বাংলাদেশের যুবসমাজের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে প্রণয়ন করা হয়েছে যুগোপযুগী জাতীয় যুবনীতি ২০১৭।
১১টি জেলায় নতুন যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর শুরু থেকে মে ২০২১ পর্যন্ত মোট ৬৩,৯১,৭৬৩ জন যুবকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। তন্মধ্যে মার্চ ২০২১ পর্যন্ত ২২,৬৮,০২৩ জন আত্মকর্মী হয়েছে।
৮ম পঞ্চবার্ষিকী (২০২০-২০২১ হতে ২০২৪-২০২৫ পর্যন্ত) অনুযায়ী প্রশিক্ষণ লক্ষ্যমাত্রা ১৯,২৫,০০০ জন। সে অনুযায়ী মে, ২০২১ পর্যন্ত অর্জন ১১,০৮,৪০৭ জন।
২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় তিন কোটি বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে কাজ করছে সরকার।
উত্তরবঙ্গের ৭টি জেলায় (রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, পঞ্চগড় ও নাটোর) বেকার যুবদের কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে পৃথক প্রকল্প।
যুব সংগঠনগুলোর কাজ অনুপ্রাণিত করতে ১,২১৯ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
প্রথম পর্ব থেকে চতুর্থ পর্ব পর্যন্ত ২৮টি জেলার ৬৪টি উপজেলা ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম পর্বে আরও ৬৪টি উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে।
সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। দেশের ৬৪টি জেলা ও ৪৮৩টি উপজেলায় আবাসিক ও অনাবাসিকভাবে ৭৪টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
সাভারস্থ শেখ হাসিনা জাতীয় যুব কেন্দ্রকে ইনন্সিটিউটে রূপান্তর করার লক্ষ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনন্সিটিউট করা হয়েছে।
ক্রীড়া উন্নয়ন ও সাফল্য
বঙ্গবন্ধু সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ ২০০৯, সাউথ এশিয়ান গেমস ২০১০, আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১১, আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ ক্রিকেট বাছাই পর্ব-২০১১, এশিয়া কাপ ক্রিকেট ২০১২, এশিয়া কাপ ক্রিকেট ২০১৪, ওয়ার্ল্ড টি টুয়েন্টি বাংলাদেশ ২০১৪, ৪র্থ রোলবল বিশ^কাপ ২০১৭ ইসলামিক সলিডারিটি আর্চারী চ্যাম্পিয়নশীপ ২০১৭, ১০ম পুরূষ এশিয়া কাপ হকি টুনার্মেন্ট ২০১৭ ও সাফ অনুর্ধ্ব ১৫ মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপ ২০১৭ সফলভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ।
প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মোট ৪৯০টি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৩১টি মিনি স্টেডিয়ামের অবকাঠামো নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে।
ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে ৭০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ এবং কক্সবাজার ও মানিকগঞ্জে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে প্রায় ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম জহুর আহম্মেদ স্টেডিয়াম, খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম ও নারায়ণগঞ্জের খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিকমানের স্টেডিয়ামে উন্নীত করা হয়েছে।
সাউথ এশিয়ান গেমসের সময় প্রায় ১২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রীড়াক্ষেত্রে নতুন নতুন স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিকমানের স্টেডিয়ামে উন্নীত করা হয়েছে।
৬ এপ্রিলকে জাতীয় ক্রীড়া দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।