জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স অবস্থান, তা বিশ্ব নেতৃবৃন্দ জানেনঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

309

Published on জুন 15, 2016
  • Details Image

সংসদের বুধবারের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরপর্বে তিনি বলেন,“জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স অবস্থান, তা বিশ্ব নেতৃবৃন্দ জানেন।”

‘সব দেশের সহায়তায় জঙ্গিবাদ দমন সম্ভব’- এমন কথাও বিশ্বনেতাদের গোচরে আনা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

জাপানের নাগোয়ায় বিশ্ব অর্থনীতির সাত পরাশক্তির জোট জি সেভেন সম্মেলনের পরদিন ২৭ মে আউটরিচ বৈঠক হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া অলন্দ, জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং সম্মেলনের আয়োজক জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বৈঠকে অংশ নেন।

বাংলাদেশ ছাড়াও লাওস, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, পাপুয়া নিউ গিনি এবং শাদের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা আউটরিচ বৈঠকে এশিয়া ও আফ্রিকার প্রতিনিধিত্ব করেন।

জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আমন্ত্রণে সেখানে যোগ দিয়েছিলেন আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারপারসন এবং বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি ও আইএমএফের প্রধানরা।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরীর সম্পূরক প্রশ্নটি ছিল- জি সেভেন আউটরিচ মিটিংয়ে বাংলাদেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে বিশ্ব নেতাদের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা।

জবাবে সরকারপ্রধান সংসদকে বলেন, “জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ এমন একটি বিষয়, যেটা নিয়ে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক আলোচনার বাইরেও আলোচনা হয়। বৈঠক চলাকালে যে কথা হয়েছে; সেসব আনুষ্ঠানিক না।

“বাংলাদেশ যে জঙ্গিবিরোধী অবস্থান নিয়েছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করেছে সবাই। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কর্মকাণ্ডে আমাদের সহায়তার কথা বলেছি। আমি বলেছি, সকলের সহায়তা নিয়ে আমরা জঙ্গিবাদ দমন করতে পারি।”

আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মত দক্ষিণ এশিয়াতেও বিস্তৃতি পেয়েছে, যা আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য ‘হুমকিস্বরূপ’। এ বাস্তবতায় ‘নিরাপত্তা সহযোগিতার’ মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়াকে একটি শান্তিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ অঞ্চলের দেশগুলো একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

অন্য এক সম্পূরক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করলে এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি করলেই নারীর ক্ষমতায়ন হবে।

ক্ষুদ্রঋণের সমালোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, “মাইক্রো ক্রেডিট নিয়ে যারা কাজ করে, তাদের দীর্ঘমেয়াদী এবং টেকসই কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, ঋণ নেয় আর প্রতি সপ্তাহে শোধ করে।”

এ পর্যায়ে সরকারের ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের কথা তুল ধরেন তিনি।

“একটি বাড়ি একটি খামার দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয়ের ব্যবস্থা করে,” বলেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশের মানুষকে যেন খাদ্য সঙ্কটে পড়তে না হয়, সেজন্য সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে বলে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত