2040
Published on জানুয়ারি 22, 2021ফরিদপুর জেলায় শনিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত এক হাজার ৪৮০ জন গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন ঘর। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিং এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
জেলা প্রশাসক জানান, জেলার নয়টি উপজেলায় প্রকৃত গৃহহীনরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত এ ঘর পাচ্ছেন। শনিবার প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘর প্রদানের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।
এ সময় জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)আসলাম মোল্লা, সহকারী কমিশনার তারেক হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খোকন, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি পান্না বালা, বাংলাদেশ বেতারের জেলা প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম মনি প্রমুখ প্রেসব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন।
জেলা প্রশাসক জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় সারাদেশের মতো ফরিদপুরেও ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের জন্য প্রথম দফায় নির্মিত হয়েছে ১ হাজার ৪৮০টি বসতঘর। এছাড়া মোট ৩ দফায় মোট নির্মিত হচ্ছে ২ হাজার ৩৫ টি ঘর। ঘরসমূহ নির্মানে সর্বমোট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩৫ কোটি ৬১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের নেতৃত্বে নয়টি উপজেলার ইউএনও এবং এসিল্যান্ডদের তদারকিতে গড়ে উঠছে আশ্রয়হীন মানুষের স্বপ্নের ঠিকানা 'স্বপ্ননীড়'। গৃহনির্মাণের এই কাজে সমানতালে ভূমিকা রেখেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী।
শনিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশব্যাপী এই 'স্বপ্ননীড়ের' উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
'আশ্রয়ণের অধিকার- শেখ হাসিনার উপহার' স্লোগান সংবলিত এ প্রকল্পে সারাদেশের মতো ফরিদপুর জেলার প্রতিটি ভূমিহীন-ঘরহীন পরিবারের জন্যও থাকছে দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ঘর। প্রতিটি পরিবারের জন্য বানানো হচ্ছে দুই কক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর। এ লক্ষ্যে ফরিদপুর সদর উপজেলায় ৩১২টি ঘর, আলফাডাঙ্গা উপজেলায় ৩৭০টি ঘর, বোয়ালমারী উপজেলায় ১৯২ টি ঘর, মধুখালী উপজেলায় ১৬৮টি ঘর, নগরকান্দা উপজেলায় ২১৫ টি ঘর, সালথা উপজেলায় ২০০টি ঘর, ভাঙ্গা উপজেলায় ২৫০টি ঘর, সদরপুর উপজেলায় ১৭৮টি ঘর এবং চরভদ্রাসন উপজেলায় ১৫০টি ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে। পরিবার পিছু একটি ঘরের পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে ২ শতাংশ জমি।