বাংলাদেশ শিপ রিসাইক্লিং আইন-২০১৭ অনুমোদিতঃ শাস্তির বিধান কঠিনতর

404

Published on জানুয়ারি 30, 2017
  • Details Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, প্রস্তাবিত আইনের ৪ ধারার আওতায় শিপ রিসাইক্লিং শিল্পের জন্য চট্টগ্রামে একটি অঞ্চল নির্ধারণ করা হবে এবং এবং এখানেই ইয়ার্ড নির্মাণ করতে হবে। এছাড়া এ শিল্পকে আন্তর্জাতিক ও প্রচলিত আইন মেনে চলতে হবে।

এই শিল্পের তদারকির জন্য একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতত্বে ১১ সদস্যের একটি নতুন বোর্ড গঠন করা হবে। এই বোর্ডে অতিরিক্ত সচিব চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য সদস্যগণ হবেন- শিল্প, বন ও পরিবেশ, শ্রম ও কর্মসংস্থান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়গুলো থেকে একজন করে প্রতিনিধি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, শীপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সভাপতি ও এই এসোসিয়েশন থেকে সরকার কর্তৃক মনোনীত ২ জন এবং বোর্ডের মহাপরিচালক।

এই বোর্ড রিসাইক্লিং শিল্পের কর্মকাণ্ড তদারকি করবে। বছরে ৩ বার বোর্ডের সভা বসবে।

সচিব বলেন, কেউ অনুমতি ছাড়া বা নির্ধারিত জোনের বাইরে ইয়ার্ড স্থাপন করলে তার সর্বোচ্চ ২ বছর জেল বা ১০ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দ- হতে পারে। এনওসি ছাড়া জাহাজ আমদানির ক্ষেত্রেও অনুরূপ শাস্তির বিধান রয়েছে। এছাড়া তীরে বা ডাঙ্গায় জাহাজ আনলে ও এনওসি ছাড়া রিসাইক্লিং করলেও একই জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে।

তিনি বলেন, ভুয়া সনদ দিয়ে সুযোগ-সুবিধা নিলে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ বছর জেল ও ৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে।

ছবিঃ ফোকাস বাংলা

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত