চলনবিলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর উদ্যোগে চলাচলের জন্য নৌকা, খাদ্য সামগ্রী বিতরণ - তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা নিশ্চিত

2107

Published on জুলাই 24, 2020
  • Details Image
  • Details Image
  • Details Image

নৌকা এখন চলনবিলের মানুষের একমাত্র ভরসা মন্তব্য করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বানের পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চলনবিলেন দুর্গম কয়েক গ্রামের মানুষ এখন পানিবন্দি। তাদের চলাচলের একমাত্র বাহন এখন নৌকা।

শুক্রবার নাটোরের সিংড়া উপজেলার লালোর ইউনিয়নের জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে ১৩টি নৌকা বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক গোলাম রাব্বী, সিংড়া ইউএনও নাসরিন বানু,পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফাসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। অনুষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চাল, ডাল ও শুকনো খাবার সহ পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়।

  • চার শতাধিক বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা বিতরণ
  • বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের যাতায়াতের জন্য ১৩টি নৌকা
  • ২৫টি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ
  • প্রাথমিকভাবে ৫০টি আশ্রয় কেন্দ্র
  • ২১টি আশ্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে
  • প্রায় সাড়ে ৫ শতাধিক পরিবারের ১২০০ মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেছে

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নাটোর জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা হক রোজী, লালোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, বিলহালতি ত্রিমোহনী অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ মকসেদ আলী প্রামাণিকসহ বিভিন্ন দফতরের সরকারি কর্মকর্তারা।

পরে প্রতিমন্ত্রী পলক দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে চলনবিলের ডুবন্ত সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে বন্যাদুর্গত এলাকা ঘুরে দেখেন। এসময় কখনও কখনও কোমর পানিতে নেমে হেঁটে দুর্গতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নিজ হাতে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেন।

এসময় তিনি বর্ন্যাতদের উদ্দেশ্যে বলেন, চলনবিলের কোন মানুষ না খেয়ে থাকবেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে বৈশ্বিক মহামারি মোকাবেলা করে চলেছেন, তেমনি এই বন্যায় আপনাদের কোন কষ্ট পেতে দেবেন না। তিনি সব ব্যবস্থা করে রেখেছেন। আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন আপনাদের সেবা করতে, পাশে থাকতে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণে কর্মহীন সাধারণ মানুষ যখন দিশেহারা, ঠিক সেই মুহূর্তে বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে। সিংড়া উপজেলার ১২টির মধ্যে ইতোমধ্যে ৮টি ইউনিয়ন এবং পৌরসভার লক্ষাধিক মানুষ বন্যাকবলিত। দুর্দশাগ্রস্ত ও পানিবন্দি মানুষের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে ও তাদের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, বন্যার কারণে উপজেলার যেখানেই কোনও সমস্যার কথা জানা যাচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে সেই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বন্যার পানির স্রোতের টানে উপজেলার বিলহালতি ত্রিমোহনী কলেজের সামনের রাস্তা ভেঙে যাতায়াত বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তা রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।’

এ সময় প্রতিমন্ত্রী পলক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ত্রিমোহনী, ডাঙ্গাপাড়া, বড়বারইহাটি ও ডাকমণ্ডব এলাকার বন্যার্ত ৫শ’ পরিবারকে ত্রাণ দেন। এছাড়া পানিবন্দি পরিবারের চলাচলের জন্য ১৩টি নৌকা হস্তান্তর করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান, লালোর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

সৌজন্যেঃ বাংলা ট্রিবিউন, সমকাল, যুগান্তর

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত