আসেম সম্মেলনে বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপুর্ন অংশীদার হিসেবে স্বীকৃত হয়েছেঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

393

Published on জুলাই 17, 2016
  • Details Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর অতি সম্প্রতি উলানবাটোর সফর এবং আসেম সম্মেলন নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

১১ তম এশিয়া-ইউরোপ সম্মেলন (আসেম) ১৫ ও ১৬ জুলাই মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটোরে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের সম্মেলনে, ‘সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা শুধু প্রশংসিতই হয়নি, বাংলাদেশকে এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। শান্তি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ভূমিকা বিশেষভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসেম সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা তিনি বিশ্ব নেতাদের জানিয়েছেন।

সম্মেলন চলাকালিন ফ্রান্সের নিসে সন্ত্রাসী হামলা এবং তুরষ্কে সেনা অভ্যুত্থান এবং সম্প্রতিককালে বিশ্ব প্রেক্ষপটে বিভিন্ন সন্ত্রাসী ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্বনেতৃবৃন্দ সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে নিন্দা এবং প্রতিবাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতে এই অভিন্ন ইস্যু মোকাবেলায় একযোগে কাজ করে যাবার ও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

সন্ত্রাসের উৎস খুঁজে বের করার বিষয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে তাঁর আহবানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি- যেন জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসে মদতদাতা, অর্থদাতা ও প্রশিক্ষণদাতাদের খুঁজে বের করা হয়।’

তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সব সময়ই অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সে সময় বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন বলেও জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো, শাহরিয়ার আলম, আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী আসেম সম্মেলনের সাইড লাইনে জার্মানীর চ্যান্সেলর অ্যানজেলা মরকল, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ’সহ কয়েকজন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পাশাপাশি ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো জেন্টিলোনি সিলভেরি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীও পৃথক বেশ কিছু গুরত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

এবারের দু’দিনব্যাপী আসেম সম্মেলনে ১১টি দেশের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৩টি দেশের প্রধানমন্ত্রী, ১৬ জন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তথা ইউরোপিয়ান কাউন্সিল (ইসি) ও ইউরোপিয়ান কমিশনের সভাপতি এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সংগঠন আসিয়ানের মহাসচিবগণ অংশ নেন।

উল্লেখ্য, অধিকতর ভারসাম্যপূর্ণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্ব গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এশিয়া ও ইউরোপের সম্পর্ক গভীরতর করার উদ্দেশ্যে এশিয়া ও ইউরোপের ৫১টি দেশ ও দুটি আঞ্চলিক সংস্থার ফোরাম সমন্বয়ে ‘আসেম’ গঠিত হয়। বাংলাদেশ ২০১২ সালে ‘আসেম’-এ যোগ দেয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,সামগ্রিকভাবে এবারের আসেম সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বৈশ্বিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল, দৃশ্যমান এবং সুসংহত করেছে।

তিনি বলেন,‘সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা শুধু প্রশংসিতই হয়নি, বাংলাদেশকে এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে শান্তি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ভূমিকা বিশেষভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।’

আসেম’র এবারের সম্মেলনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার আসেম প্রতিষ্ঠার দুই শক পূর্ণ হয়। সেই সঙ্গে ইউরোপে বিরাজমান অভিবাসন সংকট এবং ফ্রান্সের নিস শহরে হামলার কারণে এই সম্মেলনটি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। এটাতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার পরে এই সম্মেলনের মধ্য দিয়েই প্রথমবারের মত এশিয়া এবং ইউরাপের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ মিলিত হয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসেম শীর্ষ সম্মেলন শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টা পূর্বে ফ্রান্সের নিস শহরে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৮৪ জন নিহত হয়,এখন আরও নিহতদের সংখ্যা বেড়েছে।

আমি এই জঘণ্য হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছি এবং এখনও জানাচ্ছি এবং নিহতদের আত্মার শান্তি কামনার পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহানুভূতি জানাই এবং ফ্রান্সের সরকার এবং জনগণ সকলের প্রতি সমবেদনা জানাই।

তিনি বলেন,‘আপনারা জানেন যে, এই শীর্ষ সম্মেলন চলাকালে তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের খবর আসে। আমরা সেটারও নিন্দা জানাই। কারণ বাংলাদেশ সবসময়ই অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে। তুরস্কের জনগণ এই অসাংবিধানিভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা ব্যর্থ করের দিয়ে প্রমাণ করেছে- জনগণই মূল শক্তি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কারণে প্রথম দিনের সম্মেলন এবং দ্বিতীয় দিনের অবকাশকালীন (রিট্রিট) আলোচনার অধিকাংশটা জুড়েই ছিল সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ এবং এসব প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক উদ্যোগের বিষয়টি।

এছাড়া সম্মেলনে এশিয়া ও ইউরোপের অভিবাসন সংকট মোকাবেলা, বহুজাতিক অপরাধ মোকাবেলা ও মানব পাচাররোধসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষযসমূহ আলোচিত হয়েছে। আসেম এর ভবিষ্যত কাজের পদ্ধতি, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাপনা এবং দুর্যোাগ ঝুঁকি হ্রাস, জ্বালানি নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা, পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ের ওপর প্রধানমন্ত্রী তাঁর আসেমে প্রদত্ত বক্তৃতায় গুরুত্বারোপ বলেও বলে জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি আসেম সম্মেলনে তাঁর বক্তব্যে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি জঙ্গিবাদের মদদদাতা,অর্থদাতা, প্রশিক্ষণদাতা,পরামর্শ দাতা এবং অস্ত্রদাতাদের উৎস খুঁজে বের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।

এই সম্মেলনে উলানবাটোর ঘোষণা, চেয়ার্স স্টেটমেন্ট ও স্টেটমেন্ট অব আসেম ইলাভেন অন ইন্টারন্যাশনাল টেরোরিজম’সহ তিনটি দলিল গৃহিত হবার তথ্যও জানান প্রধানমন্ত্রী।

এইসব দলিলে বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এই সম্মেলনের সাইডলাইনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, সাইবেরিয়া, লিথুয়ানিয়া ও সাইপ্রাসের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও তাঁর সংক্ষিপ্ত অনানুষ্ঠানিক আলাপ হয়েছে বলে জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতালি,জাপান ও ভারতের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আমি গুলশানের হলি আর্টিজন রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের জন্য গভীর শোক ও সমবেদনা জানাই। এই হামলার প্রেক্ষিতে সরকারের চলমান তদন্ত কার্যক্রমের বিষয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ আমি তাদেরকে আশ্বস্ত করি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে জাপান,ইতালি ও ভারত সহ অন্যান্য যে কোন বন্ধু প্রতীম দেশের কাছ থেকেই প্রয়োজন মোতাবেক সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে।’

প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস দমনে তাঁর সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির পুনরোল্লেখ করে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক ঘটনারোধে সম্ভব সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে তাঁর সরকার।

বৈঠকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের সময়োচিত এবং দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের তাঁরা প্রশংসা করেন।

রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় উভয়ে রুপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবানের প্রেক্ষিতে তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে দ্রুত বিনিয়োগের ক্ষেত্র ও প্রকল্প চিহ্নিত করার ওপর গুরুত্বরোপ করেছেন।’

বৈঠকে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন এবং প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান বলেও উল্লেখ করেন।

এছাড়া মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রপতি সাখিয়াজিন এলবেগদোর্জ’র সঙ্গে বৈঠকে আসেম শীর্ষ সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য তাকে অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী মঙ্গোলিয়ার রাষ্টপতিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি ইতিবাচক সাড়া দেন বলেও উল্লেখ করেন।

জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক প্রসংগে শেখ হাসিনা বলেন,‘জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককালে আমরা সন্ত্রাসবাদ ও ধ্বংসাত্মক উগ্রবাদকে বৈশ্বিক সমস্যা উল্লেখ করে তা মোকাবেলায় দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে একমত হই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘জাপানের প্রধানমন্ত্রী আমাকে এইমর্মে আশ্বস্ত করেন যে, গুলশানের ঘটনায় জাপানের জাইকা’সহ অন্যান্য যে উন্নয়ন সহযোগিতা এবং বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিংবা জাপান প্রতিশ্রুত ৬ বিলিয়ন ডলার ছাড় করার বিষয়ে কোন বিরূপ প্রভাব পড়বে না।’

ইতলীর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদকে বিশ্বব্যাপী একটি সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বিশেষভাবে আশ্বস্ত করেন যে, এ ঘটনার কারণে (গুলশানে সন্ত্রাসী হামলা) ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ওপর কোন বিরূপ প্রভাব পড়বে না।’

মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে প্রসংগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠককালে আমি বাংলাদেশে উন্নয়নের অভিজ্ঞতা বিনিময় করি এবং বিদ্যমান বিভিন্ন অমীমাংসিত বিষয়াবলী দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে একমত হই।

তিনি বলেন, আমি মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি’সহ ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির সভাপতি অং সান সূচীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানাই।

জার্মানীর চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মারকেলের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করি এবং তাঁকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানাই।

মারকেল এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও বার্লিনে-জার্মানী সফরের আমন্ত্রণ জানান বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

ইউরোপের চলমান অভিবাসন সংকট মোকাবেলায় চ্যান্সেলর মরকেলের বিশেষ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আগামী ডিসেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ‘গ্লোবাল ফোরাম ফর মাইগ্রেশন এন্ড ডেভেলপমেন্টের সভায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। তিনি এই আমন্ত্রণ আন্তরিকভাবে বিবেচনার আশ্বাস দেন।’

তিনি বলেন, ‘জার্মান চ্যান্সেলর বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে এবং সার্বিক শিক্ষা প্রসারে বিশেষ করে অবহেলিত নারী ও শিশুদের শিক্ষার প্রসারে বাংলাদেশ সরকারের গৃহিত কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।’

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত