পিরোজপুর ছাত্রলীগের বিনামূল্যের সবজি বাজার

934

Published on এপ্রিল 25, 2020
  • Details Image

পিরোজপুরে জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ‘মানবতার ফ্রি সার্ভিস’ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উদ্যোগে ছাত্রলীগের নিজস্ব অর্থায়নে এ সার্ভিসটি চালু করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বাংলানিউজকে এতথ্য জানান জেলা ছাত্রলীগের মো. জাহিদুল ইসলাম টিটু।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের নির্দেশে জেলাজুড়ে ছাত্রলীগের উদ্যোগে ফ্রি চিকিৎসা সেবা, খাদ্যসামগ্রী প্রদান ও ধান কেটে দেওয়া কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। করোনা আক্রান্তের শুরুতেই আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় দেড় হাজার মানুষকে বিনামূল্যে হ্যান্ড-স্যানিটাইজার, মাস্ক, সাবান, লিফলেট বিতরণসহ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ছাত্রলীগ কর্মীরা জীবাণুনাশক স্প্রে করেছেন। এছাড়া করোনা আক্রমণের শুরুতে প্রথম ধাপে শহরের দুই শতাধিক ও দ্বিতীয় ধাপে শবে বরাতের রাতে সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পৌরসভা এলাকার নয়টি ওয়ার্ডে ফ্রি সবজি বিতরণের কাজ চলছে। আর ওইসব ওয়ার্ডের প্রতিটিতে একটি করে মোট নয়টি ভ্যান চালু রয়েছে। এসব সবজি প্রত্যেক অস্বচ্ছল পরিবারকে বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। আর এসব কাজ করছেন জেলা, উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের নেতারা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ওইসব ভ্যানের পেছনে একটি করে ব্যানারে লেখা রয়েছে ‘ফ্রি সবজি বাজার’। প্রতিটি ভ্যানে রয়েছে আলু, টমেটো, ঝিঙ্গা, বরবটি, ঢেড়স, করোল্লা, বেগুন, শসা, পেপে, পুঁইশাক, পানিকচু ও লতি, কলা, মিষ্টি কুমড়া ও কাঁচা মরিচসহ প্রায় ২০ ধরনের তরকারি। আর ওইসব তরকারি বিতরণের কাজ করছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।

ছাত্রলীগের ওই নেতা আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) থেকে এ ফ্রি সবজি বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে গত ২২ এপ্রিল থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কৃষকদের ধান কেটে তা বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলার উদ্যোগে এ কাজ চলছ। তা ছাড়া করোনার প্রভাব শুরুর প্রথম দিকেই জেলাজুড়ে আমাদের ফ্রি মেডিকেল টিম কাজ করছে। দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে অধ্যায়নরত ও যারা ইতোপূর্বে লেখাপড়া শেষ করেছেন, পিরোজপুর জেলার সেই সব ছাত্রলীগ কর্মীরা এসব মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে কাজ করছেন। আর এ সেবা পেতে আমাদের নিজস্ব মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে। করোনা বা সর্দি-কাশির কোনো লক্ষন দেখা দিলে বা অন্য কোনো কারণে অসুস্থতা দেখা দিলে আমাদের ওই নম্বরে ফোন দিলে চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত কর্মীরা তাদের সেবা দেবেন। প্রয়োজন হলে অ্যাম্বুলেন্সসহ সব ধরনের ওষুধ দিয়ে আমরা তাদের সেবা দিই।

জেলার নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. তরিকুল ইসলাম তাপস বাংলানিউজকে বলেন, গত ২২ এপ্রিল থেকে আমাদের কর্মীরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। আমাদের এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত