2555
Published on জুন 17, 2020করোনা সংকট নিয়ে বিশেষ অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠান ‘বিয়ন্ড দ্যা প্যানডেমিক’ এর ষষ্ঠ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ রাত ১৬ই জুন (মঙ্গলবার) রাত ৮.৩০ মিনিটে। বরাবরের মতোই পর্বটি সরাসরি প্রচারিত হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ www.facebook.com/awamileague.1949 এবং অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে https://www.youtube.com/user/myalbd। একই সাথে সম্প্রচারিত হয়েছে বিজয় টিভির পর্দায় ও সমকাল, ইত্তেফাক ও বিডি নিউজের ফেসবুক পেইজে।
এবারের পর্বের আলোচ্য বিষয় ‘বাজেট ২০২০-২০২১: জীবন ও জীবিকার বাজেট’ যেখানে বক্তারা আলোচনা করেছেন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জাতীয় বাজেট এবং মানুষের জীবনে এর প্রভাব নিয়ে।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, এফবিসিসিআই এর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এবং বিআইডিএস এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ডঃ নাজনীন আহমেদ।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমাদের সরকার প্রধানের প্রথম চিন্তা ছিলো করোনা ভাইরাস ঠেকানো। তাই প্রথমেই তিনি স্বাস্থ্যখাতে নজর দিলেন। দ্রুততম সময়ের মাঝে ডাক্তার নিয়োগ, পিপিই, মাস্ক আমদানিসহ স্বাস্থ্যখাতে যারা জড়িত যেমন ডাক্তার, নার্সদের কল্যাণে প্রণোদনার ব্যবস্থা করেন তিনি। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের খাদ্য সহায়তা নিশ্চিতে কাজ শুরু করেন। সর্বোপরি দেশের ব্যবসা বাণিজ্য স্থিতিশীল রাখতে ১ লাখ ২ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকার ১৯টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনা শুরুর প্রথম থেকেই তিনি বলেছেন, কোন শ্রমিক যাতে কষ্ট না পায়। সে জন্যেই তিনি করোনা শুরুর একেবারেই প্রথম থেকে শ্রমিকদের বেতন ভাতা নিশ্চিতের জন্য ৫০০০ কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। আগস্টের মাঝামাঝিতেই এই খাত ঘুরে দাঁড়াবে। তাই কোনভাবেই শ্রমিক ছাটাই আমরা এক্সেপ্ট করিনা।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের টার্গেট হচ্ছে স্বল্পমূল্যে জ্বালানী সকলের নিকট বিতরণ করার পাশাপাশি আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ করা। এবারের বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে ২৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আমরা এবারের বাজেটের বেশিরভাগ টাকাই ডিস্ট্রিবিউশন ও ট্রান্সমিশনে ব্যয় করছি আমরা। এবং এই পরিস্থিতির মাঝেও আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সফলভাবে কাজ পরিচালনা করে যাচ্ছে। এই সিচুয়েশনেকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আশা করি আমরা ভালো করতে পারবো।
বিআইডিএস এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ডঃ নাজনীন আহমেদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার আছে দূর্নীতিমুক্তভাবে কোনভাবেই অপচয় করা যাবে না সম্পদের। স্বাস্থখাতের বাজেটের বিষয়ে দুইটি জিনিস লক্ষ্য রাখতে হবে কোনভাবেই অপচয় যাতে না হয় এবং এফিসিয়েন্টলি এইটা ব্যবহার করা। করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের সাথে সাথে সেটা সবার কাছে পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কোভিড-১৯ কিন্তু আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য খাতে কোন জায়গাওগুলোতে আসলে বরাদ্দ প্রয়োজন। সেই জায়গাগুলোতে যাতে বরাদ্দটা ব্যবহার হয়।
ফেসবুক কমেন্টের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সরাসরি তাদের প্রশ্নগুলো আলোচকদের কাছে তুলে ধরা হয়। করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ও আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিয়ে তাদের ভাবনা ও প্রত্যাশা সরাসরি জানানোর সুযোগ সৃষ্টির জন্যই ‘বিয়োন্ড দ্যা প্যানডেমিক’ নামে আলোচনা অনুষ্ঠান নিয়মিত আয়োজন করা হচ্ছে।
এর আগে, বিয়ন্ড দ্যা প্যান্ডেমিকের পাঁচটি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ পর্বটি প্রচারিত হয়েছে গত ৬ জুন। এই পর্বে বক্তারা কোভিডের সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের সক্ষমতা, করোনা চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন।