কারখানার জন্য স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত নির্দেশনাঃ গার্মেন্টস, হােশিয়ারী, চামড়া ও টেক্সটাইল ইত্যাদি

4817

Published on মে 13, 2020
  • Details Image

কারখানায় বাইরে ঢােকার সময় ও ভিতরে স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা সমূহ ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন ও নিয়মিত পালন করতে হবে। এই নির্দেশনা গুলাে হলঃ

কারখানার বাইরে এবং প্রবেশদ্বারঃ

১। সকল (১০০%) শ্রমিক-কর্মচারী, কর্মকর্তা, সুপারভাইজার গার্ড বা নিরপত্তারক্ষী, ড্রাইভার, ক্লিনার সকলেই নাক ও মুখ ঢাকা এমন মাস্ক বাধ্যতামূলক ব্যবহার করবে। তারা অবশ্যই তাদের বাসা, মেস, ডরমেটরী বা হােস্টেল থেকে বের হওয়ার আগেই মাঙ্ক পরিধান করবে। মাস্ক পরিধানের বিষয়টি কঠোরভাবে পালন করতে হবে। সারজিক্যাল মাস্ক হলে অত্যন্ত ভাল হয়। তবে হাতে তৈরি কাপড়ের মাস্কও একই উদ্দেশ্য সাধন করে। প্রত্যেকটি মাস্ক প্রতি তিন দিনে পরিবর্তন করা বাধ্যতামূলক।

২। চলাচলের রাস্তা জীবানুমুক্ত করতে কোরুহেক্সিডিন (স্যাভলন) এর পাতলা দ্রবণ ব্যবহার করাই শ্রেয়। তা পাওয়া না গেলে ব্লিচিং পাউডার বা এ জাতীয় অন্যান্য দ্রবণ ব্যাবহার করা যাবে না।

৩। কারখানার প্রধান প্রবেশদ্বারের পাশে যথেষ্ট পরিমানের হাত ধোয়ার বেসিন ও পানি সরবরাহ রাখতে হবে। এতে কারখানায় প্রবেশের আগে সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড করে হাত ধুয়ে নিতে পারবে।

৪। হাত ধােয়ার পর প্রতিটি শ্রমিক শুকনাে টিস্যু দিয়ে হাত মুছে নিবে।

৫। কারখানায় প্রবেশের মুখে প্রত্যেকটি শ্রমিকের তাপমাত্রা পরিমাপক গান বা স্ক্যানার দিয়ে যাচাই করতে হবে। যদি কারাে তাপমাত্রা বেশি পাওয়া যায় তাহলে তাকে কারখানায় প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না।

৬। কোন শ্রমিক-কর্মচারী, কর্মকর্তা, সুপারভাইজার, গার্ড বা নিরাপত্তা রক্ষী, ড্রাইভার, ক্লিনার এর যদি হালকা জ্বর, সর্দি, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলা ব্যাথা বা কফ হয়ে থাকে তাকে কারখানায় প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। তাদেরকে কিছু মেডিসিন দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দিতে হবে এবং তিন দিন পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। তিনদিন পরও উপসর্গ থেকে গেলে তাকে অবশ্যই কোভিড-১৯ পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠানাে উচিত। এরকম লােকজন পাওয়া গেলে তাদেরকে কারখানার আশেপাশে কোয়ারেন্টাইনে রাখা উচিত। তাদের বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরিবেশ হয়ত নাও থাকতে পারে।

৭। কোন শ্রমিক-কর্মচারী, কর্মকর্তা, সুপারভাইজার, গার্ড বা নিরাপত্তা রক্ষী, ড্রাইভার, ক্লিনার যদি হালকা জ্বর, সর্দি, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলা ব্যাথা বা কফ হয়ে যায় তাকে সাথে সাথে আলাদা করে রাখতে হবে এবং উপরােক্ত নিয়ম পালন করাতে হবে।

৮। কারখানার প্রবেশদ্বার ও নির্গমন পথ আলাদা রাখতে হবে।

কারখানার অভ্যন্তরেঃ

১। কারখানার অভ্যন্তরে কিছু কিছু কারখানায় এপ্রােন পরিধান করে থাকে। এরকম এপ্রােন সকল কারখানায় বাধ্যতামূলক করতে হবে।

২। সকল শ্রমিকের মাথা ঢাকার কভার দিয়ে মাথা এবং জুতার কভার দিয়ে জুতা ঢেকে রাখতে হবে। এবং কাজ শেষে তা কারখানায় রেখে যেতে হবে।

৩। কারখানার অভ্যন্তরে কুলাকুলি ও করমর্দন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখতে হবে।

৪। আহারের সময় ব্যাতিত অন্য সময়ে নাক, মুখ ও চোখে হাত দেয়া বা স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৫। হাচিকাশি দেয়ার সময় অবশ্যই শিষ্টাচার মেনে দিতে হবে। দলবদ্ধভাবে বসা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।

৬। কারখানার অভ্যন্তরে যথেষ্ট পরিমাণে হাত ধােয়ার জায়গা থাকতে হবে। বিশেষ করে কারখানার অভ্যন্তরের টয়লেট এর আশে পাশে।

৭। কারখানার অভ্যন্তরে যথেষ্ট পরিমাণে হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকতে হবে।

৮। কারখানার অভ্যন্তরে আলােবাতাস চলাচলের জন্য ব্যাবস্থা রাখতে হবে। মেঝেতে প্রতি ঘণ্টা পরপর স্যাভলন জাতীয় জীবানুনাশক দিয়ে মুছে দিতে হবে।

৯। একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর চেয়ার, টেবিল ও মেশিনের উপর সাভলন জাতীয় জীবানুনাশক ছিটিয়ে দিতে হবে।

১০। কারখানার অভান্তরে কোন শ্রমিক-কর্মচারী কর্মকর্তা সুপারভাইজার, গার্ড বা নিরাপত্তা রক্ষী, ড্রাইভার, ক্লিনার কখনােই দলবদ্ধভাবে দাঁড়ানাে বা বসবে না। কারখানার অভ্যন্তরে সামাজিক দুরত্ব রক্ষার্থে উক্ত নিয়ম মেনে চলা যেতে পারে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত