নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের নেতৃত্বে ২৪ ঘন্টা কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ

2803

Published on এপ্রিল 22, 2020
  • Details Image
  • Details Image
  • Details Image
  • Details Image
  • Details Image

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অবস্থায় কোন অবস্থাতেই যেন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত না হয় তার জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদের নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে বলেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী নিয়মিত অনলাইনে বিদ্যুৎ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করছেন।

উৎপাদন, সঞ্চালন ও গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণে যাতে কোন প্রকার বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতেও বলেছেন। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদের রোস্টার করে দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। কেউ যাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বিকল্প টিম এসে দায়িত্ব নিতে পারে। কোন অবস্থাতেই বিদ্যুৎ বিভাগের সেবা ব্যাহত না হয় তার জন্য এই বিকল্প ব্যবস্থা।

বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালন:

করোনাভাইরাসের এই সংকটকালীন সময়েও বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাতে কোন প্রকার বাধাগ্রস্ত না হয় তার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে যথেষ্ট উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই মহামারীর মধ্যেও প্রতিটি পাওয়ার প্ল্যান্টে ২৪ ঘন্টা কাজ চলমান রয়েছে।

জাতীয় সঞ্চালন লাইনের দায়িত্ব পালন করে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ। দেশের প্রতিটি সাব-স্টেশনগুলো এবং ন্যাশনাল ডেসপাস সেন্টারে ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা।

বিতরণ ব্যবস্থা:

দেশের প্রতিটি বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা গ্রাহক পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকার মধ্যে যেকোন সমস্যা হলে বিতরণ কোম্পানির পক্ষ থেকে নিজস্ব কর্মীরা চলে আসছেন সমস্যা সমাধানে। জরুরী প্রয়োজনে ২৪ ঘন্টা চালু রয়েছে হট লাইন নাম্বার।

গ্রামীণ জনপদে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে ‘দুর্যোগে আলোর গেরিলা’ শিরোনামে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড প্রত্যেক সমিতিতে বিশেষ বাহিনী গঠন করেছে। এরই মধ্যে তাদের কার্যক্রমও শুরু করেছে।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড-আরইবি জানিয়েছে, আগামী দিনে দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি ঠিক রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেখা যায় দেশে এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে বিদ্যুৎ বিতরণে নানা সংকট সৃষ্টি হয়। এই সময়ের মধ্যে গ্রীষ্মের তাপমাত্রা বেশি থাকে। আবার ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম চলাতে গ্রামীণ জনপদ দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে।

এছাড়া আগামী ২৪ বা ২৫ এপ্রিল থেকে রোজা শুরু হচ্ছে। রমজানে সেহরি, ইফতার ও তারাবিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করাটাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ, গ্রীষ্মের তাপদাহ, মাহে রমজান এবং ঝড়-বৃষ্টির সময়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দ্রুত নিরসনের জন্য ‘‘সকল ত্যাগে পল্লী বিদ্যুৎ রাখিবো সচল’ মূলমন্ত্র ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে উদ্ভাবনী উদ্যোগে ‘দুর্যোগে আলোর গেরিলা’ কুইক রেসপন্স টিম হিসেবে কাজ করবে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত