426
Published on জুন 28, 2016তিনি বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়ার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য আমাদের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।’
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতীয় সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মঙ্গোলিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত গোনচিং গ্যানবোল্ড সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের পর এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য মঙ্গোলীয় ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান।
বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত নানা সুযোগ-সুবিধার কথাও এ সময় প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন।
এ সময় মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ পাট এবং ফার্মাসিউটিক্যাল সামগ্রী তাদের দেশে আমদানি করে থাকে বলেও জানান।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় পাট ও ফার্মাসিউটিক্যাল সামগ্রী ছাড়াও বাংলাদেশে থেকে বিভিন্ন পণ্য বিশেষ করে খাদ্য সামগ্রী আমদানিতে এগিয়ে আসার জন্য মঙ্গোলীয় সরকারের প্রতি আহবান জানান।
মঙ্গোলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ১১তম এশিয়া-ইউরোপ মিটিং (এএসইএম)’কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যায়িত করে এই বৈঠকের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় মঙ্গোলীয় রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে সেদেশের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
মঙ্গোলীয় রাষ্ট্রদূত এ সময় বাংলাদেশ এবং মঙ্গোলিয়ার মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ঐতিহাসিক আখ্যায়িত করে আগামীতে এই সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের মঙ্গোলিয়ার অনুষ্ঠিতব্য ‘এএসইএম’ সম্মেলনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য আমরা (মঙ্গোলিয় সরকার) অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটোরে আগামী ১৫ এবং ১৬ জুলাই বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্মেলন ১১তম এশিয়া-ইউরোপ মিটিং অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।