606
Published on জানুয়ারি 1, 2017রোববার সকালে নতুন বছরের শুরুতে উৎসবমুখর পরিবেশে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা ভাষাভাষী শিশুদের হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে অনুশীলন খাতাও তুলে দেওয়া হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ ১১ ভাষাভাষী ১৩টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস। এসব আদিবাসী জনগোষ্ঠীর রয়েছে নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্য। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সম্পাদিত পার্বত্য চুক্তিতেও পাহাড়ের আদিবাসী শিশুদের বিদ্যালয় থেকে ঝরেপড়া রোধে প্রাক-প্রাথমিক স্তরে নিজ নিজ মাতৃভাষায় শিক্ষা পদ্ধতি চালুর কথা বলা হয়েছে। আর ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতিতে আদিবাসী শিশুদের মাতৃভাষায় পড়ালেখা করার সুযোগের কথা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছিল না।
এবার সে অপেক্ষার পালা ঘুচল। রোববার রাঙামাটির ১০টি উপজেলায় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির এক লাখ তিন হাজার ৮৮৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে চার লাখ ৯৮ হাজার ৭৮৯টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় এবারই প্রথম প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে পাহাড়ের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজস্ব ভাষায় ১২ হাজার ৮৩১টি পাঠ্যপুস্তক ও অনুশীলন খাতা বিতরণ করা হয়েছে।
শহরের বনরূপা সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়ার সময় আদিবাসী শিশু শিক্ষার্থীদের হাতেও তাদের মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক তুলে দেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা। এ সময় রাঙামাটি জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য জেবুন্নেসা রহিম, বনরূপা সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অর্চনা তালুকদার ও কানাডা ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন ওন্টারিওর উপাচার্য অমিত চাকমার মা আলো চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা বলেন, 'এ বছর রাঙামাটি জেলায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের নিজ মাতৃভাষার পাঠ্যপুস্তক দেওয়া সম্ভব না হলেও আগামী বছর থেকে দেওয়া হবে। এই শিশুদের পাঠদানের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। '