বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

8487

Published on এপ্রিল 18, 2018
  • Details Image

নানা ঘাত-প্রতিঘাত, প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলা করে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা ও অর্জনের কথা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেলে লন্ডনে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও মানবিক ইস্যুতে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটে (ওডিআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের অগ্রগতি বিষয়ে জানার আগ্রহ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আয়োজক সংস্থাটি ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প: নীতি, অগ্রগতি ও প্রত্যাশা’ বিষয়বস্তু নির্ধারণ করে এবং প্রধানমন্ত্রীকে মূল বক্তা হিসেবে নির্বাচন করে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওডিআই’র নির্বাহী পরিচালক অ্যালেক্স থিয়ের।

স্বল্পোউন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে বাংলাদেশের নীতি ও কর্মসূচি কী ছিলো? এ অর্জন কী সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে? বাংলাদেশের লক্ষ্য কী? উন্নয়নে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী অগ্রগতি কী? কিভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কাজ করতে পারে? এই বিষয়গুলো ছিলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহের জায়গা।

সংস্থাটির সদর দপ্তরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্যের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী রয়টার্সের একজন সাংবাদিকসহ অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে আপনাদের আগ্রহ দেখে আমি দারুণভাবে উৎসাহিত।

ইংরেজিতে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর মূল বক্তব্যের অনুবাদ নিচে তুলে ধরা হলো:

১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ। যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়, পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে সম্ভ্রম হারায় দুই লাখ মা-বোন। স্বাধীনতার পরপরই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে কাজ শুরু করে বঙ্গবন্ধু। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক ভাবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের ১৮ সদস্য ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন।

আমি ও আমার বোন দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যাই। এরপর দীর্ঘ ২১ বছর দেশ শাসিত হয়েছে সামরিক, আধাসামরিক ও অগণতান্ত্রিক সরকারের হাতে। যেখানে মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা পদদলিত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধা, দারিদ্র, নিরক্ষরতা, শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলতে। এই স্বপ্নই আমাদের সরকারের পথ চলার পাথেয়। ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর থেকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের ভোট-ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করি। এই আন্দোলন করতে গিয়ে বার বার আমাকে নিশানা বানানো হয়েছে, আমার জীবন নাশের জন্য ১৯ বার হামলা করা হয়েছে, বহুবার গ্রেফতার হয়ে জেল খাটতে হয়েছে। স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে আমার সংগ্রামের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এটি।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে ক্ষমতায় থাকার পর আবার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এ সময় দেশকে মোকাবেলা করতে হয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ঘাত-প্রতিঘাত, রাজনৈতিক অস্থিরতা, চরমপন্থার উত্থান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দীর্ঘমেয়াদী বৈশ্বিক মন্দা ও পণ্যের আন্তর্জাতিক উচ্চমূল্য।

২০০৮ সালে নির্বাচনের ইশতেহারে ভবিষ্যত বাংলাদেশের রোডম্যাপ ‘রূপকল্প ২০২১’ ঘোষণা করি। অন্যান্য লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে ইশতেহারের মূল দর্শন ছিলো ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে।

দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করতে দীর্ঘ, মধ্যম ও স্বল্পমেয়াদী নীতি গ্রহণ করা হয়। গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়ে আমরা ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করি এবং বাস্তবায়ন করি। গ্রামে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকার ক্ষুদ্র ঋণ ফান্ডের ব্যবস্থা করে।

খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনে আমরা কৃষির দিকে বিশেষ মনোযোগ দেই। আমাদের দৃঢ় সংকল্প ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা সফলতা এনে দেয়। আমরা শস্য, মাছ, পোল্ট্রি এবং সবজি উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জন করি। আমরা রাজস্ব আদায়ে দেশীয় সম্পদের ওপর গুরুত্ব দেই। আমাদের জাতীয় বাজেটের ৯৫ শতাংশ আসে দেশীয় সম্পদ থেকে।

আমরা বিনিয়োগের জন্য বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেই এবং এর ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বিদেশি বিনিয়োগ সাথে নিয়ে বেশ কয়েকটি ফার্স্ট ট্র্যাক প্রজেক্ট হাতে নেই। বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে আমরা ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি।

আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ ১০টি উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সরকারি তত্ত্বাবধায়নে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা ক্ষুদ্র ঋণের পাশাপাশি ক্ষুদ্র সঞ্চয় ধারণাটি চালু করি। দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ক্ষুদ্র সঞ্চয় ও উৎপাদনশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বনির্ভর হচ্ছে।

আজকে বিশ্বে দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। গত বছর আমাদের প্রবৃদ্ধির হার ছিলো ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং এ বছর ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশা করা হচ্ছে। ২০০৯ সালে জিডিপি ১০০ বিলিয়ন ডলার থেকে আড়াইগুণ বেড়ে ২৫০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৯ গুণ বেড়ে ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, মাথা পিছু আয় ২০০৬ সালে ৫৪৩ ডলার থেকে বেড়ে এ বছর ১৭৫২ ডলার হয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারী দেশ। আমাদের পোশাক কারখানাগুলোকে নিরাপদ ও নিরাপত্তা আর্দশ মানে উন্নীত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

আমাদের এখন লিড (লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন) সনদ প্রাপ্ত ৬৭টি তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ সাত পরিবেশবান্ধব গার্মেন্ট এবং টেক্সটাইল কারখানা বাংলাদেশে।

আমাদের ওষুধ শিল্প স্থানীয় চাহিদার ৯৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে এবং ১০০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করে। আমাদের জাহাজ নির্মাণ শিল্প Scandinavian দেশগুলো এবং জার্মানিতে সমুদ্রগামী জাহাজ রপ্তানি করছে।

হিমায়িত খাবার, চামড়াজাত পণ্য, তথ্য প্রযুক্তি সেবা, পাট, খেলনা এবং অন্য অনেক সম্ভাবনাময় সেক্টরে বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বড় অবদান রাখছে।

২০০৯ সাল থেকে আমাদের বৈদেশিক রপ্তানি আয় তিনগুণ বেড়ে ৩৪ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আমাদের ১৩৬ মিলিয়ন মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এবং তাদের মধ্যে ৭৩ মিলিয়ন মানুষ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে।

বিলিয়ন ডলারের তথ্য প্রযুক্তি শিল্পের সম্প্রসারণে ১৩টি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। শিগগিরই বাংলাদেশ প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু -১’ উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। আমরা ৬ হাজার ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করেছি এবং সাড়ে ৮ হাজার ই-পোস্ট অফিস সেন্টার স্থাপন করেছি, যেখান থেকে মানুষ ২০০ ধরনের সেবা পেয়ে থেকে।

গ্রামীণ নারী ও শিশুদের চিকিৎসা সেবা দিতে ১৮ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপণ করা হয়েছে। উচ্চ প্রবৃদ্ধিতে বিদ্যুৎ গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৯ সালে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিলো ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। বর্তমানে এ সক্ষমতা ৫ গুণ বেড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। ৯০ শতাংশ পরিবার বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হয়েছে। ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি কয়েকটি বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে।

কৌশলগত অবস্থানের কারণে আঞ্চলিক যোগাযোগ, বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং বৈশ্বিক আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উদীয়মান কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে সোয়া ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ করছে বাংলাদেশ।

আমরা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করছি যেখানে আমাদের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রার কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। আঞ্চলিক সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ হতে পারে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন মানুষের মার্কেটের প্রবেশদ্বার। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল ‘বিবিআইএন’ ভুক্ত দেশগুলোর মানুষে মানুষে যোগাযোগ ও বাণিজ্য বাড়াতে বহুমুখী যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যেকার পুরাতন সিল্ক রোড পুনরায় চালুর মাধ্যমে আমরা প্রতিবেশি দুই দেশ ভারত ও চীনের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়া বে অব বেঙ্গল মাল্টি সেকটরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনোমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) আসিয়ান দেশগুলোকে যুক্ত করেছে।

আমাদের সুবিশাল মানব সম্পদ বিশেষ করে তরুণরা হতে পারে বিশাল সম্ভাবনা। প্রায় ২০ দশমিক ৩ মিলিয়ন শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি ও মেধাবৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে, যাদের অর্ধেকই নারী। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নারীদের বিনা বেতনে পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে আমরা মাধ্যমিক পর্যন্ত বিনামূলে বই বিতরণ করছি। শুধু এ বছরই ৩৬২ মিলিয়ন বই বিনামূলে দেওয়া হয়েছে। শতভাগ শিশু স্কুলে যাচ্ছে।

১৪৫টি সামাজিক কর্মসূচিতে জিডিপি’র ২ দশমিক ৩ শতাংশ খরচ করছি। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা দারিদ্রের হার ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি বিষয়ে আমাদের জ্ঞান ও উদ্ভাবনী অংশীদারিত্ব প্রয়োজন। আমাদের মানুষগুলোর আরও ভালো জীবন মান প্রয়োজন যেটি মাথাপিছু আয় দিয়ে বিচার করা যায় না। শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, সুখী ও উন্নত জাতি গঠনে আমরা ‘ভিশন ২০৪১’ গ্রহণ করেছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, নির্ধারিত সময়েই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অপূর্ণ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত বিপুল সংখ্যক নিপীড়িত রোহিঙ্গা মানুষের আশ্রয় নেওয়ার ধকল সইছে বাংলাদেশ। আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা বর্তমানে ১১ লাখ ছাড়িয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি।

আমি নিজে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে তাদের দুর্দশা দেখেছি। বিশ্ব নেতারাও এ বিষয়ে অনেক কিছু করেছেন। রোহিঙ্গা সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ, টেকসই এবং দ্রুত সমাধান চাই। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে বাংলাদেশের ক্ষতির কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

সবচেয়ে কম দূষণকারী হওয়া সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ আমাদেরও মোকাবেলা করতে হচ্ছে। সমুদ্রস্তর বাড়লে আমাদের লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়বে। তাই পৃথিবী, জীব বৈচিত্র্য ও জলবায়ুর পরিবর্তনকে রক্ষা করার দায়িত্ব বিশ্ব সম্প্রদায়কে ভাগ করে নিতে হবে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত