'কর্মজীবনের কর্মশালা': তরুণদের কর্মদক্ষতা ও কর্ম-পরিকল্পনা উন্নয়ন বিষয়ক কর্মসূচি

4098

Published on জানুয়ারি 7, 2021
  • Details Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা যেভাবে একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছি, তার পূর্ণতা এসেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ও পাকিস্তানিদের লুটপাটে নিঃশেষিত একটি জাতি নতুন করে গড়ে ওঠার জন্য যখন লড়ছিল, ঠিক তখনই দেশাদ্রোহীদের কালো থাবায় থমকে যায় জাতি ও রাষ্ট্র। এরপর কেটে গেছে বহু বছর। স্বৈরাচার ও উগ্রবাদীদের আগ্রাসনের কারণে স্বাধীনতার সুফল থেকে বঞ্চিত ছিল মানুষ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে আবারও কাজ শুরু করেন। উন্নয়নের অগ্রযাত্রার ধারাবিহকতায় গত এক যুগে দেশের খোলনচলে পর্যন্ত বদলে গেছে। উগ্রবাদ ও লোডশেডিংয়ের অন্ধকার জয় করে পুরো দেশ আজ আলো ঝলমলে। গত এক যুগে দেশের অবকাঠামো এবং পরিকাঠামো পুরোপুরি বদলে গেছে। ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে চলছে এক নতুন বাংলাদেশ। কিন্তু এই উন্নয়নের ফলে সৃষ্ট সব সুযোগ সুবিধা এখনও নিতে পারছে না তরুণপ্রজন্ম।

তাই দেশের অবকাঠামোগত সব সুযোগ কাজে লাগিয়ে তরুণ-তরুণীদের মাথা উঁচু করে দাঁড় করানোর জন্য দেশের প্রতিটি পরিবারের পাশে থাকতে চায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এজন্য দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো রাজনৈতিক দল হিসেবে একটি সুদূরপ্রসারী কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে তারুণ্যের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই দলটি।

আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বিপুল অবকাঠামো-পরিকাঠামো তৈরি করেছেন, সেগুলোর মাধ্যমে দেশের যেকোনো তরুণ-তরুণী তার নিজের সম্ভাবনার সর্বোচ্চটাকে কাজে লাগাতে পারবে। কিন্তু তারুণ্যের নিজেদের সম্ভবনার সর্বোচ্চটাকে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন একটা সঠিক গাইড লাইন। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, দেশের তরুণপ্রজন্ম নিজেদের একাডেমিক লেখাপড়া করলেও আধুনিক কর্মজীবন সম্পর্কে তাদের জানাশোনা কম। এমনকি আর্থিক কর্মজীবন সম্পর্কে সচেতন হতে কখনো কখনো একটি প্রজন্মের জীবনের মূল সময়টাই শেষ হয়ে যায়। মানুষ যখন বাস্তবতা বুঝে ফেলে, ততদিনে তার অনেক বয়স হয়ে যায়, তখন সবকিছু বুঝলেও আর কর্মের স্পৃহা থাকে না। এছাড়াও আমাদের তরুণ-তরুণীরা কর্মমুখী লেখাপড়ার ক্ষেত্রে অনেকক্ষেত্রেই পিছিয়ে আছে। লেখাপড়ার শুরুতে বা ছাত্রজীবন থেকে তারা কর্মজীবনমুখী লেখাপড়া করতে পারে না। তাই বর্তমান ও ভবিষ্যতের কর্মজগৎ সম্পর্কে ধারনা দিতে এবং সেই কর্মজগতে একজনের সম্ভাব্য পেশা নির্বাচনের ক্ষেত্রে আগাম ধারণা দেওয়া এবং সেই অনুসারে তরুণ-তরুণীদের নিজেকে তৈরি করতে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। 

যাদের জন্য এই কর্মসূচি:

তরুনদের কর্মদক্ষতা ও কর্ম-পরিকল্পনা উন্নয়ন বিষয়ক এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার সুযোগটি দল-মত নির্বিশেষে সব তরুণ-তরুণীর জন্য উন্মুক্ত। দেশের বিভিন্ন কলেজ/ মাদ্রাসা/ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবেদন করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়াও যারা সময় দিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের জন্য প্রস্তুতি নিতে ইচ্ছুক, সেই ধরনের বেকার শিক্ষিত তরুণরাও অংশ নিতে পারবে। 

এই কর্মসূচির থেকে তরুণপ্রজন্ম যা পাবে:

এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতিজন অংশগ্রহণকারী তার নিজের পেশাগত জীবনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরি করতে পারবে। ক্যারিয়ার কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে নিয়মিত নতুন নতুন পেশার সঙ্গে পরিচিত করানো হবে এবং সেসব পেশার বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের গাইডলাইন দেওয়া হবে।

এই কর্মসূচির মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসারে নিজের সবলতা-দুর্বলতার চিহ্নিত করতে শিখবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নির্ধারণে সাহায্য করবে।

বিভিন্ন পেশা সম্পর্কে পর্যালোচনার পর কোনো ব্যক্তি নিজে কোন ধরনের পেশার জন্য উপযুক্ত সে ব্যাপারে একটা ধারণা পাবে। 

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা আধুনিক কর্মক্ষেত্রের বিভিন্ন সেক্টর সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা লাভ করে নিজের পছন্দনীয় এবং নিজের জন্য স্যুইটেবল জব-সেক্টর নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারবে।

শিক্ষাজীবন শেষ করার আগেই প্রতিটি তরুণ-তরুণী তাদের কর্মজীবনে প্রবেশের জন্য একটা পরিপূর্ণ ক্যারিয়ার প্ল্যান পাওয়া সম্ভব।

রেজিস্ট্রেশন বিষয়ক তথ্যের জন্য:

রেজিস্ট্রেশনের লিঙ্ক: career.albd.org এই ওয়েবসাইটে ৯ জানুয়ারি থেকে রেজিস্ট্রেশন শুরু হচ্ছে। ৩০ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত  রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।

রেজিস্ট্রেশনের পর পূর্ণ তথ্য প্রদান,  নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা বা শিক্ষার ধরণ, কোনো বিশেষ ধরনের ক্যারিয়ারের প্রতি আগ্রহ প্রভৃতির বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ব্যাচ তৈরি করা হবে।

রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার পর ধাপে ধাপে অংশগ্রহণকারীদের মেসেজ, মেইল বা মোবাইলে ফোনের মাধ্যমে কনফার্মেশন জানিয়ে দেওয়া হবে।

প্রোমোঃ

 

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত