বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের অগ্রগতির প্রশংসায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক

407

Published on নভেম্বর 21, 2016
  • Details Image

মার্গারেট চ্যান বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের অর্জন বিশ্বের অনেক দেশের জন্য অনুকরণীয়। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্যে আমি আশাবাদি।’

এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের জনগণের দোরগোড়ায় আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রাম পর্যায়ে ১৩ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করে তৃণমূল পর্যায়ে মৌলিক চিকিৎসা সম্প্রসারণের ব্যবস্থা করেছে সরকার। স্বাস্থ্যসেবার সকল পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি একটি ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা গড়ে তুলতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

পরে চীনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী লি বিন এর সঙ্গে একান্ত আলাপকালে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে চীনের সহযোগিতা কামনা করেন মোহাম্মদ নাসিম। চীনকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিকখাতের উন্নয়নের সহযোগী হিসাবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চীনের রাষ্ট্রপতির ঢাকা সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। বাংলাদেশ তার স্বাস্থ্যখাতকে আরও আধুনিক ও জনবান্ধব হিসাবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় চীনের কাছ থেকে সহযোগিতা কামনা করে।

রবিবার সকালে সাংহাই-এ এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান বিশেষ অতিথি হিসাবে উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতা করেন। বিশ্বের প্রায় ২০০ দেশের মন্ত্রী, সরকারের নীতি নির্ধারণী কর্মকর্তাগণ, বেসরকারি সংস্থার উন্নয়ন কর্মীসহ এক হাজারের বেশি প্রতিনিধি চারদিনব্যাপী এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে বিশ্বেরর ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন মানুষের জীবন মানের অগ্রগতির কৌশল নির্ধারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চীন যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করছে।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত