- জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেওয়া উদ্যোগের স্বীকৃতি হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়নস অফ দ্যা আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
- উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজি এন্ড অ্যাকশন প্ল্যান অব ২০০৯’ শিরোনামে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে।
- বর্তমান সরকার পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের সংবিধানে আর্টিকেল ১৮(ক) সংযোজন করেছে। এরই স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ অর্জন করেছে ‘The Global Green Award-2014’।
- গাজীপুরে প্রায় ৪ হাজার একর এলাকা জুড়ে প্রায় ৩২৫.৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক।
- বৃক্ষরোপনে গুরুত্ব আরোপের ফলে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ বেড়েছে। ২০০৮ সালের ৯.৫ শতাংশের স্থলে ২০১৭ সালে ১৩.২৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
- চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘শেখ রাসেল এভিয়ারি’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
- বাংলাদেশ ২০১২ সালে রিও ডি জেনারিওতে অনুষ্ঠিত টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত রিও+২০ সম্মেলনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।
- ৩১৮.৪৭ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে নির্মল বায়ু এবং টেকসই পরিবেশ (কেইস) প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
- দেশের ২০১৭টি ইটিপি স্থাপনযোগ্য শিল্পকারখানার মধ্যে ১৬১৯ টি শিল্প-প্রতিষ্ঠানে ইটিপি স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে, যা বেপরোয়া দূষণ প্রশমন সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।
- শিল্পবর্জ্য হতে পানি পরিবেশ দূষণের দায়ে ৩৯৮৪ শিল্প প্রতিষ্ঠান হতে ২৬৩.০২ কোটি টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫৯.৪৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে, বাকিগুলো আদায়ের প্রক্রিয়াধীন।
- পলিথিন শপিং ব্যাগের অবাধ ব্যবহার বন্ধ এবং গাড়ির কালো ধোঁয়া নিঃসরণ রোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে যথাক্রমে ৮ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে ও ৮৭৬.২১ টন পলিথিন জব্দ করা হয়েছে এবং ৪৭ টি অবৈধ পলিথিন কারখানা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
- জ্বালানি কাঠের ব্যবহার হ্রাসকরণের জন্য ৭ হাজার ৮ শত বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন; এবং ৯ লক্ষ ৭৩ হাজার উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে।
- প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ১২ হাজার ৮ শত ৭২টি সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে।
- পরিবেশসম্মতভাবে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সরকার ৩জ (Reduce, Reuse & Recycle) স্ট্র্যাটেজি এবং কঠিন আবর্জনা ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০১১ প্রণয়ন করেছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর
- সমুদ্রে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ, অবস্থান, তীব্রতা, স্থলভাগ অতিক্রমের স্থান ও জলোচ্ছাসের সঠিক পূর্বাভাস প্রদানের নিমিত্ত কক্সবাজার ও খেপুপাড়ায় ডিসেম্বর ২০১০ সালে জাপান সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় জাইকা (JICA) এর তত্বাবধানে ২ টি অত্যাধুনিক সিসমোমিটার স্থাপন করা হয়েছে।
- পরবর্তীতে উক্ত নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ করে পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, খুলনা, কুমিল্লা ও কক্সবাজার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে আরও ৬ (ছয়) টি অত্যাধুনিক ব্রডব্যান্ড সিসমোমিটার স্থাপন করে কেন্দ্রীয় সিসমিক সার্ভারের সঙ্গে একই নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে সর্বমোট ১০ টি সিসমিক পর্যবেক্ষণাগার থেকে ভূমিকম্পের তথ্য ও উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছে।
- দেশের ৩২টি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারকে ডিজিটালাইজড করার লক্ষ্যে একই নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। নৌ-দুর্ঘটনা প্রশমনকল্পে অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল পূর্বভাসকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
- মৌলভীবাজারে Meteorological Radar System স্থাপন.
- পাঁচটি স্থানে ১ম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার স্থাপন প্রকল্প। পঞ্চগড়, কিশোরগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার এবং বান্দরবান। অ্যাগ্রোমোটিওরোলজিক্যাল সার্ভিসেসের উন্নয়ন করা হয়েছে।
- বাংলাদেশের ১৪টি নদী বন্দরে ১ম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার শক্তিশালী করা হয়েছে।
- আবহাওয়া পূর্বাভাস জনগণের নিকট সহজলভ্য করার লক্ষ্যে ‘বিএমডি ওয়েদার অ্যাপ’ (BMD Weather Apps) উদ্বোধন। স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে ‘বিএমডি ওয়েদার অ্যাপ’ এর ব্যবহার করে তাৎক্ষণিকভাবে এলাকভিত্তিক আবহাওয়া পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে।
- ভূমিকম্প, সুনামি, আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতি লাঘবের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ২০০৯ সাল থেকে Regional Integrated Multi-Hayard Early Warning System (RIMES)-এর কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আসছে।
- জাইকা এর কারিগরি সহায়তায় জুলাই ২০১০ হতে ডিসেম্বর ২০১৩ মেয়াদ বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।
- নরওয়ে জিয়ান মেটিওরোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট এর কারিগরি সহায়তায় ডায়না মডেল ব্যবহার করে আবহাওয়া অধিদপ্তর সঠিক পূর্বাভাস প্রদানে সক্ষমতা অর্জন করেছে।
- বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান স্পারসোর ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রসমূহ হালনাগাদ করার পরিপ্রেক্ষিতে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের সংখ্যা ৩টিতে উন্নীত হয়। এই ৩টি কেন্দ্রের মাধ্যমে মোট ৭টি স্যাটেলাইট (আমেরিকা ভিত্তিক-৩টি, চীন ভিত্তিক-৩টি এবং জাপান ভিত্তিক-১টি) থেকে ডাটা সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে।
- স্পারসোর ভৌত ও অবকাঠামোগত আধুনিকায়ন সম্পন্ন করা হচ্ছে।