1557
Published on জুলাই 1, 2021লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে নানা প্রান্ত থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আসা শিক্ষার্থীরা পড়েছেন বিপাকে।দুঃসময়ে এগিয়ে এসেছে ছাত্রলীগ। শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে উদ্যোগ নেয় সংগঠনটি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে ৭টি বিভাগীয় শহরে শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দেওয়ার দাবি তোলে তারা।
সংগঠনটির নেতারা প্রশাসনকে অনুরোধ করেন যেন চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন জেলাগামী বাসগুলো রুট পরিবর্তন করে বেশি সংখ্যক জেলার মধ্য দিয়ে যায়। এতে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের কষ্ট কমবে।
এ দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চবি'র পরীক্ষার্থীদের নিরাপদে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছে দিতে ৪টি বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করে। বাসগুলো মঙ্গলবার (২৯ জুন) রাত ১০টায় চবি ‘স্মরণ চত্বর’ থেকে যাত্রা শুরু করে।
চবি ক্যাম্পাস থেকে একটি বাস ঢাকা-আরিচা ফেরিঘাট পর্যন্ত (বরিশাল ও খুলনা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য), আরেকটি বাস চবি ক্যাম্পাস-ঢাকা হয়ে রাজশাহী সদর পর্যন্ত, আরও একটি বাস চবি ক্যাম্পাস-ঢাকা হয়ে রংপুর সদর পর্যন্ত এবং অপর একটি বাস চবি ক্যাম্পাস থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ হয়ে সিলেটের (সদর) উদ্দেশে যাত্রা করবে বলে জানায় প্রশাসন। এ ছাড়াও কিছু বাসে শিক্ষার্থী বেশি হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত বাস দেওয়া হয়েছে।
এর আগে চবিতে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৩৬০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা প্রাক্কলিত বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। রোববার (২৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স কমিটি ও সিন্ডিকেটের ৫৭তম যৌথ সভায় এ বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সভায় ছাত্রলীগের দাবির মুখে করোনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ( চবি) বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ও পরিবহন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুরো বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব ছিলেন চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসাইন টিপু। শিক্ষার্থীদের ওপর করোনাকালীন অন্যায় কোনো ভাতা চাপিয়ে না দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সশরীরে গিয়ে দাবি জানান তিনি। যার কারণে প্রশংসা কুড়িয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ইকবাল হোসাইন টিপু বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আস্থার ঠিকানা ছাত্রলীগ। এ করোনাকালীন দুর্যোগে চবির কোনো শিক্ষার্থী যাতে দুর্ভোগে না পড়ে সেজন্য চবি ছাত্রলীগ সতর্ক আছে। আমাদের সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণের মূল শক্তি এদেশের অগণিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর অফুরন্ত প্রাণশক্তি, মনোবল ও সাহস।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ একটি আদর্শিক ছাত্র সংগঠন, ছাত্রলীগ ৫০ লাখ নেতাকর্মীর সংগঠন, শিক্ষার্থীদের সংগঠন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে নেত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করাই আমাদের অন্যতম কাজ। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে সবসময় ছাত্রলীগ থাকবে এ বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এমন উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিয়ান খান জয়। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। মাঝখানে এর প্রাদুর্ভাব একটু কম হওয়ায় পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট মারাত্মক আকার ধারণ করায় আবারও সে পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা আটকা পড়ে। তাদের নিরাপদে পৌঁছে দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে কাজ করে চলেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদ জানাই।