বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা-দর্শন ও বাস্তবতা

5580

Published on মার্চ 18, 2020
  • Details Image

কাজী খলীকুজ্জমান আহমদঃ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বিংশ শতাব্দীতে এই ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় বিস্ময়ের নাম। আমরা যারা তাঁকে প্রত্যক্ষ করেছি, তাঁর বক্তব্য ও নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়েছি, একবিংশ শতাব্দীতে এসেও আমাদের মধ্যে সেই অমর ও অমোঘ প্রভাব অটুট রয়েছে। সেই ষাটের দশক থেকেই আমার মতো অনেককে তিনি স্বাধিকারের পথ ধরে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। আমরা তখনই নিশ্চিত ছিলাম, হাজার বছরের বঞ্চিত বাঙালি জাতির মুক্তিদাতা এসে গেছেন।

মনে আছে, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের জনসভাস্থলে উপস্থিত থেকে বঙ্গবন্ধুর গা শিউরে তোলা ভাষণ শুনে ঘরে ফিরতে ফিরতে ভাবছিলাম- দেশ স্বাধীনই হয়ে গেছে। আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা সময়ের ব্যাপার মাত্র। ২৫ মার্চের কালরাত্রির পর ২৭ মার্চে প্রথম সুযোগেই ঢাকা ত্যাগ করে সিলেট হয়ে ভারতে চলে যাই। সেখানে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা সেলে যোগ দিই। বিজয়ের পর ৩১ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরেছিলাম। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আগ পর্যন্ত বিজয় পূর্ণাঙ্গ মনে হয়নি আমাদের কারও কাছে। ১০ জানুয়ারি তিনি এলেন, একই রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত থেকে তাঁর বক্তব্য শুনলাম। মনে হলো স্বাধীনতা যেন পূর্ণ হলো।

স্বাধীন বাংলাদেশে কিছুদিন ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে তদারকিমূলক কাজ করেছি। তারপর যোগ দিয়েছি বিআইডিএসে। কিন্তু ততদিনে জীবনের ধ্রুবতারা হয়ে গিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর সেই আহ্বান- 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।' আমার কাছে তা ছিল বঞ্চিত মানুষের মুক্তির আহ্বান। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ বিভিন্ন সভায় সরাসরি উপস্থিত থেকে তাঁর বক্তব্য শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল। দেখতাম, তিনি বলতেন- স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে যাবে যদি দুঃখী মানুষের জীবনমানের উন্নতি না হয়। এখনও যে আমি দুঃখী, বঞ্চিত মানুষের বঞ্চনা লাঘবের সামান্য চেষ্টা করে যাচ্ছি, তার অনুপ্রেরণা বঙ্গবন্ধুই। পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিয়ে আসার অন্যতম প্রধান মাধ্যম শিক্ষা।

আমার সৌভাগ্য যে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠিত শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির কো-চেয়ারম্যান ছিলাম আমি। আমরা আগের শিক্ষানীতিগুলো থেকে সময়োপযোগী নীতিগুলো গ্রহণ করেছিলাম। সবচেয়ে বেশি কাজে এসেছিল কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন। বর্তমান শিক্ষানীতিতে পরিস্কারভাবে বলা হয়েছে যে, শিক্ষানীতির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য দুটি- এক. মূল্যবোধ ও নৈতিকতা; দুই. দক্ষতা। শুধু দক্ষ মানুষ সমাজের কাজে নাও আসতে পারে। তারা হয়তো নিজের উন্নয়ন ঠিকই করতে পারে; কিন্তু সমাজকে এগিয়ে নিতে নাও পারে। এমনকি সমাজের আকাঙ্ক্ষার বিপরীত কাজও করতে পারে। আমরা অনেক শিক্ষিত মানুষকে এই চরিত্রে দেখেছি। কাজে দক্ষ মানুষ যদি হয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতাসম্পন্ন, তাহলে তা ব্যক্তি ও সমাজের কাজে লাগবে। শিক্ষানীতি প্রণয়নে এটাই আমাদের মূল দর্শন ছিল। যে কারণে ২০১০ সালের শিক্ষানীতিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাকে বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হলো, কাউকে শিক্ষার বাইরে রাখা যাবে না। বঙ্গবন্ধুও সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় শিক্ষার ওপর বারবার জোর দিতেন। সন্দেহ নেই, গত কয়েক বছরে শিক্ষা বিস্তারে অগ্রগতি হয়েছে; কিন্তু মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে। এ ক্ষেত্রে জোর না দিলে বৈষম্যহীন সমাজ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা- যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল তার বাস্তবায়ন সহজ হবে না।

মনে আছে, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের আগে সে বছরের ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেডিও ও টেলিভিশনে এক নির্বাচনে ভাষণ দেন। তাতে তিনি শিক্ষা সম্বন্ধে নীতিনির্ধারণী বক্তব্য রাখেন :"সু-সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা খাতে পুঁজি বিনিয়োগের চাইতে উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ আর কিছু হতে পারে না। ১৯৪৭ সালের পর বাংলাদেশে প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার পরিসংখ্যান একটা ভয়াবহ সত্য। আমাদের জনসংখ্যার শতকরা ৮০ জন অক্ষরজ্ঞানহীন। প্রতি বছর ১০ লক্ষেরও অধিক নিরক্ষর লোক বাড়ছে। জাতির অর্ধেকেরও বেশি শিশু প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। শতকরা মাত্র ১৮ জন বালক ও ৬ জন বালিকা প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করছে। জাতীয় উৎপাদনের শতকরা কমপক্ষে ৪ ভাগ সম্পদ শিক্ষা খাতে ব্যয় হওয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। কলেজ ও স্কুল শিক্ষকদের, বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে হবে। নিরক্ষরতা অবশ্যই দূর করতে হবে। ৫ বছর বয়স্ক শিশুদের বাধ্যতামূলক অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষাদানের জন্য একটা 'ক্র্যাশ প্রোগ্রাম' চালু করতে হবে। মাধ্যমিক শিক্ষার দ্বার সব শ্রেণীর জন্য খোলা রাখতে হবে। দ্রুত মেডিকেল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়সহ নয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দারিদ্র্য যাতে উচ্চশিক্ষার জন্য মেধাবী ছাত্রদের অভিশাপ হয়ে না দাঁড়ায়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।"

বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন যে, শিক্ষা ছাড়া দেশ ও জাতি গঠন করা সম্ভব নয়। দেশ গঠন করতে হলে শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। বস্তুত মানবদক্ষতা ছাড়া অগ্রগতি সম্ভব নয়। যার জন্য প্রয়োজন শিক্ষার, বিশেষ করে কারিগরি শিক্ষার। কিন্তু সক্ষমতার আরেকটি দিক হচ্ছে সুস্বাস্থ্য। স্বাস্থ্য খারাপ থাকলে উচ্চমানের দক্ষতা কাজে লাগানো যাবে না। তাই তিনি মেডিকেল শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার কথা বলেছেন। অর্থাৎ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য মূল হাতিয়ার ডাক্তার। সেটা তিনি অনুধাবন করেছিলেন।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর ওই নীতিনির্ধারণী বক্তব্যের আলোকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন। ১৯৭২ সালে প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে :'রাষ্ট্র (ক) একই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সকল বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য; (খ) সমাজের প্রয়োজনের সহিত শিক্ষাকে সংগতিপূর্ণ করিবার জন্য এবং সেই প্রয়োজন সিদ্ধ করিবার উদ্দেশ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও সদিচ্ছাপ্রণোদিত নাগরিক সৃষ্টি করার জন্য; (গ) আইনের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করিবার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।' এই লেখার শুরুতে উল্লিখিত বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনা সংবিধানের এই ধারায় পরিস্কারভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

শিশুশিক্ষার ওপর তিনি বিশেষ জোর দেন। বস্তুত শিক্ষার ভিত রচিত হয় প্রাথমিক শিক্ষায়। শিশুশিক্ষা ক্ষেত্রে তাঁর এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হলো, সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয়করণ। ১৯৭৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অধিগ্রহণ আইন, ১৯৭৪ পাস করে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়।

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের উপযোগী সমাজ গঠনমূলক একটি সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থার রূপরেখা প্রণয়নের জন্য ১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই ড. কুদরাত-এ-খুদার নেতৃত্বে জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করেন বঙ্গবন্ধু। বিজয়ের মাত্র সাত মাসের মতো সময়ের মধ্যে এই কমিশন গঠন করা দেশের জন্য একটি সময়োপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করার প্রতি বঙ্গবন্ধুর অপার আগ্রহের পরিচয় বহন করে। ১৯৭৪-এর মে মাসে কমিশন প্রতিবেদন জমা দেয়। উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলোর মধ্যে ছিল :শিক্ষা খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া, বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসার ঘটানো, নারী শিক্ষায় জোর দেওয়া, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণ করা এবং শিক্ষার সর্বস্তরে মাতৃভাষার প্রচলন। এই প্রতিবেদনকে নীতিতে রূপান্তর করে বাস্তবায়ন করার সময় পাননি বঙ্গবন্ধু। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট তাঁর নির্মম হত্যার পর, তাঁর প্রদর্শিত পথে শিক্ষাব্যবস্থা ও কার্যক্রম এগোয়নি। কুদরাত-এ-খুদা কমিশনের প্রতিবেদন হিমাগারে চলে যায়।

বস্তুত একটি আধুনিক, সুষম, উন্নত ও টেকসই সমাজ গড়তে চাই মানসম্পন্ন শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মূল্যবোধসম্পন্ন জনবল। তবে আমাদের পরীক্ষানির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা সেই লক্ষ্যে তেমন উপযোগী নয় বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা সারা বছর পরীক্ষা নিয়েই ব্যস্ত থাকে, বুঝে পড়ার তেমন সময় নেই। শেখার তেমন সুযোগ নেই, চিন্তা করারও সময়-সুযোগ সীমিত বা নেই এবং প্রশ্ন উত্থাপন করার অবকাশ নেই। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা উঠিয়ে দেওয়া হলেও পঞ্চম শ্রেণি, অষ্টম শ্রেণি, দশম শ্রেণি, দ্বাদশ শ্রেণির পর সরকারি পরীক্ষা এবং অন্যান্য বছরে বার্ষিক পরীক্ষা আর ষাণ্মাসিক পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার আবর্তে ঘুরপাক খেতে বাধ্য করছে। সরকার আরও কিছু পরীক্ষা তুলে দেওয়ার চিন্তা করছে বলে শুনেছি। আশা করি, দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পৃথিবীতে অনেক দেশ রয়েছে, যেগুলোতে খুব বেশি সরকারি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের দিতে হয় না। যেমন, ফিনল্যান্ডে। সাত বছর বয়সে সে দেশের শিশুরা স্কুলে ভর্তি হয়ে ১৬ বছর পর্যন্ত স্কুলেই মূল্যায়িত হতে থাকে। চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসে ১৬ বছর বয়সে। সেটাও নিজ নিজ স্কুলে। এর পর উচ্চ মাধ্যমিক তিন বছর পর সরকারি পরীক্ষা হয়, যাকে বলে ম্যাট্রিকুলেশন। সেখানে মাত্র চারটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হয়। ভাষা-সংক্রান্ত দুটি (একটি দেশীয়, অন্যটি বৈদেশিক) আর অন্যান্য বিষয় দুটি। এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে, চাকরি করতে পারে। পরীক্ষার ছড়াছড়ি না থাকলেও শিক্ষার মানের আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে ফিনল্যান্ড চূড়ায় অথবা চূড়ার দিকে থাকে। বাংলাদেশে এত পরীক্ষার পরও শিক্ষায় ব্যাপক মান-সংকট রয়েছে। শুধু পরীক্ষার মাধ্যমে প্রকৃত মূল্যায়ন তেমন হয় না, বরং উল্টো মুখস্থ করার ও কোচিং করার প্রবণতা বাড়ে। নোটবুকনির্ভরতা বাড়ে। ফলে বাংলাদেশে শিক্ষায় বাণিজ্যের প্রবণতাও বেড়েছে। এই পরীক্ষানির্ভরতা থেকে বের হতে হবে। বুঝে পড়া, চিন্তা করা এবং প্রশ্ন উত্থাপন করে প্রকৃত শিক্ষালাভ যাতে শিক্ষার্থীরা করতে পারে, সেদিকে আরও নজর দিতে হবে। বিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে শিক্ষার পরিবেশের উন্নয়নও প্রয়োজন। পাঠদান পদ্ধতি, শিক্ষকের মান ও অঙ্গীকারেও উন্নতি দরকার। একটি বিশেষভাবে প্রশংসার বিষয় হলো, বাংলাদেশে নারী শিক্ষায় প্রসার ঘটেছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে মেয়েদের অনুপাত বেশি। উচ্চশিক্ষায়ও বাড়ছে। বর্তমানে ৪০ শতাংশের মতো এবং এ ক্ষেত্রে আরও নজর দিতে হবে। নারী শিক্ষায় অর্জিত অগ্রগতিতে উপবৃত্তি ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। শিক্ষায় মেয়েদের সংখ্যা বেড়েছে, এখন তাদের মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

আমরা যদি শিক্ষার সংখ্যা ও গুণগত মান নিশ্চিত করতে চাই, তাহলে আজও বঙ্গবন্ধুই পারেন আমাদের পথ দেখাতে। আমাদের দেশেও পিছিয়ে পড়া, বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে তার শিক্ষা-দর্শনের বিকল্প নেই। আমরা সেই পথই অনুসরণ করব- এই মহান নেতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঘোষিত মুজিববর্ষের সূচনালগ্নে এটাই আমার প্রত্যাশা।

লেখকঃ অর্থনীতিবিদ

প্রকাশঃ দৈনিক সমকাল (১৭ মার্চ ২০২০)

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত