366
Published on সেপ্টেম্বর 17, 2016বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত নূর চৌধুরী কানাডায় পালিয়ে রয়েছেন।
শুক্রবার হায়াত রিজেন্সি মন্ট্রিয়েলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ ব্যাপারে মতৈক্য হয়।
বৈঠকের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মোঃ শহিদুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহ্সানুল করিম সংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দু’দেশের কর্মকর্তারা বৈঠকে মিলিত হয়ে নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে বহিঃসমর্পণের উপায় বের করবেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আলোচনার লক্ষ্য হবে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় কার্যকরের জন্য নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনা।’
হক বলেন, সরকার বিভিন্নভাবে নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার বহিঃসমর্পণের ব্যাপারে দু’দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে শিগগিরই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ ইস্যুকে দুই নেতা একটি ‘বৈশ্বিক সমস্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তারা বলেছেন, একসাথে কাজ করার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জঙ্গি বিরোধী অবস্থান এবং জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি আরো বলেন, দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ ও গার্মেন্টস পণ্যের রপ্তানীর মতো অন্যান্য বিষয়ে নিয়েও আলোচনা করেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সফরের জন্য জাস্টিন ট্রুডোকে আমন্ত্রণ জানান।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকতার সঙ্গে তাঁর এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
এ ব্যাপারে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ১২ বছর বয়সে তার পিতা ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে এলিওট ট্র্র্রুডোর সঙ্গে বাংলাদেশ সফর করেন।
ট্রুডো শেখ হাসিনাকে বলেন, তিনি শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন। তার ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সফরকালীন বেশকিছু অস্পষ্ট স্মৃতি রয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ৩০ বছর পর এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কানাডা সফর করছেন।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে একটি নতুন মাত্রা যোগ হলো।