করোনা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে কৃষিখাতে উন্নয়ন ও কৃষকদের কল্যাণে আওয়ামী লীগের উদ্যোগ

5086

Published on জুলাই 20, 2020
  • Details Image

করোনা দুর্যোগে কৃষকদের পাশে রয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। করোনার কারণে শ্রমিক সংকটে থাকা কৃষকদের জমির পাকা ধান যাতে ঘরে তুলতে সমস্যা না হয়, সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও এর সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকদের ধান কেটে দিয়েছে।

করোনাসংকট মোকাবেলায় কৃষকবান্ধব পদক্ষেপঃ

বাংলাদেশ সুপার-সাইক্লোন ‘আম্ফান’ এবং কোভিড-১৯-এর মতো দুটি দুর্যোগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে দেশব্যাপী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকঋণ গ্রহীতাদের দুই মাসের সুদ মওকুফ করতে সরকারের পক্ষ থেকে বাজেটের আগে দুই হাজার কোটি টাকার নতুন আরেকটি প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দেন। ওই দুই হাজার কোটি টাকাসহ সরকার ঘোষিত ১৯টি প্রণোদনা প্যাকেজে মোট পরিমাণ দাঁড়াল এক লাখ তিন হাজার ১১৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ ১২ দশমিক ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।

জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে সচল রাখতে আগে উল্লিখিত প্রণোদনা ঘোষণার পাশাপাশি ভাতা কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধি করে ৮১১ কোটি এবং গৃহহীন মানুষের জন্য ঘর তৈরির জন্য দুই হাজার ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। বোরো ধান/চাল ক্রয়ের কার্যক্রম (অতিরিক্ত দুই লাখ টন) ৮৬০ কোটি টাকা এবং কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ ২০০ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে কৃষকদের জন্য আউশ ধানের বীজ ও সার বিনামূল্যে পৌঁছানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বোরো মৌসুমে আট লাখ মেট্রিক টন ধান, ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল, দুই লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন আতপ এবং ৮০ হাজার মেট্রিক টন গমসহ সর্বমোট ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামগ্রিক কৃষিকে গতিশীল রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে খাদ্য উত্পাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আবাদি জমি ফেলে না রেখে প্রতি ইঞ্চি পতিত জমিতে ফসল ফলানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আজকের এই করোনা সংকটকালে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে কৃষি, প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার কৃষি প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন এই প্রণোদনা থেকে কৃষকরা ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে মাঠে ফসল চাষ করতে পারবেন। এ ছাড়াও ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ভর্তুকি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সার, সেচ ছাড়াও এই ভর্তুকি খামার যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ব্যবহার করা যাবে। কৃষকের আর্থিক অবস্থার কথা মাথায় রেখেই গত নির্বাচনের ইশতেহারে আওয়ামী লীগ বলেছিল ‘সহজ শর্তে সময়মত কৃষি ঋণ, বিশেষ করে বর্গাচাষীদের জন্য জামানতবিহীন কৃষি ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। মহিলা কৃষকদের জন্য গৃহাঙ্গন ও মাঠে ফসল চাষের জন্য কৃষি ঋণ আরো সহজপ্রাপ্য করা হবে’। করোনা সংকট পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই প্রতিশ্রুতি পুরন করেছেন। তাঁর সুনির্দিষ্ট নির্দেশনায় দেশের রাষ্ট্রযন্ত্র সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতায় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। বর্তমান ফসল উত্তোলন, ফসলের নমুনা কর্তন, বিদ্যমান ফসলের পরিচর্যা, উত্পাদনের উপকরণ সংগ্রহ ও সরবরাহ, বিতরণ, প্রণোদনা কর্মসূচির তালিকা তৈরি ও বাস্তবায়নসহ জরুরি নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে চলমান ত্রাণ কার্যক্রমেও ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বোরো ধান উত্পাদন সংগ্রহের ক্ষেত্রে আজ আমরা সফল। এই মৌসুমে ধান উৎপাদন হয়েছে ২ কোটি ৬ লক্ষ টন। এবার আউশের আবাদ গত বছরের চেয়ে প্রায় ৩ লক্ষ হেক্টর বৃদ্ধি করা হয়েছে। আউশের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মে মাসের মধ্যেই রোপণ কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আশা করতে পারি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আউশের উত্পাদন গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি হবে এবং লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে গত বছর ১১ লাখ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ করা হয়েছিল এবং ধান উত্পাদন হয়েছিল ৩০ লাখ টন। এ বছর ১৪ লক্ষ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ করা হবে এবং উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত করা হয়েছে ৩৭ লাখ মেট্রিক টন। আমন ধানের চাষাবাদ এবং উত্পাদনের ক্ষেত্রে ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের যথাযথ পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই নিয়েছে।

জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ চাল উত্পাদনে উদ্বৃত্ত। এরই ধারাবাহিকতায় চাল উত্পাদনে আজ বাংলাদেশ ইন্দোনেশিয়াকে পেছনে ফেলে সারা বিশ্বে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষির অগ্রগতিতে আমরা আরো অনেক দূর এগিয়ে যাব।

কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণঃ

কৃষিকাজে জমি আবাদে প্রায় শতভাগ যান্ত্রিকীকরণের ছোঁয়া লেগেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে আওয়ামী লীগ ঘোষণা দেয় কৃষিতে শ্রমিক সংকট লাঘবের জন্য সহজে ব্যবহার্য ও টেকসই কৃষি যন্ত্রপাতি সুলভে সহজপ্রাপ্য করা হবে। শস্য রোপণ বা বপন, কর্তন ও মাড়াইয়ের মতো কাজগুলো এখনো সনাতন পদ্ধতিতেই করে থাকেন কৃষক। এসব কাজে ধানের ক্ষেত্রে অতি নগণ্য পরিসরে যন্ত্রের ব্যবহার হলেও অন্য ফসলে তা-ও নেই। এ অবস্থায় শস্যের সব পর্যায়ে যান্ত্রিকীকরণের ছোঁয়া লাগাতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে সরকার। এর মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে ৫৭ হাজার কৃষিযন্ত্র দেয়া হবে কৃষককে।

নতুন প্রকল্পের আওতায় ৫৭ হাজার ২৫০টি বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি কেনায় খরচ রাখা হয়েছে ২ হাজার ৭১৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ধান, গম ও ভুট্টার জন্য সাড়ে ১৫ হাজার কম্বাইন হারভেস্টারে ব্যয় হবে ২ হাজার ৫৭ কোটি টাকা, ৯ হাজার রিপার ও রিপার বাইন্ডার ক্রয়ে ১১৯ কোটি টাকা। রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মধ্যে রাইডিং টাইপ দুই হাজার এবং ওয়ার্কিং টাইপ তিন হাজার যন্ত্র ক্রয়ে ২২৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এছাড়া সিডার বা বেড প্লান্টার ক্রয়ে ৫৬ কোটি টাকা, পাওয়ার থ্রেসার ক্রয়ে ৫২ কোটি ২০ লাখ, পাঁচ হাজারটি মেইজ শেলার ক্রয়ে ৩৭ কোটি ৭০ লাখ, পাঁচ হাজারটি ড্রায়ার ক্রয়ে ৮১ কোটি, ১ হাজার ৫০০টি পাওয়ার স্প্রেয়ার ক্রয়ে ২ কোটি ১২ লাখ, ৭৫০টি পাওয়ার উইডার ক্রয়ে ২ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার, তিন হাজারটি পটেটো ডিগার ক্রয়ে ৩৭ কোটি ৪০ লাখ, দুই হাজারটি আলুর চিপস তৈরির যন্ত্র ক্রয়ে ১৮ কোটি এবং ৫০০টি ক্যারেট ওয়াশার ক্রয়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয় করে কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা হবে। এটি কৃষি যান্ত্রিকীকরণে এটি এযাবত্কালের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। এর আগে ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৯-২০১২ সাল সময়ে খামার যান্ত্রিকীকরণের প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৮ হাজার ৩৩৮টি বিভিন্ন যন্ত্র এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে জুলাই ২০১৩ থেকে জুন ২০১৯ সালে ২৫ হাজার বিভিন্ন কৃষি যন্ত্র কৃষকদের সরবরাহ করা হয়েছে।

এছাড়া প্রকল্পের মাধ্যমে ২৮ দিনব্যাপী নয় হাজার গ্রামীণ মেকানিক প্রশিক্ষণ, পাঁচ দিনব্যাপী ১৫ হাজার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ, এক হাজার কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ, ৩০ হাজার যৌথভাবে জমি ব্যবহারকারী কৃষক বা উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ, ১ হাজার ৪৪০ জনকে যন্ত্র উপযোগী ধানের চারা উৎপাদন কৌশল প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এছাড়া ১৯৭টি কৃষিমেলা, সমন্বিত খামারে ১ হাজার ২৪০ টন বীজ সহায়তা প্রদান করা হবে। রয়েছে ৪৩টি কর্মশালা, ১৮টি প্রশিক্ষণ ভবন ও ডরমিটরি নির্মাণ, একটি কৃষি যন্ত্রপাতি টেস্টিং ও প্রশিক্ষণ সেন্টার সুবিধা বৃদ্ধি, একটি টেস্টিং শেড নির্মাণ এবং ৩০০টি উপকরণ সংরক্ষণাগার নির্মাণ করা হবে।

কৃষকের উৎপাদন খরচ কমানোসহ উৎপাদন বাড়াতে কৃষির যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পটি বড় অবদান রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সরকার ভর্তুকি দেয়ার কারণে কৃষক পর্যায়ে কম্বাইন হারভেস্টার বা রিপার ব্যবহার শুরু করেছে। কাটা মৌসুমে শ্রমিকের সংকট মোকাবেলা, তরুণদের কৃষিতে ধরে রাখা, কৃষকের খরচ কমানো ও উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে সম্পদশালী করতে যান্ত্রিকীকরণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। যান্ত্রিকীকরণের সবচেয়ে বড় প্রভাবটি পড়বে শহর ও গ্রামের আয় বৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে।

মৎস্যসম্পদ খাতে উদ্যোগ ও সাফল্যঃ

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের শুরুতে ২০০৯-১০ অর্থবছরে মাছের মোট উৎপাদন ছিল ২৮.৯৯ লক্ষ মে টন। বর্তমানে সরকারের কৃষিবান্ধব পরিকল্পনার ফলে এই বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাছের চাহিদা ৪৫.৩৩ লক্ষ মে.টন-এর বিপরীতে মৎস্য উৎপাদন ৪৬.২৪ লক্ষ মে.টনে উন্নীত হয়েছে।

এর ফলশ্রুতিতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার The State of World Fisheries and Aquaculture 2020 এর প্রতিবেদন অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ ৩য় স্থান ধরে রেখে উৎপাদন বাড়ানোর হারে দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে। এবং বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে ৫ম স্থান গত বছরের মতোই ধরে রেখেছে। পাশাপাশি বিশ্বে সামুদ্রিক ও উপকূলীয় ক্রাস্টাশিয়ান্স ও ফিনফিস উৎপাদনে যথাক্রমে ৮ম ও ১২তম স্থান অধিকার করেছে। তেলাপিয়া উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে ৪র্থ এবং এশিয়ার মধ্যে ৩য় স্থান অধিকার করেছে।

বিপন্নপ্রায় মৎস্য প্রজাতির সংরক্ষণ, প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির জন্য দেশের বিভিন্ন নদ-নদী ও অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে স্থাপিত ৪৩২টি অভয়াশ্রম সুফলভোগীদের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে। ফলে বিলুপ্তপ্রায় এবং বিপন্ন ও দুর্লভ প্রজাতির মাছের পুনরাবির্ভাব ও প্রাপ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশসমূহ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, রাশিয়া, চীনসহ বিশ্বের ৫০ টিরও অধিক দেশে বাংলাদেশের মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি হচ্ছে। বর্তমান সরকারের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের ফলে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭৩১৭১.৩২ মে.টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে আয় হয়েছে প্রায় ৪২৫০.০০ কোটি টাকা। এছাড়া চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই, ২০১৯ থেকে মে, ২০২০ পযন্ত মোট ৬৫,১৭৬.২১ মে.টন মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি করে মোট আয় হয়েছে ৩৬৬৫.০৩ কোটি টাকা। বাংলাদেশ জিডিপিতে মৎস্যখাতের অবদান ৩.৫%।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করার এবং সবার জন্য পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার। এই লক্ষ্যে কাজ করে আজ একটি নিম্নআয়ের দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে এবং নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়ে উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের এক অভূতপূর্ব উল্লম্ফন ঘটেছে। তার প্রধান কৃতিত্ব শেখ হাসিনা সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের। তিনি দেশকে মর্যাদা ও সম্মানে বিশ্ব পরিমন্ডলে এক অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরেছেন।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত