2186
Published on মে 17, 2020বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গৃহিত স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক চীন ও অন্যান্য দেশের সংশ্লিষ্ট কারিগরি নির্দেশনা অনুসরণ করে 'বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ক্রমান্বয়ে চালু করার সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থাপনা ও পেশার জন্য কারিগরি নির্দেশনা' প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
পার্ক
১. খোলার আগে মহামারী প্রতিরোধী সামগ্রী যেমন মাক্ষ, জীবাণুমুক্তকরণ সামগ্রী ইত্যাদি সংগ্রহ করুন। আপদকালীন পরিকল্পনা তৈরী করুন। আপদকালীন ডিসপোজাল এলাকা স্থাপন করুন। সকল ইউনিটের জবাবদিহিতা বাস্তবায়ন করুন এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণকে জোরদার করুন।
২. প্রত্যেক কর্মচারীর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করুন। প্রতিদিন কর্মীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক অবস্থা নথিভুক্ত করুন এবং যারা অসুস্থতা অনুভব করবে তাদের সঠিক সময়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিন।
৩. প্রতিটি পার্কের প্রবেশ মুখে তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র বা তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং শুধুমাত্র স্বাভাবিক তাপমাত্রার মানুষের প্রবেশাধিকার থাকবে।
৪. বারবার পার্কের বিভিন্ন জায়গা যেমন বসার স্থান, গণশৌচাগার, ব্যায়ামের যন্ত্রপাতি, ময়লার ঝুড়ি পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৫. পার্ক নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে এবং উচ্ছিষ্ট ময়লা মোড়ক লাগানো ও মুখবন্ধ প্যাকেটে বহন করতে হবে।
৬. গণশৌচাগারগুলো সবসময় পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। পরিমাণ মতো হ্যান্ডওয়াশ ও সাবান সরবরাহ করতে হবে।
৭. বৈজ্ঞানিক ও যুক্তিসংগত সময়ে পার্কের খোলা ও বন্ধের সময় ঠিক করতে হবে এবং আগমনকারী দর্শনার্থীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৮. নগদে টিকিটের বিক্রয় কমিয়ে আনুন এবং স্পর্শ ছাড়াই টিকিট ক্রয় এবং অনলাইন টিকিট ক্রয় এবং কোড নির্ণয় করে অর্থ প্রদানের পদ্ধতি প্রয়োগ করুন।
৯. ভিড়ের কারণ হতে পারে এমন কার্যাবলী এবং প্রকল্পগুলি স্থগিত করুন।
১০. অনুমতিপ্রাপ্ত সংখ্যক দর্শনার্থী এবং কাজের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে, সামনের-লাইনের অবস্থানে শিফট এবংস্টাফ যথাযথভাবে যুক্ত করুন।
১১. হাঁচি দেওয়ার সময় কর্মীদের হাতের স্বাস্থ্যবিধি, মাস্ক পরা এবং মুখ এবং নাক টিস্যু কনুই দিয়ে ঢেকে দেওয়া অভ্যাস করতে হবে।
১২. অন্যের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে আসার সময় দর্শনার্থীদের চিহিত করে বারণ করতে হবে।
১৩. পার্কের প্রবেশ পথে সহজের নজরে আসে এমন জায়গায় একটি বুলেটিন বোর্ড বা বড় পর্দা স্থাপন করতে হবে যার মাধ্যমে পার্কে আগত সকল দর্শনার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের এই সম্পর্কিত সতর্কতা, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে অবহিত করা হবে। পার্কে মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত তথ্য বার বার প্রচার করতে হবে।
১৪. যদি নিশ্চিত কোভিড-১৯ রোগী থাকে তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে জীবাণুমুক্তকরণ করতে হবে। সেই সাথে এয়ার কন্ডিশনিং ও ভেন্টিলেশন সিস্টেমকে পরিষ্কার ও জীবাণুযুক্ত করতে হবে। মূল্যায়ন হওয়ার আগে পুনরায় চালু করা উচিত হবে না।
১৫. মধ্যম ও উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন এলাকার অন্তর্ভুক্ত পার্কের ভ্রমণের সময় কমিয়ে আনতে হবে।