431
Published on ফেব্রুয়ারি 25, 2016বুধবার আইএমএফে বাংলাদেশের কোটা বৃদ্ধির চাঁদা পরিশোধের মাধ্যমে এ ক্ষমতা দশমিক ১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে দশমিক ২৪ শতাংশ হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১০ সালে আইএমএফ এর ১৪তম কোটা পুনঃমুল্যায়ন সভায় বাংলাদেশের কোটা বা শেয়ার ১০০ শতাংশ বাড়িয়ে ১০৬ কোটি ৬০ লাখ ‘এসডিআর’ করা হয়, যা কার্যকর হয়েছে গত ২৬ জানুয়ারি থেকে।
বর্তমানে আইএমফের মোট তহবিলের দশমিক ২৪৫ শতাংশ বাংলাদেশের।
এসডিআর হচ্ছে স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস, যা আইএমএফের নিজস্ব মুদ্রা। ১ এসডিআর সমান বাংলাদেশি ১১২ দশমিক ৫১ টাকা।
সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের কোটা বাড়ানো হয়েছিল। তখন বাংলাদেশ আইএমএফ এর মোট তহবিলের দশমিক ১৩ শতাংশ বা ৫৩ কোটি ৩০ লাখ এসডিআরের শেয়ারহোল্ডার ছিল।
বুধবার সরকার নতুন শেয়ারের মূল্য বাবদ ৬ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করে। এর মধ্যে ১৫০০ কোটি টাকা বা ১৩ কোটি ৩৩ লাখ ২৫ হাজার এসডিআর বৈদেশিক মুদ্রায় এবং ৪৫০০ কোটি টাকা বা ৩৯ কোটি ৯৯ লাখ ৭৫ হাজার এসডিআর স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধে করেছে।
আইএমএফের কোটাতে কোনো দেশের যে পরিমাণ শেয়ার থাকে ওই দেশ তার ব্যালান্স অব পেমেন্টের ঘাটতি মেটাতে তা ব্যবহার করতে পারে।
এছাড়া এটি কোনো দেশের আর্থিক অবস্থার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডও। এরমাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশের আর্থিক সক্ষমতা মাপা হয়ে থাকে। বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো দেশে অর্থায়নের ক্ষেত্রে এই সূচকটিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
১৯৭০ সালে আইএমএফের তহবিলে বাংলাদেশের শেয়ার ছিল মাত্র ১২ কোটি ৫০ এসডিআর।
বিশ্বের ১৭৩টি দেশ আইএমএফের সদস্য। এরমধ্যে ১৪৯টি দেশের ভোটিং ক্ষমতা আছে। আইএমএফ ৯৪ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ ভোট সদস্য দেশগুলোর শেয়ার অনুযায়ী ভাগ করে দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক এই অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানের মোট ভোটের ১৭ শতাংশের বেশি দখলে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাপানের হাতে রয়েছে ৬ শতাংশের বেশি, জার্মানির ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং ৫ শতাংশ ভোট রয়েছে যুক্তরাজ্যের হাতে।
এছাড়া ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, ব্রাজিল, মেক্সিকো, ভারত, চীন ও অস্ট্রেলিয়ার হাতেও উল্লেখযোগ্য শেয়ার রয়েছে।
সংবাদঃ বিডিনিউজ২৪