বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মসূচী

1115

Published on আগস্ট 9, 2020
  • Details Image

বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনীর চেয়েও তাঁর বড় পরিচয় তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণাদায়ী। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে দলের কর্মীদের দেখভাল করার ভার সামলেছেন বঙ্গমাতা। বঙ্গবন্ধু অন্তরীন থাকাকালীন দলের নেতাকর্মীদের মনোবল রক্ষায় গৃহকোণ থেকে সামনে এসে দাঁড়িয়েছিলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। জেলবন্দি বঙ্গবন্ধুর কাছে জরুরি খবর পৌঁছে দিতে, কর্মীদের কাছে নেতার নির্দেশনা পৌঁছে দিতে বঙ্গমাতাই ছিলেন ভরসার জায়গা। ৮ই আগস্ট এই মহীয়সী নারীর জন্মবার্ষিকী।

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর সমাধিতে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বেগম মুজিবের ৯০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু’র নেতৃত্বে বনানী গোরস্থানে বঙ্গমাতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা গাজী মেজবাহুল হোসেন সাচ্চু, কাজী শহিদুল্লাহ লিটন, মজিবুর রহমান স্বপন, আব্দুল আলিম,আশিষ মজুমদার, আব্দুল্লাহ আল সায়েম, অ্যাডঃ মানিক কুমার ঘোষ, শাহ জালাল মুকুল, মেহেদী হাসান মোল্লা, আবিদ আল হাসান, আরিফুর রহমান টিটু, আবু তাহের প্রমুখ।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নেতৃবৃন্দ বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আপোষহীন লড়াই সংগ্রামের নেপথ্যের প্রেরণাদাত্রী বঙ্গমাতা। বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণার পর পাকিস্তানি শাসকের হাতে বন্দী থাকাবস্থায় দলীয় নেতাকর্মীদের লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগাতেন বঙ্গমাতা।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্যারোলে মুক্তির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামকে তরান্বিত করেছিলেন বঙ্গমাতা। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা একে অপরের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও আস্থাশীল ছিলেন, একে অপরের আত্মা হয়ে থেকেছেন। বঙ্গমাতা জীবনের শেষদিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সাথে থেকে নীরবে দেশ ও দেশের মানুষের সেবা করে গেছেন। মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ, সংগ্রামে নিরন্তর সহযোগিতা করেছেন, যা সত্যি অনন্য অতুলনীয়।

বঙ্গমাতা ছিলেন সহজ সরল ও সাধারণ জীবনের অধিকারী। বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের সুখ দুঃখের সাথী, মরণেও ছিলেন পরমসঙ্গী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে বঙ্গবন্ধু নিহত হলে বঙ্গমাতা ঘাতকের কাছ থেকে মৃত্যু ভিক্ষা করে চিরবিদায় নেন পৃথিবী থেকে, বঙ্গমাতার আদর্শ, দেশপ্রেম যুগ যুগান্তর জাতিকে পথ দেখাবে। তাঁর কর্মময় জীবনাদর্শ অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন জাতির পিতার সাথে এক আত্মায় মিশে থাকবেন বঙ্গমাতা।

এরপরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল ১১ ঘটিকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা, দোয়াও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা মজিবুর রহমান স্বপন,আব্দুল আলীম, খায়রুল হাসান জুয়েল, আশিষ কুমার মজুমদার, আব্দুল্লাহ আল সায়েম,শাহ জালাল মুকুল, আজিজুল হক আজিজ, মেহেদী হাসান মোল্লা, আবিদ আল হাসান,রফিকুল ইসলাম বিটু সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।

আলোচনা সভা শেষে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত