তারুণ্যের উজ্জ্বল প্রতিনিধি ‘সজীব ওয়াজেদ জয়’

3784

Published on জুলাই 27, 2020
  • Details Image

রুদ্র সাইফুলঃ

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও বিশ্বখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত, দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন ও হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েট চিরসবুজ তারুণ্যের উজ্জ্বল প্রতিনিধি ‘সজীব ওয়াজেদ জয়’; যাঁর ভাষা সরল, ভাবনাগুচ্ছ স্বচ্ছ, উচ্চারণ যেমন বলিষ্ঠ, তেমনই সুস্পষ্ট। তিনি স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান এবং এর বাস্তবায়ন করেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সজীব ওয়াজেদ জয়ের উদ্যোগে তথ্যপ্রযুক্তির বিজয় রচিত হয়েছে, স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। ফলে সজীব ওয়াজেদ জয় হয়ে উঠেছেন সমৃদ্ধ বাংলাদেশের আগামীর প্রতিচ্ছবি, তাঁর হাত ধরেই ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে, সাফল্য লাভ করেছে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের অগ্রযাত্রা, আকাশছোঁয়ার অভিযান। সেই সাথে তিনি আরো প্রমাণ করেছেন পদ-পদবি না নিয়েও, নেপথ্যে থেকেও দেশের জন্য অনেক বড় কাজ করা যায়।                     

ক্ষমতা বলয়ের কেন্দ্রে থেকেও সজীব ওয়াজেদ জয় ক্ষমতার উত্তাপ ও চাপকে জয় করেছেন, দুর্নীতির বরপুত্র না হয়ে একজন উচ্চশিক্ষিত মেধাবী তরুণ হিসেবে আইটি সেক্টরে স্বপ্নের দুয়ার খুলে দিয়েছেন। তারুণ্যের ভেতরে নিজের স্বপ্নকে সঞ্চালন করে তিনি নায়কের মতো আবির্ভূত হয়েছেন। তথ্য ও প্রযুক্তির বিষ্ময়কর বিপ্লব ঘটিয়ে তিনি এখন আমাদের তরুণ সমাজের কাছে একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব, আমাদের আইডল। তিনি আমাদের প্রচলিত ‘অ্যানালগ’ ধারণাকে পাল্টে দিয়েছেন, জীবন-যাপনকে অনেক বেশি সহজ ও সুন্দর করে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন। তাই কেবল তাত্ত্বিক পাঠেই সীমাবদ্ধ নয়, সজীব ওয়াজেদ জয়-এর মাধ্যমেই আমরা যাপিত জীবনের অভিজ্ঞতা জানতে পেরেছি। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বলতে বোঝায় দেশের সব নাগরিককে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারার সক্ষমতা তৈরি করার বাস্তবতাকে, উপরন্তু তার চারপাশে এমন একটি পরিবেশ গড়ে তোলা, যাতে তার জীবনধারাটি যন্ত্রপ্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশের অনন্য নিদর্শন হিসেবেও প্রতিভাত হয়। সে কারণেই মৌলিক চাহিদাগুলোর অন্যতম উপাদান শিক্ষাসহ সরকারি-বেসরকারি ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কলকারখানা ও সকল প্রকার সেবা খাতকে ডিজিটাল করা হচ্ছে। এভাবে বিশ্বের নানা দেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলার আধুনিক প্রযুক্তির সমাবেশে ও ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবনধারা ডিজিটাল যুগে পদার্পণ করেছে। তবে ভুলে গেলে চলবে না যে, আমাদের হাজার বছরের প্রচলিত কৃষিভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার সাংস্কৃতিক মান ডিজিটাল যুগের স্তরে উন্নীত করা একটি কঠিন কাজ, তার জন্য সঠিক নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা দরকার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা সে কাজটি সুনিপুণ পরিকল্পনায় বাস্তবায়ন করে চলেছেন। মনে রাখতে হবে, এ দেশে আমরা সর্বপ্রথম শেখ হাসিনার মুখেই ডিজিটাল বাংলাদেশ ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির কথা শুনেছি। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বেই সম্পন্ন হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপান্তরের ইতিহাস। তাই সঠিকভাবেই বলা হয়ে থাকে-ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবং এর স্থপতি তাঁর সুযোগ্য পুত্র ও উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

একজন সুদক্ষ, পেশাদার ও আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা, যিনি অবৈতনিক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জয় এর পূর্বে মা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। গত বছর (৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮) অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের ‘জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে’ যুক্ত করা হয় দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও তাঁর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে। এর মধ্য দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হন এবং নির্বাচনে ব্যাপক বিজয়ে সবিশেষ ভূমিকা পালন করে নিজের মেধা ও যোগ্যতার প্রমাণ দেন। জাতির পিতার আলোকিত পরিবারের অকৃত্রিম দেশ প্রেমিক মাতা-পুত্রের প্রতি আমাদের অবিরল অভিনন্দন, শুভ কামনা নিরন্তর।       

ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন নিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধন করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায়। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। অথচ ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে জাতির পিতার হাত ধরেই আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের সূর্যসন্তানরা তাঁদের বুকের রক্ত দিয়ে এবং মা-বোন তাদের জীবনের সম্ভ্রমটুকু পর্যন্ত বিসর্জন দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন। বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে জন্ম নেওয়া নবীনতম এই রাষ্ট্রের পরতে পরতে ছিলো যুদ্ধ আর ধ্বংসের ক্ষতচিহ্ন। শহীদদের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায় তাই যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটিকে ‘সোনার বাঙলা’য় রূপান্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন চেষ্টা করে গেছেন। ১৯৭৫-এ ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধু পরিবার এবং জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে তাঁর এ প্রচেষ্টাকে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী রুখে দিয়েছিলো। দীর্ঘ ২১ বছর দেশটি সামরিক-অসামরিক স্বৈরাচারী অপশাসনের হাতে পতিত হয়।

১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সামনে চলে আসে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করার সুযোগ। এরপর ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সজীব ওয়াজেদ জয় সবার আড়ালে লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে প্রযুক্তিতে অর্জিত নিজের জ্ঞান, প্রজ্ঞা, গবেষণা, পরিশ্রম ও নিষ্ঠা দিয়ে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশকে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করার ভিশনকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার কাজ শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ শুরু হয়। সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর মা শেখ হাসিনার উপদেষ্টা হিসেবে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগানকে প্রথম সামনে আনেন। নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেন ‘দিনবদলের সনদ’। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনের গৃহীত আইসিটি নীতিমালা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শ ও নির্দেশে সারা বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হচ্ছে। সজীব ওয়াজেদ জয়ের উদ্যোগ, তৎপরতা, দিকনির্দেশনা ও গভীর পর্যবেক্ষণে সাবমেরিন কেবলে বাংলাদেশকে যুক্ত করার মাধ্যমে আইসিটি সেক্টরে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে বিশ্বের তরুণ নেতা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শ ও নির্দেশে বাস্তবায়নকৃত ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে রোল মডেল হিসাবে পরিণত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার তাঁর বক্তব্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা প্রসঙ্গে বলে থাকেন, ‘আমার কম্পিউটার শিক্ষার শুরু হয় আমার ছেলে জয়ের কাছে। ওর কাছ থেকেই প্রথম ডিজিটাল শব্দটি আমি শিখি।’  শেখ হাসিনা বলেন, ‘জয় যখন স্কুলে পড়ার সময় বাসায় কম্পিউটার নিয়ে আসতো তখন দেখতাম, নাড়াচাড়া করতাম। এভাবে আস্তে আস্তে কম্পিউটারের প্রতি আমার আগ্রহ বাড়তে থাকে। সে আমাকে টাইপ করা হাতে ধরে শিখিয়েছে। এরপর টাইপ করার প্রোগ্রাম আমাকে দিয়েছে, তাঁরপর আমি টাইপ শিখেছি। অ্যাপল কেনার পর তাতে আমরা অফিসের-পার্টির কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে নিজেরাও বসে বসে কম্পিউটার শিক্ষা নিতাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি জয়ের পরামর্শে প্রথম কম্পিউটারের ওপর থেকে কর তুলে নেই।’ ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তাঁরই (জয়) পরামর্শে তখনকার অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াকে কম্পিউটারের ওপর থেকে কর তুলে নিতে বলেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘পরামর্শটা জয়ই আমাকে দিয়েছিলো’ জানান তিনি। আর এভাবেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আর সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেধা এই দুইয়ের সমন্বয়ে বাংলাদেশ আজ উচ্চ-মধ্যবিত্ত আয়ের দেশে পরিণত হবে।   

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ একটি প্রত্যয়, একটি স্বপ্ন। আর এই স্বপ্ন দেখিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র ও তাঁর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুসারে বিজ্ঞানের মানুষ সজীব ওয়াজেদ জয়ের সুযোগ্য নেতৃত্বে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে বলেই সংশ্লিষ্ট বিষয়ের গবেষকদের গভীর আস্থা জন্মেছে। বিশ্বাসের কারণও আছে, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন এফ কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্টে ‘ইনোভেশন ইন গভর্ন্যান্স’ কোর্সে নিজের প্রতিভার অভূতপূর্ব স্বাক্ষর রাখেন জয়। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সজীব ওয়াজেদ জয়কে বিশে^র ২৪২ জন তরুণ নেতার একজন হিসেবে ঘোষণা দেয়। ইন্ডিয়ার ব্যাঙ্গালুরুর সেন্ট জোসেফ কলেজে ম্যাথমেটিকস্, ফিজিকস্ ও কম্পিউটার সায়েন্স অধ্যয়নের সময় সজীব ওয়াজেদ জয় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রতি যারপরনাই আগ্রহী হয়ে ওঠেন। সেই সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্ববাঙালি ও বাংলাদেশিদের জন্য প্রযুক্তিক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধনের গভীর তাগিদ অনুভব করতে থাকেন। ফলে স্বপ্ন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত সকল সুযোগকে আপন অভিজ্ঞতায় কাজে লাগিয়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনে তার ভূমিকা অপরিসীম হয়ে ওঠে। আর তাই সজীব ওয়াজেদ জয়ের ‘ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ফর আইসিটি’সহ বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম থেকে নানা পুরস্কার প্রাপ্তি সব অর্থে সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে সাফল্যকেই স্বীকৃতি দেয়, ফলে সুদৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তব। ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে পুরো বিশ্ব আজ আমাদের হাতের মুঠোয়। মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করে দিয়েছে। এখন প্রযুক্তি খাতকে কেন্দ্র করে শুধু শহর অঞ্চল নয়, গ্রামের একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের লাখ লাখ উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। পড়াশোনার পর চাকরি না খুঁজে নিজেই নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। মিলিয়ন ডলার আয় করছে স্বপ্ন দেখা এই তরুণ প্রজন্ম। হতাশ তরুণ সমাজে আশার আলো দেখিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। এখন আর কাউকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাংকের লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে বিল পরিশোধ করতে হয় না। ছাত্রছাত্রীরা ঘরে বসেই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ফরম পূরণ করে। মোবাইলে পরীক্ষার ফল পায়। ঘরে বসেই মানুষ ব্যাংকের সব কাজ করতে পারে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না, মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে সহজেই যানবাহন মিলে যায়। প্রত্যেকের মোবাইল ফোনই এখন এক একটা সংবাদ মাধ্যম। সহজ কথায় মানুষের জীবনের প্রতিটি স্তরে ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোঁয়া লেগেছে। প্রাত্যহিক জীবনে কাজকর্মকে সহজ এবং গতিশীল করে দিয়েছে এই ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা। যার প্রমাণ মেলে অনলাইনে ওয়ার্কারে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয় হওয়ার খবরে। আর তাই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর প্রত্যাশিত অগ্রগতি রোখার ক্ষমতা কারো নেই। আসলে আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি উদ্দীপিত মুহূর্ত যাপন করছি। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর বদৌলতে বিস্তৃত পরিসরে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগ আমাদের যোগাযোগ ও শিক্ষার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। 

ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা, ‘আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ’ সজীব ওয়াজেদ জয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ অনন্য এক বাস্তবতা। রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে রেখে সম্পূর্ণ নীরবে-নিভৃতে কাজ করেছেন জয়। ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে এ দেশের মানুষকে আর্থসামাজিকভাবে শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করেছেন তিনি। তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন তিনি। বিশেষ করে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে দেশের কাজে আত্মনিয়োগ করাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। দেশ গঠনে তরুণদের মতামত, পরামর্শ শুনতে তিনি ‘লেটস টক’ ও ‘পলিসি ক্যাফে’ দুটি প্রোগ্রাম শুরু করেন। এ ছাড়া তিনি তরুণ উদ্যোক্তা ও নেতৃত্বকে একসঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি প্রশিক্ষিত করতে তরুণদের বৃহত্তম প্লাটফর্ম ‘ইয়ং বাংলার’ সূচনা করেন।

বাংলাদেশকে ডিজিটাল করতে প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা রাখছেন জয়। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে ৫টি ধাপে ভাগ করেছেন তিনি। প্রথমত, ই-গভর্ন্যান্স পদ্ধতি চালু করা। এ প্রক্রিয়ায় সরকারের সব কাজকর্ম ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। এতে সরকারের কাজকর্ম স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হবে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) নামের প্রকল্পটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায় হচ্ছে, স্কুল-কলেজে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা। এ প্রক্রিয়ায় পাঠ্যসূচিতে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তৃতীয় পর্যায় হচ্ছে, তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পকারখানা গড়ে তোলা। চতুর্থত, আইটি পার্ক গড়ে তোলা। পঞ্চম পর্যায়ে ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২৫ হাজার ওয়েবসাইট নিয়ে তৈরি ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। জনগণের তথ্য ও সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং উদ্ভাবনী ও জনমুখী প্রশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চালু হয় ওই জাতীয় তথ্য বাতায়ন। এই তথ্য বাতায়ন থেকে দেশের জনগণ কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন, পর্যটন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক তথ্য পাচ্ছেন। আর এসব কাজের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয় সারা বিশ্বের বাঙালি তরুণদের কাছে এখন প্রিয় ব্যক্তিত্ব, তাঁর ডিজিটাল ভিশনের কারণেই। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নয়নের পথ সুনিশ্চিত করার ফলপ্রসূ থিওরি বাস্তবায়নের পথ করে দিয়ে তিনি কেবল বাংলাদেশি তরুণ প্রজন্মকেই নয়, মন জয় করে নিয়েছেন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা নতুন প্রজন্মের বাঙালি তরুণদের মন। তিনি স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছেন বিশ্ব-বাঙলাকে। রাজনীতি, অর্থনীতি, উন্নয়ন সচেতন নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত বাঙালির প্রত্যাশা-ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে রাজনীতি ও অর্থনীতিতেও আসবে ব্যতিক্রমী সব পরিবর্তন। কর্মসংস্থানের নতুন সম্ভাবনা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করছেন জয়। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যখন কম্পিউটার ব্যবহারে সাবলীল হয়ে উঠবে, তখন বাংলাদেশকে আর তৈরি পোশাক শিল্পের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। কুটির শিল্পের ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশের নানা ধরনের সফটঅয়্যারের কাজ করে দেশের মাটিতে বসে এ দেশের তরুণ-তরুণীরা নিয়ে আসবে বৈদেশিক মুদ্রা।

আমরা গর্বিত চিত্তে এগিয়ে চলেছি ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে নিচ্ছে জনগণের স্বপ্ন, ধারণ করছে মানুষের আকাক্সক্ষাকে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার উদ্যোগে নিজস্ব অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সজীব ওয়াজেদ জয় অর্জন করেন ‘আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে কয়েকটি সংস্থা ও বিজনেস স্কুলের পক্ষ থেকে তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অব গভর্নেন্স অ্যান্ড কম্পিটিটিভনেস, প্ল্যান ট্রিফিনিও, গ্লোবাল ফ্যাশন ফর ডেভেলপমেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট স্টেটের নিউ হেভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেস সম্মিলিতভাবে এই পুরস্কার প্রদান করে। প্রথমবারের মতো কাউকে এই পুরস্কার দেন আয়োজকরা। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) গৃহীত হওয়ার প্রথম বর্ষপূর্তি সামনে রেখে ইউএন প্লাজা মিলেনিয়াম হোটেলের একটি সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে জয়ের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন বিশ^খ্যাত অভিনেতা রবার্ট ডেভি। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ২০০৭ সালে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার’ নির্বাচন করেছিলো ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওই সম্মান পান তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো তার মধ্যে অন্যতম ছিলো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়া। সরকারের এই উদ্যোগে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন জয়। সরকারের ক্রমাগত নীতি সহায়তা ও জনগণের দোরগোড়ায় মোবাইলভিত্তিক প্রযুক্তিকে সহজলভ্য করার কারণে এম-গভার্নেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে দৃশ্যমান প্রয়াস তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হলো Global Mobile Gov Award 2017, ২০১৭ সালের ৯ মে বিশ্বখ্যাত m4life.org বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত National Mobile Application Awareness Development and Capacity Building Program-এর জন্য Global mobile Gov Award 2017-এ ভূষিত হয়। এর মাধ্যমে আরও একবার ডিজিটাল বাংলাদেশের বৈশ্বিক উপস্থিতি ও স্বীকৃতি পায় বাংলাদেশ। প্রায় ১০০ মনোনয়নকে পেছনে ফেলে ১ম পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এই অনন্য সম্মানের অংশীদার হয়। উল্লেখ্য যে, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও রাশিয়া যথাক্রমে ২য় ও ৩য় পুরস্কার অর্জন করে। আবার, ২০১৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ‘ভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ফর আইসিটি’ সম্মাননাও পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বাংলাদেশের মানুষের জন্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উদ্যোগ বাস্তবায়নে অসামান্য অবদান ও প্রতিযোগিতামূলক টেকসই উন্নয়নের একটি হাতিয়ার হিসেবে আইসিটির প্রতি অঙ্গীকার ও অসাধারণ নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ জয়কে এ রকম আরো অনেক পুরস্কার দেওয়া হয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার একটি মহতী উদ্যোগ। এটি বাস্তবায়ন করছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। উপমহাদেশের নোবেলবিজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেনও বাংলাদেশের সামাজিক ক্ষেত্রে, বিশেষত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সফলতার বিষয়টি তাঁর বইসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে উল্লেখ করেছেন। বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর মতে, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন উড়ন্ত সূচনার পর্যায়ে রয়েছে। তার ভাষায় প্রবৃদ্ধি ‘তরতর’ করে বাড়ছে। তিনি আরও মন্তব্য করেন, ‘আজকের বাংলাদেশ পুরোটাই সাফল্যের গল্প, যা বিশ্বের অনেক দেশের জন্যই দৃষ্টান্ত।’ টানা কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের ওপরে রয়েছে এবং চলতি অর্থবছরে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশে উপনীত হয়েছে। জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত Millennium Development Goals বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের আগে এবং ২০১৫-এর অনেক আগেই বাস্তবায়ন করে সারা বিশ্বের দৃষ্টি কেড়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। The Rise of the South শীর্ষক জাতিসংঘের ‘মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০১৩’-তে যে ১৮টি দেশ এমডিজি অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন মন্তব্য করেছিলেন, ‘বাংলাদেশ পারে, বাংলাদেশ হচ্ছে অর্থনীতির এলাকায় একটি রোল মডেল।’ বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট কিম ইয়ং জিমও বাংলাদেশের প্রশংসায় পিছিয়ে থাকেননি। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে বাংলাদেশ সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের অগ্রগতি সারা বিশ্বের জন্য অনুকরণীয়।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা ২০১৫ সালে কেনিয়া সফরে গিয়ে বাংলাদেশের আইসিটি খাতের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছিলেন, ‘সব দেশের উচিত বাংলাদেশকে অনুসরণ করা, তারা কীভাবে উদ্যোক্তা তৈরি করছে তা শেখা উচিত।’ বাংলাদেশকে নিয়ে সারা বিশ্বের আজকে যে উচ্ছ্বাস এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে তাদের আগ্রহ প্রমাণ করে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ ও হিরন্ময় নেতৃত্বে বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে আসতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর পরে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে শেখ হাসিনার নামে সবাই বাংলাদেশকে চিনতে শুরু করেছে। বিগত ১০ বছরে তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি নিজে সম্মানিত হয়েছেন অসংখ্য ভূষণে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জন্যও এনেছেন অনেক সম্মাননা। আর এইসব ক্ষেত্রে উন্নয়নে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনার সঙ্গে স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়-এর সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ করতেই হয়।  

ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সেই সুখী, সমৃদ্ধ, বৈষম্য, দুর্নীতি, দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ, যা প্রকৃতপক্ষেই সম্পূর্ণভাবে জনগণের রাষ্ট্র এবং যার মুখ্য চালিকাশক্তি হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। এটি বাংলাদেশের জনগণের উন্নত জীবনের প্রত্যাশা, স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা। এটি বাংলাদেশের সব মানুষের ন্যূনতম মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর প্রকৃত পন্থা। এটি বাংলাদেশের জন্য দারিদ্র বা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে সমৃদ্ধ ও ধনী দেশে রূপান্তরের জন্য মাথাপিছু আয় বা জাতীয় আয় বাড়ানোর অধিকার। এটি হচ্ছে একুশ শতকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাঙলা। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রথম জাতীয় অঙ্গীকার হচ্ছে ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করে দেশ থেকে দারিদ্র্য ও বৈষম্য দূর করা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা পূরণ করা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যেসব কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: সরকারি যাবতীয় কাজ করার পদ্ধতি ডিজিটাল করা, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানো, ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, ডিজিটাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করা, কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্য ব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তর, যোগাযোগ ব্যবস্থায় ডিজিটাল পদ্ধতির প্রচলন করা, তথ্যের অবাধ চলাচলের জন্য ডিজিটাল ব্যবস্থা গ্রহণ। ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার প্রথম বছরে দৃঢ়তার সঙ্গে গড়ে তোলা হয়েছে এর ভিত্তি বা প্রথম সোপান। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থেকে টেকসই আর্থসামাজিক উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। তাই বর্তমান সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে ২০২১ সালের মধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলো। গত দশ বছরে ব্যাংকিংসহ সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, সেবা প্রদান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ নিশ্চিত করা হয়েছে। সব বয়সী জনগণ এই প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ইন্টারনেট সার্ভিস ও তথ্যসেবা কেন্দ্র চালু আছে। এগুলো থেকে প্রতি মাসে ৪০ লাখের অধিক গ্রামীণ মানুষ ই-সেবা নিচ্ছে। ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো ও ব্যয় কমানো হয়েছে। ইন্টারনেট গ্রাহকসংখ্যা সাত গুণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় পাঁচ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ১৫ কোটি মোবাইল সিম বাংলাদেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফোরজি মোবাইল ফোন চালু হয়েছে। গ্রাহকরা ভিডিওকল করাসহ উন্নত ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে। মোবাইল ফোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আখচাষিদের আখ সরবরাহ ও বিল প্রাপ্তি (ই-পুজি), বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল পরিশোধ, রেলওয়ে টিকিট ক্রয়, বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আনয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিবন্ধন, মোবাইল মানি অর্ডার, বিভিন্ন সেবার ডেটলাইন অবহিতকরণ ইত্যাদি সেবা চালু করা হয়েছে। সরকারি দপ্তরের ই-মেইলের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান, অনলাইন আয়কর রিটার্ন দাখিল, অনলাইন ট্যাক্স ক্যালকুলেটর ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।  

বাংলাদেশের অগ্রগতির ইতিহাস এখন সমৃদ্ধ। দেশের প্রতিটি সূচকে এগিয়ে আছি আমরা। শেখ হাসিনার সরকারের তৃতীয় মেয়াদ শেষে আমরা দেখতে পাই, বর্তমান সরকারের বিগত দশ বছরে মাথাপিছু আয় তিনগুণের বেশি বেড়েছে, জিডিপিও বেড়েছে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে ‘গণমানুষের শেখ হাসিনা’ গ্রন্থে প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমানের এক গবেষণা প্রবন্ধ থেকে জানতে পারি, বঙ্গবন্ধুকন্যা ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ২০০৯ সালের শুরুতেই দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করেন। এরপর থেকে বিগত এক দশক ধরে তিনি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন একটি উন্নত অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ নির্মাণের অভিপ্রায় নিয়ে। এই এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে অভাবনীয় উন্নতি ঘটেছে। অর্থনীতির আকার তিনগুণ বেড়ে বর্তমানে ২৮৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। প্রবৃদ্ধির হার ৫.৪ শতাংশ থেকে বেড়ে সর্বশেষ ৭.৮৬ শতাংশ হয়েছে। চলতি অর্থবছরে (২০১৮-১৯) তা আট শতাংশ পেরিয়ে যাবে। আমরা স্বপ্ন দেখছি তা অচিরেই দশ শতাংশে পৌঁছে যাবে। মাথাপিছু আয় তিনগুণ বেড়ে এখন ১,৯৫১ ডলার হয়েছে। ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে তিনগুণ। বিনিয়োগ চারগুণ। মূল্যস্ফীতি ১২% কমে ৫.৪ শতাংশে নেমেছে। প্রকৃত আয় লাগাতার বেড়েই চলেছে। দশ বছর আগে একজন খেতমজুর দৈনিক মজুরি দিয়ে তিন/চার কেজি চাল কিনতে পারতেন। এখন তিনি তা দিয়ে বারো/তেরো কেজি চাল কিনতে পারেন। আমাদের জীবনের গড় আয়ু এখন ৭৩ বছর। ভারতে ৬৯ বছর। শিশু মৃত্যুর হার গত দশ বছরে কমে হাজারে পঁয়ত্রিশে নেমে এসেছে। আর্থিক খাতে ব্যাপক ডিজিটালাইজেশন ঘটেছে। ব্যাংকের গ্রামীণ শাখার সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। ৭ কোটি মোবাইল ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিং আর্থিক অন্তর্ভুক্তির নয়া দিগন্ত উন্মোচন করছে। এই দুই ধারার ব্যাংকিং খাতে দশ লাখের মতো এজেন্ট উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেরাই গড়ে তিন চারজন তরুণের চাকরি দিচ্ছে। প্রতিদিন এক হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ শহর থেকে গ্রামে যাচ্ছে। কোটি খানিক কৃষকের দশ টাকার হিসাব রয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীরাও দশ টাকার হিসাব খুলতে পারছেন। গ্রামীণ অর্থনীতি তাই খুবই চাঙ্গা। উদ্যোক্তার সংখ্যা দিন দিনই বাড়ছে। পনের লাখ ছাত্রছাত্রী তাদের স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমের আওতায় প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা জমা করেছে। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন একজন রিকশাওয়ালা নিয়মিত মোবাইল ব্যাংকিং করছেন। রেমিট্যান্স দ্বিগুণ বেড়ে প্রায় ষোলো বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। রিজার্ভ বেড়েছে ৫ গুণের বেশি। তাই নিজেদের অর্থে পদ্মাসেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের সাহস দেখাতে পারেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। প্রস্তাবিত একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে এক কোটিরও বেশি কর্মসংস্থান হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে সাইবার মহাসড়ক বিস্তৃত হচ্ছে। হাজার হাজার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ও ই-পোস্ট অফিস স্থাপনের ফলে ৬ লাখ আউট সোর্সিং উদ্যোক্তাসহ অসংখ্য ডিজিটাল তরুণ উদ্যোক্তার বিকাশ ঘটেছে এই দশ বছরে। ঢাকাসহ বড় বড় শহরে অর্থনীতির ব্যাপক ‘উবারিকরণ’ ঘটছে। ‘উবার’, ‘পাঠাও’, ‘সহজ’, ‘ও ভাই’, ‘ও বোন’-এর মতো রাইড শেয়ারিংয়ে কয়েক লাখ তরুণ এখন অংশীদার। ই-কমার্স ও এফ-কমার্সের সুযোগ নিয়ে নারী উদ্যোক্তাসহ তরুণ উদ্যোক্তারা এখন অন-লাইন ব্যবসা-বাণিজ্যে খুবই সক্রিয়। বিশেষ করে, ঈদ, নববর্ষ ও পূজার সময় তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটে। ‘নগদ’, ‘বিকাশ’ ও ‘রকেট’সহ ডিজিটাল লেনদেন সেবারও তখন প্রসার ঘটে।

তরুণ উদ্যোক্তাদের এই অভিযাত্রাকে আরও গতিময় করার অভিপ্রায়েই বঙ্গবন্ধুকন্যা এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ শিরোনামে অনেকগুলো প্রস্তাব রেখেছেন। একই সঙ্গে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের মূল চেতনাকে সমুন্নত রাখা, দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিপনা ও মাদককে ‘জিরো টলারেন্স’ জানিয়ে এ ইশতেহার তরুণ প্রজন্মের মনকে দারুণভাবে আন্দোলিত করেছে। তরুণদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার আমাদের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ এই তরুণদের আস্থা অর্জনে এ ইশতেহার নিঃসন্দেহে আশাবাদী এক বার্তা দিতে পেরেছে বলে আমার মনে হয়েছে। ‘সোনার বাঙলা’ ও ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার প্রধানতম শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের মানসম্মত শিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান প্রদান, তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা, রাজনৈতিক ও নাগরিক ক্ষমতায়নের অঙ্গীকার করেছে আওয়ামী লীগের এ ইশতেহার। তাছাড়া, তাদের মেধা প্রতিভা বিকাশে সুষ্পষ্ট নীতিগত উদ্যোগ, প্রশাসন ও বাজেটে যুবনীতির প্রতিফলন, যুববিভাগ গঠন, যুব বাজেট প্রদান, যুব গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা, কারিগরি শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশে বাড়তি বিনিয়োগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও অন্যান্য সুযোগ বাড়ানো, প্রতিটি উপজেলায় যুব প্রশিক্ষণ তথা তরুণ কর্মসংস্থান কেন্দ্র স্থাপন, (‘কর্মঠ’ ও ‘সুদক্ষ’ প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া), তরুণদের সমন্বিত তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করা এবং ২০২৩ সালের মধ্যে দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার প্রস্তাব করেছে এ ইশতেহার। তাছাড়া সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে তরুণদের উদ্যোক্তা করার উদ্যোগ, ‘তরুণ উদ্যোক্তা নীতি’ গ্রহণ, যুব বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন, তরুণদের স্বল্প খরচে ইন্টারনেট দেওয়ার জন্য ‘ইয়ুথ প্ল্যান’ চালু করা, প্রতিটি জেলায় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র স্থাপন, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরির সময় যুব মতামত গ্রহণ এবং যুব নারী উদ্যোক্তাদের আলাদা ব্যাংকিং সুবিধা, জয়িতা ফাউন্ডেশনের প্রসার, সরকারি প্রতিষ্ঠানে বাচ্চাদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টারসহ অনেকগুলো সৃজনশীল প্রস্তাব রেখেছে এ ইশতেহার।’ আর তাই বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, এ রাষ্ট্রের সরকার প্রধানদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ ডিজিটাল রূপান্তর বা জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে তত্ত্বীয় বা প্রায়োগিক কোনো কাজ করেননি। সব দেশেই মহান নেতারা দেশের অগ্রগতিকে সামনে নিয়ে যান। শেখ হাসিনা আমাদের সেই রাষ্ট্রনায়ক। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্পূর্ণ হতে চলেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন এ দেশের স্বাধীনতার রূপকার, তেমনি ‘আধুনিক’ ও ‘ডিজিটাল’ ‘জ্ঞানভিত্তিক’ বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাতেই গড়ে উঠেছে। এ বিষয়ে তাঁর অবদান সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে। আর মায়ের এই সাফল্যমালায় নিরন্তর সর্বাত্মক সহযোগিতা করে গেছেন সুপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। 

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর অর্থ বিভিন্নজনে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে থাকেন। সাধারণ মানুষ এর দ্বারা দেশের সকল কর্মকাণ্ড কম্পিউটার পরিচালিত একটি ব্যবস্থাকে বুঝে থাকে। কলাকৌশলী অর্থে এর দ্বারা শক্তিভিত্তিক প্রযুক্তিনির্ভর সমাজকে বুঝায়। প্রশাসনিক পরিভাষায় এর দ্বারা একটি জবাবদিহিমূলক ন্যায়ভিত্তিক সমাজ তথা প্রশাসনিক রাষ্ট্রীয় কাঠামো গড়াকে বুঝায়। রাজনীতির ভাষায় ডিজিটাল বাংলাদেশ হলো গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সম্পন্ন সমাজ বিনির্মাণ। তবে যে অর্থে, যে বিবেচনায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের’ ব্যাখ্যা প্রদান করা হোক না কেনো এর অন্তর্নিহিত অর্থ এক ও অভিন্ন। আর তা হলো এমন একটি সমাজ ও প্রশাসনিক কাঠামো যা গতিশীল ও স্বচ্ছ, যাতে সকল মানুষের অবাধ অংশগ্রহণ ও প্রবেশাধিকার থাকে; যেখান থেকে মানুষ দ্রুততম সময়ে তার অধিকারের অংশটুকু নির্বিঘ্নে পেতে পারে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সম্পন্ন, যুক্তিনির্ভর সমাজ ও রাষ্ট্র কাঠামো প্রতিষ্ঠা হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের মৌলিক উপাদান। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের প্রাথমিক আবহ তৈরি করতে বিজ্ঞানমনষ্ক গণতান্ত্রিক চেতনার বিকাশ প্রয়োজন। বাংলাদেশে বিদ্যমান সংসদীয় গণতন্ত্রে সরকারি ও বিরোধী দলের কার্যকরী ভূমিকা ও পারস্পরিক সম্মানবোধ, সংসদীয় সংস্কৃতির চর্চার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। আর তারই প্রয়াস দেখি, আওয়ামী লীগ সরকার সব নাগরিকের জন্য ‘প্রযুক্তি বিভেদমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার পথে অনেক দূর এগিয়েছে। গ্রামের স্কুলের ডিজিটাল ক্লাসরুম থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত এলাকায় বসে সরকারি তথ্য জানার অসাধারণ সব সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ধারণার বদৌলতে। প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এই ধারণা প্রচলনের পুরো কৃতিত্ব নিতে পারেন সহজে। কারণ তিনি আধুনিক বিশ্বে শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তির শহরে লেখাপড়া করে এসেছেন। তাঁর পরামর্শেই ইন্টারনেট সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এক হাজার ইউনিয়ন পরিষদের অপটিক্যাল ফাইবার ফোন নেটওয়ার্ক স্থাপন করার কাজ শুরু হয়েছে। পোস্ট-ই-সেন্টার রুরাল কমিউনিটি ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর গ্রামীণ ডাকঘর নির্মাণ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হতে চলেছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিরিয়াল কেবলের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার ফলে গ্রাহকরা নিরবচ্ছিন্নভাবে ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করতে পারছেন। ৬৪টি জেলাই ফাইবার অপটিক সংযোগের আওতায় এসেছে। যার ফলে বিস্তৃত এলাকায় দ্রুততর ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যাবে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ একদল মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সচেতন করে তুলেছে। অন্যদিকে আরেক দল মানুষ প্রগতি থেকে ছিটকে পড়েছে। আর তাই মানুষের চেতনা নির্মাণে প্রযুক্তির কার্যকারিতা বিবেচনার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ‘ভিশন-২০২১’ অনুযায়ী আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুসারে ২০২১ সালের লক্ষ্য হলো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। এ জন্য ২০১৩ সালে মাধ্যমিক স্তর ও ২০২১ সালকে টার্গেট করে প্রাথমিক স্তরে আইটি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৯৯৬ সালে গঠিত ও জোট সরকারের আমলে নিষ্ক্রিয় করা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক টাস্কফোর্স পুনরায় সক্রিয় ও কার্যকর। দেশের বিভিন্ন স্থানে হাই টেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, আইসিটি ইনকুবেটর ও কম্পিউটার ভিলেজ স্থাপন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের এখন সময় এগিয়ে যাবার।

বলা হয়ে থাকে, যাদের অতীত ইতিহাসে অর্জনের স্মৃতি আছে শুধু তারাই স্বপ্ন দেখতে পারে এবং অন্যকেও দেখাতে পারে। যাদের অতীত ইতিহাসে অর্জনের খাতা শূন্য তারা নিজেরা যেমন স্বপ্ন দেখে না তেমনি অন্যকেও দেখাতে পারে না। একটানা তিনটি মেয়াদের সরকারের আমলে অর্জিত মোটা দাগে অনেকগুলি অর্জনের কথা আমরা জানি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব লাভের পর দেশবাসীর কাছে অঙ্গীকার করেছিলেন যে, ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। অন্যদিকে, জাতিসংঘ মার্চ, ২০১৮-এ জানিয়েছে, আমরা স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছি। আর তাই পরিচয় পাই গত ১০টি বছর আমাদের উন্নয়ন অর্জন সারা বিশ্বে প্রশংসিত হওয়ার নানা খবরে, সম্মাননায়। পৃথিবীর অনেক আন্তর্জাতিক গবেষণা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত সংস্থা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বিস্ময়কর ও অনুকরণীয় বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। Citigroup-এর বিবেচনায় ২০১০ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে বিশ্বে সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি সঞ্চালক 3G (Global Grotwh Generator) Countries তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। Price Waterhouse Coopers (PwC)-এর 2017-Gi The World in 2050 শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ, ভারত ও ভিয়েতনামকে আগামী দিনে ২০৫০ সাল পর্যন্ত বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুতগতির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ রকম আরো অনেক তথ্য আমাদের অনেকেরই জানা, বিশেষত গবেষকদের।

সবশেষে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয়ের উজ্জ্বল কর্মজীবনের চুম্বক অংশ তুলে ধরা প্রাসঙ্গিক কারণেই জরুরি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু তাঁর এই নাতির নাম রাখেন জয়। বিশ্বখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা দম্পতির প্রথম সন্তান জয় ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বাবা-মায়ের সঙ্গে জার্মানি থেকে ভারতে আসেন। তাঁর শৈশব-কৈশোর কাটে ভারতেই। নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন জয়। এরপর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক-প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তাঁদের একটি কন্যা সন্তান আছে। ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জয় রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন। গত সংসদ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেন ও দেশের বিভিন্ন এলাকা সফরের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝেও প্রভাব সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও ২০১৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে দায়িত্বশীল পদপ্রাপ্তি নিয়ে গুঞ্জন ওঠে। কিন্তু দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হতে অনীহা প্রকাশ করেন তিনি। ২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্য-প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয়কে অবৈতনিকভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। বর্তমানে সংগঠন ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা-বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়। বিশেষ করে দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনিমার্ণের পথে আত্মনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন তিনি। আগেও উল্লেখ করেছি, দেশ গঠনে তরুণদের মতামত, পরামর্শ শুনতে তাঁর ‘লেটস টক’ ও ‘পলিসি ক্যাফে’ দুটি প্রোগ্রাম ইতোমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। এ ছাড়াও তিনি তরুণ উদ্যোক্তা ও তরুণ নেতৃত্বকে একসঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি প্রশিক্ষিত করতে তরুণদের বৃহত্তম প্লাটফর্ম ‘ইয়ং বাংলার’ সূচনা করেন। বর্তমানে বেশির ভাগ সময়েই দেশের বাইরে অবস্থান করতে থাকা সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ফেসবুকে মতামত ব্যক্ত করে থাকেন। ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়েছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলো। সেই বঙ্গবন্ধুর কন্যা ‘ডটার অব পিস’ নামে খ্যাত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার পুত্রও একদিন তাঁর শিক্ষা, মেধা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে বদলে দেবেন বাংলাদেশকে। সজীব ওয়াজেদ জয়ের সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও দিকনির্দেশনা দেওয়ার কারণে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অভাবনীয় উন্নয়ন করছে বাংলাদেশ। সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের জন্য তাই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। ডিজিটাল বাংলাদেশের কারিগর তিনি শুধু দিয়েই গেলেন, প্রাপ্তির খাতায় পেলেন ডিজিটাল প্রজন্মসহ আপামর জনগণের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা, যা আগামী প্রজন্মের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।   

আবারো স্মরণ করছি আমাদের এগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্রণা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, তাঁর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দর্শনের মাধ্যমে আমাদের মাঝে তিনি আছেন সূর্যের মতো দেদীপ্যমান। আমাদের সব কাজে তিনি অনুপ্রেরণার উৎস; তাঁর মূলমন্ত্রকে ধারণ করেই আওয়ামী লীগ সরকার সাফল্যের সঙ্গে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে বাংলাদেশকে আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছে। জাতির পিতার কন্যা ‘মানবতার জননী’ শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিগত তিন মেয়াদে পনেরো বছরে লব্ধ উন্নয়ন অভিজ্ঞতা অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি মৌলিক ও অভিনব। আজ আমরা বড় অর্থনীতির কাতারে চলে এসেছি। যেখানে আমাদের সঙ্গে আছে চীন, ভারত, রাশিয়া, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার মতো দেশ। বৈশ্বিক প্রতিকূল বিষয়গুলো প্রশমনের মাধ্যমে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থান সুসংহত। টেকসই উপায়ে এ অবস্থান ধরে রাখতে এবং ক্রমে ক্রমে আরও এগিয়ে যেতে প্রয়োজন হবে উদ্ভাবনী দক্ষতা ও কৌশল, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সমতা ও সার্বজনীন অংশগ্রহণ। আর তাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অংশগ্রহণ করে উন্নত প্রযুক্তির কুশলী প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশ করতে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রত্যয়টি আরো গভীরভাবে সকলের মাঝে স্থান পাবে। মানসম্পন্ন শিক্ষার বিকাশ ও বিস্তারের মাধ্যমে, নানা কর্মসুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সজীব ওয়াজেদ জয়-এর ভূমিকার সঠিক ও প্রয়োজনীয় মূল্যায়নের জন্য স্বাভাবিক কারণেই আমাদের আরো কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে।            

স্বপ্নবান মানুষ জয়ের বিজয় রথ থেমে থাকার নয় বলেই আরো অনেক স্বপ্নবীজ বপনে ও ফুলে-ফলে পুষ্পালয় গড়ে তুলে ‘মুজিব থেকে সজীব’ আমাদের আশাবাদের সোনালি রঙধনু হয়ে জেগে ওঠেন, সকল ভয়কে জয় করতে বাতিঘর হয়ে ওঠেন, ‘দেশ আমার-দায়িত্ব আমার’ চেতনাকে সকলের মাঝে গভীরভাবে জাগিয়ে তোলেন। সোনার বাঙলা থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ-এর ইতিবাচক সকল আশাবাদের গভীর আত্মপ্রত্যয় আমাদের স্বপ্নবীজকে মহীরুহতে রূপান্তরিত করবে বলেই বিশ্বাস করি।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত