383
Published on অক্টোবর 16, 2016গত রোববার ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত বিমসটেক রিট্রিটে বক্তব্য দানকালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, এফটিএ বাস্তবায়নের পক্ষে আমাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকা প্রয়োজন। কারণ এতে আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে এবং বিমস্টেক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে। আগামী বছর বিমস্টেকের ২০তম বার্ষিকীতে এফটিএ সম্পর্কিত ৪টি চুক্তি চূড়ান্ত অনুমোদনের লক্ষ্যমাত্রা আমরা নির্ধারণ করতে পারি।
শেখ হাসিনা বলেন, গত ২০ বছরে আমাদের দু’অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগে আমরা অগ্রগতি অর্জন করেছি। তবে অগ্রগতি মন্থর হলেও আমরা গ্রাউন্ডওয়ার্ক সম্পন্ন করেছি। এখন সময় এসেছে এ প্রক্রিয়াকে সংহত করা।
প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক সংহতি ও সহযোগিতায় তাঁর সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে শান্তি ও উন্নয়নের অনুপ্রেরণা পেয়েছি। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে কলকাতায় এক ভাষণে তিনি এ অনুপ্রেরণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিমস্টেককে কিভাবে আরো কার্যকর ও ফলপ্রসূ করতে চাই এখন তা চিন্তা করার সময় এসেছে। বিমস্টেকের আওতায় আমরা ১৪টি সহযোগিতার খাত চিহ্নিত করেছি। আমি মনে করি আগামী ৫ বছর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্বালানি, যোগাযোগ এবং সন্ত্রাস দমনের মতো বিষয়গুলোর প্রতি আরো বেশি আলোকপাত করা দরকার। এজন্য এসব গুরুত্বপূর্ণ খাতে নিয়মিত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক জরুরি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অঞ্চলের জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে আমাদের উচিত হবে আঞ্চলিক প্রকল্পগুলোর উন্নয়নে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা। এতে বিমস্টেকে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণসহ জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ জোরদার হবে।
আঞ্চলিক প্রকল্পসমূহের তহবিল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘমেয়াদে আমরা একটি নিজস্ব তহবিলের কথা চিন্তা করতে পারি। পাশাপাশি বাইরের অর্থের উৎসও অনুসন্ধান করা যেতে পারে।
আঞ্চলিক পরিবহন যোগাযোগ প্রক্রিয়া দ্রুততর করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এডিবি’র সক্রিয় সহযোগিতায় পরিবহন যোগাযোগ সংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপ পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবে।
যোগাযোগ সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমস্টেক একটি উপকূলীয় জাহাজ চুক্তির কথা বিবেচনা করতে পারে। তিনি সুষ্ঠু উপ-আঞ্চলিক গ্রিড সংযোগ ও জ্বালানি বাণিজ্যের স্বার্থে অবিলম্বে গ্রিড ইন্টারকানেকশন সংক্রান্ত একটি এমওইউ স্বাক্ষরের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস ও সহিংসতায় তাঁর উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে বলেন, সকল প্রকার সন্ত্রাস নির্মূলে বিমস্টেক নেতাদেরকে সুদৃঢ় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সন্ত্রাসের বিষয়ে বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকার এ ব্যাপারে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও সহিংসতা দমনে বিমস্টেকের মধ্যে আমাদের সহযোগিতা জোরদার করতে হবে।