427
Published on সেপ্টেম্বর 21, 2017তিনি বলেন, দ্বিতীয়ত, সুনির্দিষ্টভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে দায়ীদেরকে স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পর্যায় পর্যন্ত চিহ্নিত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২ তম বার্ষিক অধিবেশন উপলক্ষে জাতিসংঘর সদর দফতরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন আয়োজিত পরিবেশ বিষয়ক বেশ্বিক চুক্তি সংক্রান্ত শীর্ষ সম্মেলনে ভাষন দেন।
শেখ হাসিনা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নয়নের অধিকার মোকাবেলায় একটি যথাযথ, ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই পদ্ধতি গ্রহনের জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্থ জনসাধারণ এবং দেশগুলোকে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নৈতিক বাধ্যবাধকতা কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, পরিবেশ সম্পর্কিত বৈশ্বিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার সময় ক্ষতিগ্রস্ত ও দরিদ্র দেশগুলোকে বিবেচনায় নিতে হবে।
শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে পরিবেশ সম্পর্কিত বৈশ্বিক চুক্তি সচল রাখার উদ্যোগ নেয়ার জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এ্যামানুয়েল ম্যাকরনের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ অন্যতম অধিক ক্ষতিগ্রস্ত একটি দেশ। এই ইস্যু সমাজে শান্তি-স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ও বৈষম্য নিরসনে বৃহত্তর পরিসরে বিবেচনা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দৃষ্টান্ত স্থাপন ও অগ্রগামী বাংলাদেশ কর্মে বিশ্বাসী। আমরা উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে প্রথম নিজস্ব সম্পদে জাতীয় জলবায়ু পরিবর্তন তহবিল গঠন এবং জাতীয় জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল প্রণয়ন করেছি। প্রতিবছর জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশ জিডিপি’র ১ শতাংশেরও বেশি ব্যয় করে।
পরে প্রধানমন্ত্রী বেকম্যান প্যালেসে যুক্তরাজ্য ও মাল্টার প্রধানমন্ত্রীদ্বয় আহুত কমনওয়েলথ দেশগুলোর প্রধানদের এক সম্বর্ধনায় যোগ দেন।
সন্ধ্যায় তিনি ম্যাডিসন এ্যাভেন্যুতে প্যালেস হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ অভ্যর্থনায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।