'বিএনসিসি আইন-২০১৬' এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা

2224

Published on জুন 13, 2016
  • Details Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠকের পর বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করার সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর আইন-২০১৬-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে এর একটি অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হবে। এই কাঠামোর মাধমে এই সংস্থাটিতে থাকা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরুণদের আগামীতে নেতৃত্ব প্রদানের যোগ্যতাসম্পন্ন করে গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন, নতুন আইন সংস্থাটিকে একটি আইনী কাঠামো প্রদান করবে যার মাধ্যমে এতে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত যোগ্যতা থাকা শিক্ষার্থী ক্যাডেট হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে পারবেন ।

তিনি বলেন, ‘১৯৫০ সালের একটি সার্কুলারের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে বিএনসিসি পরিচালিত হচ্ছিল, কোনো পূর্ণাঙ্গ আইন ছিলো না। একে আইনি কাঠামো দিতেই নতুন আইন করা হচ্ছে।’

শফিউল আলম বলেন, নতুন এই আইনের অধীনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় ঢাকায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর-এর অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হবে।

একজন মেজর জেনারেল বা ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের সমপর্যায়ের একজন মহাপরিচালক হিসেবে এর নির্বাহী প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রতিরক্ষা সচিবের নেতৃত্বে একটি ১৭ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদও এতে থাকবে।

প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, সেনা, নৌ ও বিমান সদর, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে একজন করে প্রতিনিধি এই উপদেষ্টা কমিটিতে রাখা হবে। বিএনসিসির মহাপরিচালক হবেন এই উপদেষ্টা কমিটির সদস্য-সচিব।

নির্ধারিত যোগ্যতা থাকা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জুনিয়র ও সিনিয়র ডিভিশনের ক্যাডেট হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে পারবেন বলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।

মন্ত্রিসভা এদিন মরক্কো চুক্তি অনুযায়ী বাণিজ্য সম্প্রসারণে ‘ডব্লিওটিও’র একটি চুক্তিপত্রের অনুসমর্থনেরও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।

২০১৩ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে ডব্লিওটিও’র নবম মিনিস্ট্রিয়াল সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সদস্য দেশগুলোর বাণিজ্য সম্প্রসারণে সম্পাদিত এই চুক্তিপত্রে ৮২তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনুসমর্থনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এই চুক্তির অনুসমর্থন আমদানী-রপ্তানীকে আরো সহজীকরণের মাধ্যমে উন্নয়নশীল এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বাণিজ্য সম্প্রসারণের সক্ষমতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক সহযোহিতা এবং শুল্কমুক্ত পণ্য আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে সুযোগ লাভের সুবিধা করে দেবে।

মন্ত্রিসভাকে এদিন প্রধানমন্ত্রীর সম্প্রতি বুলগেরিয়া এবং সৌদি আরব সফর সম্পর্কেও অবহিত করানো হয়।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত