320
Published on মে 23, 2016তিনি বলেন, যথাযথ বিনিয়োগ করা পেলে নবায়ণযোগ্য জ্বালানি সংক্রান্ত প্রযুক্তি সহজলভ্য ও সামর্থ্যের মধ্যে থাকবে। সৌদি আরবের ‘Post Petroleum Fund’ বা IRENA(International Renewable Energy Agency) বা ‘Qatar Investment Group’ – এর গৃহীত উদ্যোগ গুলো গ্রীণ ও ক্লীন জ্বালানির একটি কাঠামো দিলেও আরো বিনিয়োগ প্রয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী সোমবার কাতারে অনুষ্ঠিত “১৬তম দোহা ফোরাম” এর সমাপণী দিনে জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে “ The Global Status Quo: Challenges and Opportunities” শীর্ষক প্ল্যানারী সেশনে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সৌরশক্তিই হবে আগামীদিনের জালানি। সূর্যের তীক্ষ্ণতা ও উপযুক্ত জমির জন্য গালফ দেশসমূহ (Gulf Country) সৌর বিদ্যুতের জন্য উৎকৃষ্ট। ‘জ্বালানি হাব’ হিসাবে কাজ করে এ এলাকা অন্যান্য দেশে সৌর বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। ইতোমধ্যে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে এবং ভূটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি অনেকটা এগিয়েছে। এভাবে সহযোগিতার নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করেই নবায়ণযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো যেতে পারে।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে ডমিনিকান রিপাবলিকের জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রী ড. আন্টুনিও ইসা কুন্দ জর্জিয়ার উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডেভিড জালাগানিয়া ও কাতারের সাবেক জ্বালানি ও শিল্প মন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন হামাদ আল আত্তিয়াহ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য যে , ২১-২৩ মে ২০১৬ কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত “১৬তম দোহা ফোরাম” এ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমৃদ্ধি এবং স্থায়িত্ব অর্জনের লক্ষ্যে , নিরাপত্তা ও প্রতি্রক্ষা, অর্থনীতি, জ্বালানি ও নাগরিক জীবন নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, রাজনীতি বিদ, নীতি- নির্ধারক, ব্যবসায়ী ও সমাজ কর্মীরা বিভিন্ন ইস্যুতে বক্তব্য ও মতামত দিয়েছেন।