3840
Published on মে 17, 2020বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গৃহিত স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক চীন ও অন্যান্য দেশের সংশ্লিষ্ট কারিগরি নির্দেশনা অনুসরণ করে 'বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ক্রমান্বয়ে চালু করার সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থাপনা ও পেশার জন্য কারিগরি নির্দেশনা' প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রেস্টুরেন্টঃ
১. খোলার আগে মহামারী বিরোধী সামগ্রী যেমন মাস্ক, জীবাণুমুক্তকরণ সামগ্রী ইত্যাদি সংগ্রহ করুন। আপদকালীন পরিকল্পনা তৈরী করুন। আপদকালীন ডিসপোজাল এলাকা স্থাপন করুন। সকল ইউনিটের জবাবদিহিতা বাস্তবায়ন করুন এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণকে জোরদার করুন।
২. কর্মীদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করুন। প্রতিদিন কর্মীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক অবস্থা নথিভুক্ত করুন এবং যারা অসুস্থতা অনুভব করবে তাদের সঠিক সময়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
৩. রেস্তোরাগুলোর প্রবেশদ্বারে তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণের সরঞ্জাম স্থাপন করতে হবে এবং কেবলমাত্র সাধারণ তাপমাত্রার ব্যক্তিদেরই প্রবেশ করতে দিন।
৪. অফিসে বায়ু চলাচল বাড়ান। সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এয়ার কন্ডিশনার স্বাভাবিক মাত্রায় চালান। বিশুদ্ধ বাতাস চলাচল বৃদ্ধি করুন। বের হওয়া বাতাস যেন আবার ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা করুন।
৫. জনসাধারনের ব্যবহার্য সুবিধাসমূহ যেমন দরজার হাতলগুলি চেকআউট কাউন্টার, লিফট এবং পাবলিক টয়লেট পরিষ্কারক এবং জীবাণুনাশক দিয়ে প্রায়শঃই পরিষ্কার করতে হবে।
৬. লবি, লিফট, প্রবেশদ্বার এবং চেকআউট কাউন্টারকে পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং সময়মতো আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে।
৭. টয়লেটগুলিতে বায়ু চলাচল ব্যাবস্থা করতে হবে। হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে লিকুইড সাবান (বা সাধারণ সাবান) প্রদান করতে হবে। সম্ভব হলে পানি ছাড়াই হাত পরিষ্কার করা যায় এমন জীবাণুনাশক দিয়ে চেকআউট কাউন্টারটি সজ্জিত করতে হবে।
৮. বড় আকারের ভোজন সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। রিজার্ভেশন ব্যাবসার মাধ্যমে আগত অতিথিদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। টেবিল ও চেয়ারের সংখ্যা হ্রাস করতে হবে। গ্রাহকদের প্রত্যেকের এক টেবিল অন্তর খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ভিন্ন ভিন্ন খাবার (স্বতন্ত্র খাবারের পরিবেশনা) পরিবেশন করতে হবে। রেস্তোরাগুলিতে চপস্টিকস এবং চামচ ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে হবে।
৯. প্রতিবার পরিবেশন করার পরে টেবিল ওয়্যার পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
১০. কর্মীদের ব্যাক্তিগত সুরক্ষা জোরদার করতে হবে এবং মাক্ক পরতে হবে। হাতের হাইজিনের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে এবং হাঁচি দেয়ার সময় মুখ এবং নাক টিস্যু বা কনুই দিয়ে ঢাকতে হবে।
১১. কাজের সময় গল্প করা হ্রাস করতে হবে এবং কাজের পরে ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।
১২. কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের মাস্ক পরতে হবে এবং গ্রাহকদেরও মাস্ক পরতে হবে। রেস্টুরেন্টে দীর্ঘক্ষণ ধরে খাওয়া চলবে না।
১৩. স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জ্ঞানের প্রচারের জন্য খাবারের জায়গায় মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত নোটিশ এবং পোস্টার লাগাতে হবে।
১৪. যদি নিশ্চিত কোভিড-১৯ রোগী থাকে তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে জীবাণুমুক্তকরণ করতে হবে। সেই মাথে এয়ার কন্ডিশনিং ও ভেন্টিলেশন সিস্টেমকে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মুল্যায়ন হওয়ার আগে পুনরায় চালু করা উচিত না।
১৫. মাঝারি এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে রেস্তোরাগুলিকে বিজনেস আওয়ার কমিয়ে আনেত হবে।