1400
Published on মে 5, 2020প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে খুলনায় করোনা আক্রান্ত রোগী, তাদের পরিবার ও তাদের আশপাশের লকডাউনে থাকা পরিবারের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে খুলনা মহানগর যুবলীগ।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার তারা খুলনার করোনা হাসপাতালে ৪ জন চিকিৎসাধীন রোগীর নিকট উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী পাঠায়। সকালে নগরীর পূর্বের ডায়বেটিস হাসপাতাল বর্তমান করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খাবার গ্রহণ করেন। উপহারের মধ্যে রয়েছে- পুষ্টিকর ফল ও শুকনো খাবারসহ ১৫ রকমের খাবার।
গত ৩০ এপ্রিল খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশায় করোনা আক্রান্ত হন একজন রিকশাচালক। এ কারণে মহেশ্বরপাশা ঋষিপাড়ার ১১৫ পরিবারকে লকডাউন করে প্রশাসন। গত ২ মে ঋষি পাড়ায় লকডাউনকৃত ১১৫টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয় যুবলীগ। উপহারের মধ্যে রয়েছে ছিল ১৫ দিনের খাবার চাল, ডাল ও শাক-সবজি। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মোস্তাক আহমেদের মাধ্যমে উপহার সামগ্রী তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
১ মে খুলনা মেডিকেল কলেজের করোনা আক্রান্ত সেবিকার পরিবারের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উপহার। পাশাপাশি তাদের আশপাশের অতি উৎসাহীদের অমানবিক কার্যকলাপ বন্ধে হুঁশিয়ারি জানানো হয় এবং পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। গত ৩০ এপ্রিল করোনা যুদ্ধের সৈনিক এই সেবিকা তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিবারের সাথে অতি উৎসাহী মানুষের হয়রানিমূলক আচরণের বর্ণনা দেন। এই সংবাদ পেয়ে নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন আক্রান্ত এই সেবিকার সাথে ফোনে যোগাযোগ করেন এবং তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন। পরে শুক্রবার সকালে সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মমতাজ উদ্দিন এর নিকট এই পরিবারের জন্য ১৫দিনের খাদ্য সামগ্রী হস্তান্তর করেন।
এ ছাড়া গত ৩০ এপ্রিল খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশায় একজন রিকশাচালক করোনাআক্রান্ত শনাক্ত হন। তাকে খুলনার করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনা আক্রান্ত এই ব্যক্তির পরিবারের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে উপহার। উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, পেয়াজ, ফল ও শাক সবজিসহ ১৫ দিনের খাবার।
এ ব্যাপারে খুলনা মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন জানান, করোনা আক্রান্ত পরিবারগুলো খুব অসহায় হয়ে পড়ছে। তারা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি হাসপাতালে ভর্তি হন তাদের কাছে খাবার পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা হাসপাতালে আক্রান্ত রোগীদের খাবার দিচ্ছি। পাশাপাশি তাদের পরিবারকেও দিচ্ছি। কারণ, তাদের পরিবারকে যদি সুস্থ রাখতে হয়, তাদের ঘরে রাখতে হয় তাহলে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উপহার পৌঁছে দিচ্ছি এবং লকডাউন এলাকার মানুষদেরও ঘরে রাখতে আমরা পাশে দাঁড়াচ্ছি তাদের।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখছি আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবার নানাভাবে অতি উৎসাহী মানুষের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি তাদের আত্মীয় স্বজনরাও তাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আমরা এগুলো প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছি। কোথাও কোনো অমানবিক কার্যক্রম ঘটলে আমাদের জানালে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতায় তা প্রতিহত করবো।
সৌজন্যেঃ সমকাল