বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীতে কৃষকলীগের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

1146

Published on আগস্ট 9, 2020
  • Details Image
  • Details Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানরে সহধর্মিনী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি’রত্ন রত্নগর্ভা জননী ’৭৫ এর ১৫ আগস্টে শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগের উদ্যোগে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় মিলনায়তনে (২৩,বঙ্গবন্ধু এভিনিউ) আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্য মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জননতো ড. হাছান মাহ্মুদ এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু সংসার পেতেছিলেন কিন্তু সংসারটি ঠিক মত করেননি। তিনি সংসার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের সকল মানুষকে। বঙ্গবন্ধুর সংসারটি আগলে ধরে রেখেছিলেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা। বঙ্গবন্ধুর সকল ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে বঙ্গমাতার সঠিক পরামর্শদানকারী ছিলেন বঙ্গমাতা। বাংলাদেশের ইতিহাস লিখতে গেলে যেমন বঙ্গবন্ধুর নাম চলে আসে তেমনি বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস লিখতে হলে চলে আসে বঙ্গমাতার নাম। ১৯৭৫ এর বঙ্গবন্ধু শহীদ হবার পূর্বে তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৪ শতাংশ। বঙ্গবন্ধু হত্যার ৪ দশক পরে ২০১৬ সালে আমরা এই প্রবৃদ্ধি অতিক্রম করতে পেরেছি তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতে । 

১৯৭৫ সনে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে দেশের প্রতি ইঞ্চি জমিতে শস্য উৎপাদনের আহ্বান করেন। তাঁর আহ্বানে সারা দিয়ে দেশের জনগণ খাদ্যশস্য উৎপাদন করে দেশকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিনত করেন। আজকে বাংলাদেশের অলিগলিতে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আজকে পান্তা ভাতের প্রচলন পরিবর্তন হয়েছে। আজকে যারা উন্নয়ন চায়না বা উন্নয়ন দেখতে পায়না তারা চোখ থাকিতে অন্ধ ও কান থাকিতেও বধির। আমারা তাদের জন্য দোয়া করি তাদেরকে যেন হেদায়েত দান করেন। এই করোনার সময়ে দেশের একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১.৩ শতাংশ যা বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর তুলনায় সীমিত। 

বিশেষ অতিথি শ্রী সুজিত রায় নন্দী তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন ত্যাগের প্রতিক আদর্শের প্রতিক। তিনি ছিলেন আপোসহীন, দূরদর্শী, সাহস সঞ্চারের অধিকারী মহিয়সী নারী। তিনি আরো বলেন, কৃষক লীগ অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় কাজ করছে। তারা মানবিক সাহায্য অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই করোন কালীন সময়ে ১ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করে এবং নগদ ১০ কোটি টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ সরকার দেশে ৭ কোটি লোককে ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করেন। যারা দূর্নীতি করার চেষ্টা করছে সরকার তাদের কঠোর হস্তে দমন করছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকল হাসপাতালে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। পাঁচশত কোভিড ডাক্তারকে বিশেষ উপহার সামগ্রী প্রদান করেছেন। প্রত্যেকটি হাসপাতালে শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী প্রদান করেছেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সংগ্রামী সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ এবং সঞ্চলনা করেন সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি।

অনুষ্ঠানের সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা কৈশরের মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু মুজিবে পরিণত করার অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। ছায়ার মত আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন বঙ্গমাতা। আজকের এই দিনটি একই সাথে আনন্দের এবং বেদনার। বঙ্গমাতা এবং ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামানা করে বক্তব্য শেষ করেন।

অন্যান্যদের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন, শেখ জাহাঙ্গীর আলম, আকবর আলী চৌধুরী, মোস্তফা কামাল চৌধুরী, কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরককার বিটু, বেগম হোসনে আরা এমপি, আবুল হোসেন, ড. কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম , অধ্যাপিকা রুমানা আলী টুসি এমপি, অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম পানু, আজম খান, সাগিরুজ্জামান শাকীক, হিজবুল বাহার রানা, রেজাউল করিম রেজা, লায়ন আহসান হাবীব,আব্দুস সালাম বাবু, হালিম খান প্রমুখ।

অতঃপর বঙ্গমাতা শহীদ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের রুহের মাগফিরাত কামনাকরে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পীর ইয়ামিনী মসজিদের খতিব মাওলানা এমদাদুল ইসলাম।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত