কৃষক লীগের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ও উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি অর্জনে কৃষক সমাবেশ ও আলোচনা সভা

1337

Published on মার্চ 7, 2021
  • Details Image

বাংলাদেশ কৃষক লীগের উদ্যোগে ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর প্রাঙ্গণে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ও জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি অর্জনের রূপকার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন উপলক্ষে কৃষক সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা মিরপুর রোড, আসাদ গেট, গণভবনের সামনে দিয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তার্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসে সমাপ্ত হয়।

সভায় প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি ও কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সম্মানিত সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি’র পক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ১নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

সমাবেশের প্রধান অতিথি এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক তাঁর বক্তব্যে বলেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের শাসন-শোষণ ও পরাধীনতা থেকে বাঙালী জাতিকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সকল ষড়যন্ত্র ভেদ করে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজয় অর্জন করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় তিনি ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৮ মিনিটের ভাষণে ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত দিক-নির্দেশনা দেন। অতঃপর বাঙালী জাতি বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশ মাতৃকার মুক্তির লক্ষ্যে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। ৯ মাস যুদ্ধ করে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পৃথিবীর মানচিত্রে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র চিত্রিত করে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশকে  ক্ষুধা-দারিদ্রতামুক্ত করে অন্ন-বস্ত্র-চিকিৎসা-শিক্ষা-বাসস্থান নিশ্চিত করেছেন। যে অপশক্তি ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে স্বপরিবারে হত্যা করেছিল, যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারী করে নিষিদ্ধ করেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার নিষিদ্ধ করেছিলেন তারাই আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালনের কর্মসূচি দিয়েছে। কৃষক লীগের সকল নেতা কর্মীকে তিনি ষরযন্ত্র মোকাবিলায় প্রস্তুত হতে বলেন। প্রধান অতিথি এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক সারাদেশে কৃষক লীগের স্বরব অস্তিত্বের প্রসংশা করে উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করেন।

বিশেষ অতিথি কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যারা স্বাধীনতা বিরোধীদের পূনঃর্বাসিত করেছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাথে জড়িত ছিল, বাংলাদেশের ইতিহাস,ঐতিহ্য, গৌরব ও অর্জনকে ভূলুন্ঠিত করেছে তারা পূণঃরায় ষড়যন্ত্রে নেমেছে। যারা বলেছে একটি ভাষণের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয় নাই তারা আবার ৭ মার্চ পালন করতে চায়। কৃষক লীগের নেতাকর্মী ও দেশবাসিকে ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

বিশেষ অতিথি মির্জা আজম এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের সাড়ে ৭ কোটি মানুষের রক্ত টগবগ করে ফুটে উঠেছিল। তিনি বাঙলী জাতির হৃদয়ের স্পন্দন উপলব্ধি করে সামরিক জান্তার রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে প্রকারান্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। এটি কোন স্বাভাবিক ভাষণ ছিলনা। সৃষ্টিকর্তা তার কণ্ঠে ঐশ্বরিক ক্ষমতা দিয়ে ভাষণে পূর্ণতা দিয়েছেন।

বিশেষ অতিথি ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠিকে চারটি শর্ত দিয়ে বলেছিলেন “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম”। বঙ্গবন্ধুর ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালী জাতি স্বসস্ত্র রূপ ধারণ করে ৯ মাস যুদ্ধ করে এদেশ স্বাধীন করে।
সভার সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেন, ১৯৭১ সনের অগ্নিঝড়া ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিরস্ত্র বাঙালী জাতিকে স্বসস্ত্র মুক্তিযোদ্ধায় পরিণত করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন। আর বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা কৃষকরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তথাকথিত তলাবিহিন ঝুড়ির কালিমা মুক্ত করে ধাপে ধাপে দেশকে সল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরের জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। আজ বাংলাদেশ যে কোন ঝুঁকি মোকাবেলা করতে সক্ষম একটি ব্যতিক্রমি দেশ। তার কারণ এদেশের চালকের আসনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বসে আছেন। তাই আমরা আজ কৃতজ্ঞ কৃষক সমাজের পক্ষ থেকে কৃষকরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা করছি।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্জ শেখ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, হোসনে আরা বেগম এমপি, মোঃ আবুল হোসেন, আলহাজ্জ মাকসুদুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শামীমা শাহরিয়ার এমপি, একেএম আজম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. গাজী জসিম উদ্দিন, কৃষিবিদ ড. হাবিবুর রহমান মোল্লা, সৈয়দ সাগিরুজ্জামান শাকীক, নাজমুল ইসলাম পানু, নূরে আলম সিদ্দিকী হক, হিজবুল বাহার রানা, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষক লীগের সভাপতি আলহাজ্জ আব্দুস সালাম বাবু, ঢাকা জেলা  দক্ষিণের সভাপতি আলহাজ্জ জাকিউদ্দিন আহম্মেদ রিন্টু, ঢাকা জেলা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম খান, ঢাকা জেলা উত্তর বৃক্ষরোপন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মহসিন করিম এবং সদস্য সচিব আহসান হাবিব।

অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ-সভাপতি, আলহাজ্জ শরীফ আশরাফ আলী, আলহাজ্জ আকবার আলী চৌধুরী, এমএ ওয়াদুদ, কৃষিবিদ ড. নজরুল ইসলাম, ডিএম জয়নাল আবেদীন, এমএ মালেক, কৃষিবিদ শাখাওয়াত হোসেন সুইট, এ্যাড. রেজাউল করিম হিরণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিপ্লব, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আলহাজ্জ নাজির মিয়া, এ্যাড. জহির উদ্দিন লিমন, শামীমা সুলতানা,লায়ন মোঃ আহসান হাবিব, শাহিনুর রহমান, কৃষিবিদ সামসুদ্দিন আল আজাদ, কৃষিবিদ তারিফ আনাম, আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রাশেদ খান, এ্যাড. উম্মে হাবিবা, আমিরুল ইসলাম খোকা পাটোয়ারী, মোশারফ হোসেন আলমগীর, ইসহাক আলী সরকার, মোঃ আরমান চৌধুরী, এ্যাড. রাবেয়া হক, নুরুল ইসলাম বাদশা, সৈয়দ শওকত হোসেন সানু, রাশিদা চৌধুরী, নিউ নিউ খেইন, খান মোঃ কামরুল ইসলাম লিটু, সামিউল বাসির সামি, এ্যাড. জামাল হোসেন মুন্না, জাতীয় কমিটির সদস্য খান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম নকিব, শফিকুল ইসলাম মিন্টু মোতাহের হোসেন বাবুল প্রমূখ।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত