌবহরকে মোকাবিলা করার জন্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ভারতীয় নৌবাহিনীর সমর্থনে সোভিয়েত রণতরীর ২০টি জাহাজ ভারত মহাসাগরে অবস্থান গ্রহণ করে। এরপর মার্কিন রণতরী ৭ম নৌবহর যুদ্ধে অংশ নেয়া থেকে নিজেদের গুটিয়ে ফেলে। অসংখ্য নদীনালা, খালবিলসহ নানা প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে ইতোমধ্যে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী চারদিক থেকে ঘেরাও করে ফেলায় অবরুদ্ধ ঢাকা কার্যত অচল হয়ে পড়ে। ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় ক্রমাগতভাবে ভারতীয় মিগের একের পর এক বোমাবর্ষণ ও স্থলপথে মিত্রবাহিনীর আর্টিলারি আক্রমণে দখলদার বাহিনীতে চরম বিপর্যয় নেমে আসে। চারদিক থেকে পরাজিত হতে হতে পাকিস্তানী বাহিনী বুঝে ফেলে যুদ্ধে তাদের পরাজয় নিশ্চিত। ফলে সকালে সব আশা ছেড়ে দিয়ে শর্তসাপেক্ষে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব নিয়ে বিদেশী দূতাবাসের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেন নিয়াজী।
জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মানেকশ পাকিস্তানী কমান্ডারদের শর্তহীন আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করে গভীর রাতে ইয়াহিয়া খান ঢাকায় জেনারেল নিয়াজীকে নির্দেশ দেন যে, ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান আত্মসমর্পণের জন্য যেসব শর্ত দিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য তা মেনে নেয়া যেতে পারে। জেনারেল নিয়াজী রাত ২টার মধ্যে বাংলাদেশের সব জায়গায় অবস্থানরত পাকবাহিনীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে তারবার্তা পাঠান। ১৬ ডিসেম্বর সকাল নয়টা। ঢাকায় অবস্থানরত পাকিস্তানের উর্ধতন সেনা কর্মকর্তারা তাদের দফতরে বৈঠক করছিলেন। সে সময় একটি চিরকুট সবাইকে চমকে দেয়। বৈঠকে ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল একে নিয়াজী, মেজর জেনারেল জামশেদ, মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী, রিয়ার এডমিরাল শরিফ, ব্রিগেডিয়ার বকর সিদ্দিকী, সিদ্দিক সালিক এবং আরও কয়েকজন। সে চিরকুটে লেখা ছিল, ‘প্রিয় আবদুল্লাহ, আমি এখন মিরপুর ব্রিজে। আপনার প্রতিনিধি পাঠান।’ এখানে ‘আব্দুল্লাহ’ বলতে জেনারেল নিয়াজীকে বোঝানো হয়েছিল। এ চিঠি পাঠিয়েছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল গন্দর্ভ সিং নাগরা। সকাল আটটা নাগাদ ঢাকার মিরপুর ব্রিজের কাছে মেজর জেনারেল নাগরাকে বহনকারী একটি সামরিক জিপ এসে থামে। জেনারেল নাগরা কিভাবে ঢাকার প্রবেশমুখে এসে পৌঁছলেন সেটি সবাইকে অবাক করেছিল। এরপর জেনারেল নাগরাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য মেজর জেনারেল জামশেদকে পাঠানো হলো। একই সঙ্গে মিরপুর ব্রিজের কাছে অবস্থানরত পাকিস্তানী সৈন্যদের বলা হলো তারা যেন যুদ্ধবিরতি মেনে চলে এবং জেনারেল নাগরাকে নিরাপদে শহরে ঢুকতে দেয়। সে মুহূর্তটিকে সিদ্দিক সালিক বর্ণনা করেছে এভাবে, ‘ভারতীয় জেনারেল হাতে গোনা সৈন্য এবং অনেক গর্ব নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করলেন। তখনই কার্যত ঢাকার পতন হয়ে গেল।’ জেনারেল নাগরা যখন ঢাকায় প্রবেশ করলেন তখন পাকিস্তানী সামরিক কর্মকর্তাদের অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। ঢাকার পতনকে তিনি বর্ণনা করেছেন হার্ট এ্যাটাকে আক্রান্ত একজন মানুষের সঙ্গে। শরীরের কোথাও আঘাত না থাকলেও পুরো শরীর অচল হয়ে গেছে। দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসে পাকিস্তানী ইস্টার্ন কমান্ডের হেডকোয়ার্টারে মিত্রবাহিনীর মেজর জেনারেল জ্যাকব আর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়াজীর মধ্যে আত্মসমর্পণ চুক্তি নিয়ে যখন দর কষাকষি চলছে, তখন পাকিস্তানী বাহিনীর নিরাপত্তা ছিল আলোচনার একটা বড় বিষয়। বিকেলে পাকবাহিনী রেসকোর্স ময়দানে বাংলাদেশ ও ভারত মিত্রবাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে। আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গেই জন্ম হলো নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। বিজয়ের আনন্দে উদ্বেলিত সারাদেশের মানুষ, একই সঙ্গে স্বজন হারানোর ব্যথা বাংলার প্রতিটি ঘরে। বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের পর দেশের মানুষের ভবিষ্যত নিয়ে নতুন স্বপ্ন রচিত হয়।
লেখক : গবেষক