2480
Published on মে 2, 2020করোনা পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলোতে নানা কারণে চিকিৎসাসংকট দেখা দেওয়ায় কক্সবাজারে আজ থেকে চালু হয়েছে একটি মোবাইল (ভ্রাম্যমাণ) হাসপাতাল। একটি ভ্যান গাড়িতে স্থাপন করা হয়েছে ২ সিটের পুরো একটি হাসপাতাল। গাড়িতেই দুজন রোগীর জরুরি চিকিৎসা দেওয়ার পুরো ব্যবস্থাই রয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এ রকম ব্যতিক্রমধর্মী চিকিৎসা কার্যক্রমে এলাকার মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
এমন মোবাইল হাসপাতালটির আজ শনিবার সকালে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর ওপারে খুরুশকুল ইউনিয়নের কুলিয়া পাড়া নামক স্থানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কক্সবাজার জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহবুবর রহমান, খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয়সহ সরকারি-বেসরকারি অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, করোনা পরিস্থিতিতে জেলাব্যাপী সৃষ্টি হয়েছে চিকিৎসাসংকট। অনেকেই করোনা ভয়ে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল তথা চিকিৎসকদের চেম্বারেও চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন না। বিশেষ করে করোনারোগী ব্যতীত অন্যান্য রোগের রোগীরাই বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। এসব অনুধাবন করেই জেলা প্রশাসনের তরফে এমন মোবাইল হাসপাতাল চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, মোবাইল হাসপাতালটি প্রতিটি উপজেলায় গিয়ে চিকিৎসাসেবায় অংশ নেবে। কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মোবাইল হাসপাতালটিতে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, মোবাইল হাসপাতালটিতে দুজন রোগীর সিটের ব্যবস্থা রয়েছে। গাড়িতেই অক্সিজেন থেকে শুরু করে চিকিৎসাসামগ্রী এবং জরুরি ওষুধও রাখা রয়েছে। গাড়িতে দুজন চিকিৎসক বসার ব্যবস্থাও রয়েছে।
আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর খুরুশকুলে মোবাইল হাসপাতাল নিয়ে ২০০ রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মোবাইল হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রমে বিপুলসংখ্যক রোগীর ভিড় হলেও ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাসেবকরা তা ভালোমতেই সামাল দিয়েছে।
মোবাইল হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রমে চারজন চিকিৎসক যথাক্রমে ডা. আরিফুল ইসলাম আকাশ, ডা. তাহমিদুর রহমান, ডা. রেহেনা পারভীন ও ডা. রহিমা আরবী আঁখি এসব রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছেন।