3140
Published on এপ্রিল 26, 2020করোনাভাইরাসের কারণে সংকটময় পরিস্থিতিতে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগেও চলছে নানা ধরণের কার্যক্রম। দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো চট্টগ্রামেও চলছে গরীব-অসহায়দের মাঝে ত্রাণসামগ্রীসহ নিরাপত্তাজনিত জিনিসপত্রও। এবার আরও ব্যতিক্রম বিষয় হলো চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে দায়িত্বরত গভীর রাতে হাজারো স্বাস্থ্যকর্মীরা পাবেন নিরাপত্তা ঝুঁকির নানাবিধ জিনিসপত্র ছাড়াও সেহেরীর খাবার।
করোনা যুদ্ধে প্রাণ হারানো প্রথম চিকিৎসক ডা. মঈনের স্মৃতির প্রতি ভালবাসা জানিয়ে চট্টগ্রাম শহর জুড়ে আরো এই ব্যতিক্রমী মানবিক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছেন তরুণ রাজনীতিক ফারাজ করিম চৌধুরী। পবিত্র রমজান মাসজুড়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত হাজারো স্বাস্থ্যকর্মীদের নিকট রাউজানবাসীর পক্ষ থেকে সেহেরীর খাবার পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন। রমজান মাসে রাউজান থেকে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার মানুষের জন্য সেহেরীর খাবার চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হবে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কমর্রত নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিকট এসব খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে। পথিমধ্যে রাস্তাঘাটে দায়িত্ব পালন করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, পথচারী ও ছিন্নমূল মানুষদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে সেহেরীর খাবার। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে নানা রকম সাহায্য সহযোগিতায় সামাজিক সংগঠন ছাড়াও গরীব-অসহায় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের মাঝে প্রতিনিয়ত ত্রাণসামগ্রী ও গ্লাভস, স্যানিটাইজার ও নিরাপত্তাজনিত জিনিসপত্রগুলো বিতরণ করা হচ্ছে ফারাজ করিম চৌধুরীর উদ্যোগে। দেয়া হচ্ছে বিনামূলে সবজিসহ নানাধরণের খাদ্যসামগ্রীও।
তরুণ রাজনীতিবিদ ও সংগঠক ফারাজ করিম চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা জাতি হিসেবে নতুন কোনো ইস্যু পেলে পুরনোগুলো ভুলে যাই। দেশের এই পরিস্থিতিতে করোনা যুদ্ধে প্রাণ হারানো প্রথম চিকিৎসক ডা. মঈন উদ্দিনের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তার প্রতি ভালবাসা জানিয়ে এই মহামারীর সম্মুখ যোদ্ধা তার সহকর্মী অন্যান্য নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিকট সেহেরীর খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাউজানবাসীর সহযোগিতার মাধ্যমে উদ্যোগ নিচ্ছি।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য রাত জেগে দায়িত্ব পালন করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাইদের নিকটও সেহেরীর খাবার পৌঁছে দিতে চাই। পাশাপাশি অন্যান্য পথচারী ও রাস্তায় থাকা মানুষদের কাছেও খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে কঠিন দায়িত্ব পালন করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাদের কথা চিন্তা করে ফারাজ করিম চৌধুরী যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। এই কার্যক্রমে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা থাকবে।
উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও ক্রীড়া সংগঠক সুমন দে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই রাউজানের গণমানুষের নেতা এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির নির্দেশনায় এবং কঠোর মনিটরিং এর মাধ্যমে করোনাসহ নানাবিধ পরিস্থিতিতে সেবামূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। এবার সাধারণ মানুষে চিকিৎসাসেবায় যারা কাজ করছেন, তাদের জন্য ফারাজ করিম চৌধুরীর ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সেহেরীর খাবারের এই কার্যক্রমটি পরিচালনা করার জন্য এরই মধ্যে রাউজানের বেশ কয়েকটি স্থানে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। খাবার বিতরণের জন্য থাকবে জন্য স্বেচ্ছাসেবী। তাদের সকলের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত গ্লাভস ও মাস্ক সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে এ জন্য চাল, ডাল, তেল, আলুসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য আমরা মওজুদ রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।