328
Published on মে 10, 2016তিনি বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি ভালো জায়গা এবং স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে সরকার দেশব্যাপী বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন।
সুইডেনের সফররত বিচার ও অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মরগান জোহানসন মঙ্গলবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, বৈঠকে শেখ হাসিনা সুইডেনের মন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশের বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বাংলাদেশ ও সুইডেন একসঙ্গে কাজ করছে।
তিনি বলেন, এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল) চুক্তি করা হয়েছে এবং পায়রা বন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই বন্দর চালু হলে এবং বিসিআইএম (বাংলাদেশ, চিন, ভারত, মায়ানমার) অর্থনৈতিক করিডোর বাস্তবায়িত হলে এই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য আরো সম্প্রসারিত হবে এবং বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।
বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী সুইডিশ মন্ত্রীকে বাংলাদেশে তার প্রথম সফরের জন্য স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সুইডেনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এগুলো দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের অনেক নাগরিকও সুইডেনে বসবাস করছে। তারাও দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে।
প্রধানমন্ত্রী তৈরি পোশাক এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অব্যাহত সহযোগিতা প্রদানের জন্য সুইডিশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
এ ছাড়া, গ্লোবাল মাইগ্রেশন সমস্যা নিয়ে আলোচনায় সুইডেনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের কথাও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মরগান জোহানসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক এবং স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের ভূয়সি প্রশংসা করেন।
নরওয়ে, ডেনমার্ক এবং সুইডেনভিত্তিক একটি প্রাইভেট কোম্পানীর নিজস্ব স্টাডির কথা উল্লেখ করে সুইডিশ মন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে চমৎকার বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ রয়েছে।
সুবিধাজনক সময়ে সুইডেন ভ্রমণের জন্য সুইডিশ মন্ত্রী সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লোফভ্যানের একটি আমন্ত্রণপত্রও শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন।
অন্যদিকে, আগামী ডিসেম্বরে ঢাকায় গ্লোবাল ফোরাম ফরম মাইগ্রেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট’র (জিএফএমডি) শীর্ষ সম্মেলন হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সুইডিশ মন্ত্রী মরগান জোহানসনকে সম্মেলনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, সুইডেনে বাংলাদেরেশর রাষ্ট্রদূত গোলাম সারওয়ার, সুইডিশ মন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা নাতাশা মিরোসেভিক এবং বাংলাদেশের সুইডেনের রাষ্ট্রদূত জোহান ফ্রিসেল উপস্থিত ছিলেন।