509
Published on এপ্রিল 17, 2017পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জলবিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। ভুটান থেকে আমরা ভারতের ওপর দিয়ে বিদুৎ আমদানি করবো।’
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক বলেন, ‘নেপালে অনুষ্ঠিতব্য চতুর্থ বিমসটেক (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) শীর্ষ সম্মেলনে এ বিষয়ে একটি স্মারক স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের আমন্ত্রণে দেশটিতে আগামী ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী। দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠক হবে ১৮ এপ্রিল। এ সময় নদীর অববাহিকাভিত্তিক পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, জলবিদ্যুৎ, উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা, কানেক্টিভিটি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন তারা।
শেখ হাসিনার ভুটান সফরে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের সম্ভাবনা আছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক উল্লেখ করেন তিনি।
চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো হলো: বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যকার দ্বৈত কর পরিহার, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যমান, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা, ভুটান কর্তৃক বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌ-রুট ব্যবহার, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক এবং ভুটান কর্তৃক বাংলাদেশ দূতাবাস স্থায়ীভাবে নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দের চুক্তি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, থিম্পুতে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন শেখ হাসিনা। এছাড়া থিম্পুতে অনুষ্ঠিতব্য ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অব অটিজম শীর্ষক আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন তিনি।