1032
Published on জুলাই 11, 2016প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ সফিউল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
সামরিক শাসনামলে জারীকৃত সব অধ্যাদেশ অবৈধ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশনার ভিত্তিতে খসড়া এই আইন বাংলা ভাষায় এবং বিদ্যমান এ আইনের সঙ্গে ৪টি ধারা যুক্ত করে এটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হয়।
কৃষিতে উৎপাদন বাড়াতে উদ্ভাবনী পরিকল্পনা ও নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে এখাতে বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেছে। এই প্রেক্ষাপটে কৃষিতে আধুনিক গবেষণা কর্মকান্ড অন্তর্ভুক্ত করতে নতুন আইনটি প্রণীত হয়েছে। খসড়ায় ২২টি ধারার মধ্যে ৪টি নতুন। এর প্রধান কার্যালয় হবে জয়দেবপুর জেলার গাজীপুরে। এছাড়া সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষ দেশের অন্যান্য স্থানেও এর শাখা স্থাপন করা যাবে।
এই ইন্সটিটিউটের ১১ সদস্যের একটি পরিচালনা পরিষদ থাকবে। ৪ মাস পর পর এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ৫০ শতাংশ সদস্য উপস্থিত হলে এর কোরাম হবে।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকান্ড সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই ইন্সটিটিউট কৃষিখাতে বিভিন্ন সম্ভাবনা ও সমস্যার ওপর গবেষণা পরিচালনার জন্য বিস্তারিত রূপরেখা প্রণয়ন ও অনুমোদন করবে এবং নতুন জাত উদ্ভাবনের উদ্যোগ নেবে। এছাড়া নতুন ফসলের ওপর প্রদর্শনী, বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের গবেষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার পাশাপাশি কৃষি বিষয়ে স্নাতকোত্তর গবেষক তৈরি করবে।
খসড়ায় সংযোজিত নতুন বিষয় সম্পর্কে সচিব বলেন, প্রতিষ্ঠানটি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা, অভিযোজনমূলক নতুন জাতের ফসল উদ্ভাবন এবং কৃষিখাতে আইসিটি ব্যবহারের ব্যবস্থা করবে।
বৈঠকে কুয়েত ও বাহরাইনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত দুটি চুক্তি অনুসমর্থনের পৃথক দুটি প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
চুক্তি দু’টি হলো : পারস্পরিক বিনিয়োগ সুরক্ষা ও বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ও কুয়েত সরকারের মধ্যে চুক্তি এবং অপরটি হচ্ছে- বাংলাদেশ সরকার ও বাহরাইন সরকারের মধ্যে পারস্পরিক বিনিয়োগ সুরক্ষা ও বৃদ্ধি চুক্তি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই চুক্তির ফলে একটি আইনী কাঠামোর আওতায় কুয়েত ও বাহরাইনের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা ওই দেশ দু’টিতে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা পাবে।
বৈঠকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দলের গত ৪ থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি নর্থ পোর্ট ও মালাক্কা এলএনজি টার্মিনাল পরিদর্শন এবং ‘বিশ্বমানের একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর স্থাপনের জন্য গবেষণা প্রকল্পের’ আওতায় বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন একটি দলের জার্মানি ও কোরিয়া প্রজাতন্ত্র সফরের কথাও বৈঠকে অবহিত করা হয়।
বৈঠকে মন্ত্রীবর্গ, প্রতিমন্ত্রীগণ এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।