10886
Published on ফেব্রুয়ারি 5, 2018পতনের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়ালে কখনও কখনও উত্থানের দিকে মুখ ফেরানোর সুযোগ হয়ত হতে পারে। কিন্তু পতিত মানবের পক্ষে উঠে আসার পথ অতি বন্ধুর। হাত ধরে টেনে তোলাও সম্ভব নয়। ক্রেন দিয়েও নয়। বিএনপি নামক দলটি আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর মতো স্বর্গীয় সুধা আস্বাদনের লক্ষ্যে নিজের পায়ে কুড়াল এমনইভাবে মেরেছে যে, পদযুগলহীন অবস্থা তার। দাঁড়াবার নেই শক্তি। এমনকি জায়গাটুকুও নয়। আত্মহননের খেলায় দলটিকে এমনই সিদ্ধহস্ত করে তোলা হয়েছে যে, সমান্তরাল স্থানেও অবস্থান নিতে পারছে না। সাংগঠনিক ও রাজনৈতিকভাবে এমনই পর্যুদস্ত হয়েছে যে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ দূরে থাক- আন্দোলন করার শক্তিমত্তাও পেয়েছে লোপ। দলটি রাজনৈতিকভাবে দুর্বল অবস্থানে নিমজ্জিত হয়ে এখন হাবুডুবু খাচ্ছে। হঠকারিতা আর ভুল রাজনীতি শুধু নয়, বিদেশী শক্তির ক্রীড়নক হয়ে টিকে থাকার শেষ চেষ্টাটুকুও আর কাজে দিচ্ছে না। বিএনপি নেত্রী ক’দিন আগে ক্ষমতাসীন সরকারের সমালোচনা করে বলেছিলেন, বর্তমান সরকার পাকিস্তান সরকারের আদলে দেশ চালাচ্ছে। বেগম জিয়ার খুঁটি নওয়াজ শরীফ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তিনি বেশ নাজুক অবস্থানে আছেন মনে হচ্ছে। পাকিস্তান যার কেবলা, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের পুনরেকত্রীকরণের ‘অলৌকিক’ স্বপ্নদ্রষ্টা বেগম জিয়া হঠাৎ পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে শেখ হাসিনা সরকারের তুলনা করার নিশ্চয় কোন মাজেজা রয়েছে। ভারত বিরোধিতা যার জীবন সাধনা; সেই তিনি ভারত সরকারের পক্ষে সোচ্চার প্রায়। বোঝা যাচ্ছে, দিশেহারা হয়ে তিনি ওলোট-পালট প্রলাপ বকছেন। ভুল রাজনীতির জন্য মাশুল গুনতে গুনতে তিনি রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বকে বরণ করে নিয়েছেন। অবশ্য বেগম জিয়া রাজনীতি ছেড়ে দিলে বিএনপি নামক দলটি অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারবে কি-না, তা সময়ই ভাল বলতে পারবে। দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক পুত্রের পক্ষে দলের হাল ধরা সহজ হবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র তার সম্পর্কে নেতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাকে সেদেশে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করেছে। কানাডার আদালত তো বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবেই অভিধা দিয়েছে। দল নেতাদের এমন অবস্থান নিয়ে দলের নেতাকর্মীরা হতাশা তাদের আঁকড়ে ধরেছে। অবশ্য প্রকৃতি বা রাজনীতি কেউই শূন্যস্থান সহ্য করে না। বেগম জিয়া রাজনীতি থেকে বিদায় নিলে এবং তার ‘গুণধর’ পুত্র সাজাপ্রাপ্ত আসামির পক্ষে দলের হাল ধরা অসম্ভব হয়ে পড়বে। দলের অন্য নেতারা নিশ্চয় হাল ধরবেন। আর সে সময় বিএনপি হয়ত নতুনভাবে গড়ে উঠতে পারবে। বিএনপির ক্ষয় চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সংগঠন ও বোধবুদ্ধি পরস্পর পাল্লা দিয়ে বিলীয়মান দলের দু’ধারেই অবাধ অধোগতি তারই অনিবার্য পরিণাম। দলটি মানুষের আস্থা হারিয়েছে। হারাবারই কথা। নিজের ওপর কোন বিশ্বাস নেই যার, তাকে কে বিশ্বাস করবে। দেশবাসী জানে, বেগম জিয়ার রাজনীতি হচ্ছে সর্বপ্রকার দুর্নীতির পরিপোষক। শহরের রাস্তায় যেমন পুঞ্জিভূত জঞ্জাল, তার সময়ের সমাজের সর্বস্তরে বিস্তৃত হয়েছে তেমনি পুঞ্জিভূত দুর্নীতি। এ শুধু বেগম জিয়ার একার নয়। তার পুত্র এবং দলের প্রায় সবার মধ্যে ছেয়ে গিয়েছিল দুর্নীতি। দেশবাসীর আরও জানা যে, বিএনপি নামক দলের বেশিরভাগ নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক বন্ধুদের পরামর্শমতো, বিশেষত পাকিস্তান। আর সে কারণেই আন্দোলন ক্ষান্ত দিয়ে দলটি আপাত চুপ থাকার পথ ধরেছিল। উদ্দেশ্য, একদিকে নেতা-কর্মীদের কারামুক্ত করে দল পুনর্গঠন। অপরদিকে জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদী হিসেবে যে ছাপ নেতৃসহ দলটির গায়ে-গতরে, তা মুছে ফেলে আবার সতেজভাব আনা, পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার সর্বপ্রকার প্রচেষ্টা চালানো। কিন্তু তা সফল হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
কার্যকলাপে এটা ধারণায় আসে যে, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার বিএনপির প্রতি অনেকটাই নমনীয়। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে যে পরিমাণ দুর্নীতি করেছে, তুলনায় মামলা হয়েছে কম। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে মামলাগুলোর বিচার চলছে, তা দায়ের করেছিল তারই সৃষ্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার। বর্তমান সরকারের কোন দায়ভার এখানে নেই। হাওয়া ভবন নামক লুটপাটের আখড়া চালু করে তার অর্ধশিক্ষিত পুত্র যে পরিমাণ অর্থ ‘কামাই’ করে বিদেশে পাচার করেছে, তার কিয়দংশ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পাচার করা আরও অনেক টাকার হদিস পাওয়া যায়নি এখনও। কেবল সৌদি আরবের অংশটার কথা সাম্প্রতিককালে প্রচার হয়েছে। যা ফেরত আনার জন্য নিশ্চয়ই সরকারীভাবে উদ্যোগ নেয়া হবে।
সামরিক জান্তা শাসক জিয়াউর রহমান সাত দিনের ক্যামেরা ট্রায়াল করে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিল কর্নেল তাহেরকে। আর তার স্ত্রীর দুর্নীতির বিচার চলছে দশ বছর ধরে। বিস্ময় জাগতে পারাটাই স্বাভাবিক। বিএনপিকে তৃতীয় ক্যাটাগরির সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কর্তৃপক্ষ তালিকাভুক্ত করেছে। সেখানে বেগম জিয়ার দুর্নীতির কারণে অভিযুক্ত হওয়ায় তারা এই দলটিকে আর আগের মতো সমর্থন করছে না। সে দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তারেকের ব্যাপারে। ফিলিপিন্সের মার্কোস এবং তার স্ত্রী হামলাকে দুর্নীতির কারণে গণবিক্ষোভের মুখে দেশত্যাগ করতে হয়েছিল। তাদের দুজনের কার্যকলাপে অবস্থা এমন হয়েছে যে, বিএনপি এদেশে আর মূলধারার রাজনৈতিক শক্তি নয়। বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই তারা এখন আর ভোটে জিতে ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা করে না। বিএনপির রাজনীতি স্থবির হয়ে গিয়েছে। যেটুকু অস্তিত্ব আছে তা সন্ত্রাস এবং ষড়যন্ত্রনির্ভর বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে ভারতের পাঞ্জাবের একদা খালিস্তান আন্দোলনের রাজনীতির মিল খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল বিগত বছরে। পাকিস্তানীদের মতো বিএনপির রাজনীতিও সন্ত্রাসনির্ভর। পাকিস্তানের রাজনীতি যেমন ব্রিটেন ও কানাডায় পালিয়ে যাওয়া নেতাদের বাগাড়ম্বর ও অনলাইন প্রোপাগা-ার মধ্যে সীমাবদ্ধ। বিএনপির রাজনীতিও তেমন লন্ডনে পলাতক তারেক গং-এর মিথ্যাচার ও অনলাইনভিত্তিক অপপ্রচারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। আর বিএনপি নেত্রী নিজেকে জামায়াত, যুদ্ধাপরাধী, সন্ত্রাসী ও জঙ্গীদের নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা এবং পরিচিতি লাভ করার পর বেগম জিয়া খেই হারিয়ে ফেলেছেন। হাঁসের ভেজা পালকের মতো গা থেকে ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছিলেন সেসব অভিধা। কিন্তু তা যে অসম্ভব, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। পেট্রোলবোমা মেরে যত সহজে জীবন্ত মানুষকে দগ্ধ করে হত্যা করেছেন, এরপর দেশবাসী জনগণের নেত্রী, দেশনেত্রী, হিসেবে ভাবে না। যদিও এসব অভিধা তার ওপর আরোপ করা হয়েছিল জোরপূর্বক। যে যা নয়, তাকে সেই অভিধা প্রদান গ্রহণযোগ্য যেমন নয়, তেমনি তা মুছে যেতে বাধ্য। মনে পড়ে, গত বছর ইফতার পার্টিতে বেগম জিয়া বলেছিলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের’ মাধ্যমে তিনি বর্তমান সরকারকে উৎখাত করবেন। কিন্তু সেই অভ্যুত্থানের দেখা আর মেলেনি কোথাও। অতীতে অবরোধ ও হরতাল নামক নৃশংস কর্মসূচী পালন করে তিনি গণবিরোধী যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন, সেখান থেকে আর উঠে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়েছে। অরাজকতা তৈরি করে দেশজুড়ে নাশকতা চালিয়ে তিনি ক্ষমতা দখলের যে পাঁয়তারা চালিয়েছিলেন, তা ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের ক্ষোভের যাঁতাকলে পড়ে তিনি সরে যেতে বাধ্য হন। কিন্তু মন-মানসিকতার বিকলনের কারণে আর স্বাভাবিক পথে ফিরে যেতে পারেননি। ব্যর্থতার পাল্লা ভারি হতে হতে এমন হয়েছে যে, বেগম জিয়া এখন খড়কুটো ধরে হলেও টিকে থাকতে চান। নিজ দলের মধ্যে তাকে নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ করে লন্ডনে পলাতক পুত্রের নির্দেশ-আদেশ পালন করতে গিয়েই রাজনীতির স্বাভাবিক ধারায় আর ফিরে আসতে পারছেন না। পারার কথাও নয়। ষড়যন্ত্রের যে রাজনীতিকে তিনি ধারণ করে আছেন, তা-ই তাকে মূলধারার রাজনীতি হতে অনেক আগেই বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। বিচ্ছিন্নতার মধ্যে ভবিষ্যত খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। যেখানে বর্তমানই অন্ধকারাচ্ছন্ন। বেগম জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রায়শ। যুদ্ধকালে তার ভূমিকা দেশবাসী অবহিত। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধ শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছেন। যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনা ক্যাম্পে অবস্থান করা বেগম জিয়া জামায়াতের সঙ্গে সখ্য করে ধৃষ্টাচারে লিপ্ত হয়েছে। মানুষের প্রতি তার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। আর জনগণ তা বুঝে গেছে।
দুর্নীতির ক্ষমতার রায় যা-ই হোক, জনগণের কাছে এটা স্পষ্ট যে- মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সাজানো নাটক নয়। সত্যকে সত্য বলার রাজনীতি দেশ থেকে উধাও করে দিয়েছিলেন। তার ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’-এর ধাক্কায় ও ধকলে দেশের রাজনীতি থেকে সততাকে উচ্ছেদ করেছিলেন। রাজনীতিতে অসৎ লোকদের আমদানি করে তাদের বৈশিষ্ট্য হিসেবে অসততাকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। জিয়া নিজ বাহিনীর হাতে নিহত হওয়ার পর ভাইস প্রেসিডেন্ট বিচারপতি সাত্তার দায়িত্ব নিয়েই নিজ মন্ত্রিপরিষদে যে দুর্নীতিবাজরা বিদ্যমান, তা প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন। কয়েকজন দুর্নীতিবাজকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করেন। যার মধ্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ রয়েছেন। সাত্তার প্রচার করেন যে, বিএনপির রাজনীতিকরা দুর্নীতিবাজ এবং সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তাই মাত্র সৎ ও দেশ পরিচালন যোগ্য। বিএনপি নেতা বিচারপতি সাত্তার বিএনপি মন্ত্রী, এমপি, নেতাদের দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে তা থেকে উদ্ধারে সেনাপ্রধান এরশাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছিলেন। বেগম জিয়া জামায়াতের হাতে ক্ষমতার একটা অংশ ছেড়ে দিয়েছিলেন সেই পথ ধরেই। জিয়া ও এরশাদ ক্ষমতা দখলকালে আইয়ুব খানের মতো একই সংলাপ উচ্চারণ করেছিলেন যে, রাজনীতিকরা অসৎ, দুর্নীতিবাজ, দেশ পরিচালনায় অযোগ্য, অদক্ষ। অথচ ইতিহাস বলে দেশ পরিচালনায় সবচেয়ে অযোগ্য এবং চরম দুর্নীতিবাজ সেনা শাসনব্যবস্থা। এদেশের জনগণ পাকিস্তান ও বাংলাদেশ পর্বে এসব দেখেছে। আর বেগম জিয়ার দুই পুত্র, হারিস, ফালু, মামুনসহ বহু লুটেরা নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে তারেক দেশ-বিদেশে ‘দুর্নীতির প্রতীক’ হিসেবে চিহ্নিত।
দুর্নীতির জন্য বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে কারাদ- দিয়েছে আদালত। এ নিয়ে বিহারজুড়ে কোন নাশকতা, নৃশংসতা মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটেনি। আইনী লড়াইকে আইনীভাবে মোকাবেলা করাটাই সে দেশের গণতান্ত্রিক চর্চা। রাজনীতিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার প্রবণতা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতে সর্বাধিক। কিন্তু বাংলাদেশে ভিন্ন। এখানে দুর্নীতির মামলা হলে, বিশেষত রাজনীতিক এবং আমলাদের বিরুদ্ধে, হৈচৈ পড়ে যায়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই মামলা করা হয়েছে বলে চিৎকার শুরু হয়। সমাবেশ, মিছিলের তোড়জোড়ও চলে। যেমন দেখা গেছে, সম্প্রতি। সৌদি কর্তৃপক্ষ বেগম জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশে টাকা পাচার, দুর্নীতি এবং ঘুষ গ্রহণের সঙ্গে সম্পৃক্ততার যে তথ্য বা খবর প্রকাশিত হয়েছে, তাতে বেগম জিয়ার দলের পথ থেকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্জিত বিপুল পরিমাণ অর্থের মধ্যে একটি অংশ সৌদিতে বিনিয়োগ করা আছে বলে গণমাধ্যমেও সংবাদ বেরিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে। এসব তথ্য আগামীতে ক্রমশ প্রকাশিত হতে থাকবে। হাওয়া ভবনের লুটপাটের হাওয়া বয়ে যাওয়া বিএনপিও তার নেতা-নেত্রীদের লুটপাটের হিসাব একদিন দিতে হবে। আর সেই হিসাবের পথ বেয়ে দলটি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে মনে হয় না।
সৌজন্যেঃ দৈনিক জনকণ্ঠ