মাদারীপুরে ৩০ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে খাদ্য সহায়তা

1213

Published on এপ্রিল 17, 2020
  • Details Image

সরকারি হিসেব ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় হিসেব অনুসারে মাদারীপুরের শিবচর এলাকায় প্রায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে গেছে। রোজার আগেই তালিকাভুক্ত সকলের কাছে খাবার পৌঁছে যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় সাংসদ ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন।

চিফ হুইপ বলেন, আমার এলাকায় আরো আগে থেকে পরিপূর্ণ লকডাউন কার্যকর হওয়ায় ত্রাণ সহায়তাও শুরু করা হয় বেশ আগে। স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে আমি, প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা যেই খসড়া হিসেব করেছি, তা অনুসারে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষের কাছে আমরা প্রাথমিক চাহিদা খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি। এ ছাড়াও আরো প্রায় ৫ হাজার মানুষের কাছে বিভিন্ন বেসরকারি ও অরাজনৈতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এই এলাকার কাউকে খাদ্য কষ্টে থাকতে হবে না ইনশাল্লাহ।

এ সময় তিনি নিজ এলাকার সকলকে দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে বলে জানান, যাদের কাছে খাবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে, তাদের বাদ দিয়ে বাকিদের কাছে আমরা আগে এই প্রথম পর্বের ত্রাণ সহায়তা প্রদান করব। এরপর আবার প্রয়োজন অনুসারে দ্বিতীয় পর্বে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে। এ ক্ষেত্রে যারা ১০ টাকার চাল বা ভিজিডি সুবিধা পাচ্ছেন তাদের তালিকা করে বাদ দেয়া হবে।

তিনি বলেন, আমার এলাকার জন্য ১৭৩ মেট্রিকটন চাল মজুদ আছে। পৌরসভায় আরো ৩ মেট্রিক টন মজুদ আছে। সুতরাং এই এলাকার মানুষের খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই।

নিজ এলাকার ত্রাণ কার্যক্রমে সরকারি কর্মকর্তা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। সেই সঙ্গে নিজ এলাকায় চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাওয়া স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদেরও ধন্যবাদ জানান চীফ হুইপ। তিনি জানান, স্থানীয় পর্যায়ে ২০ বেডের একটি আইসোলেশন কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে শিবচর এলাকায় হাতে হাতে ত্রাণ নেয়া ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা নারী হালিমা বিবি। তিনি বলেন, 'ত্রাণ নিতে গিয়া ঠেলা ঠেলি কইরা আমরা কী আর শক্তিতে পারি। তাই ত্রাণ আনতে গিয়াও পাই নাই। কিন্তু বাসায় আইসা আমার হাতে চাউল দিয়া গেছে আমাগো স্থানীয় এমপি নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনের পক্ষ থেকে কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. সজিব হাওলাদার। খুব খুশি হইছি। খুব ভালা কাম করছে। আমাগো খাওন আনতে আর বাইরে যাওয়া লাগব না।

উপজেলার বহেরাতলা ইউনিয়নের যাদুয়ারচর গ্রামের আরেক বৃদ্ধ নারী দেলোয়ারা বিবি (৭০)। সে মানুষের বাসায় কাজ করে টাকা আয় করত। কিন্তু করোনার ভয়ে এখন আর তাকে কাজে রাখছে না কেউ। অভাবের এই সময়ে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেয়ায় তিনিও খুব খুশি। জানান, এমন উদ্যোগ থাকলে লক ডাউনের এই সময়ে অকারণে বাসা থেকে বের হতে চান না তিনি।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত