বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রমিক আইন-২০১৬ মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত

1549

Published on ফেব্রুয়ারি 15, 2016
  • Details Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মাদ শফিউল আলম সংবাদিকদের ব্রিফকালে বলেন, ২০০৬ সালের বিদ্যমান শ্রমিক আইনের আলোকে প্রস্তাবিত আইনটি প্রণীত হয়েছে। এতে সেন্ট্রাল বার্গেনিং এজেন্ট (সিবিএ) ও ট্রেড ইউনিয়ন গঠন সম্বলিত বিধান রয়েছে।

প্রস্তাবিত এই আইনের কর্মরত অবস্থায় কোন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারের সদস্যরা ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে। এছাড়া দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ অক্ষম হলে একজন শ্রমিক ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে।

শফিউল আলম বলেন, এ লক্ষ্যে গঠিত কমিটি শ্রমিক প্রতিনিধি, বিনিয়োগকারী ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই আইনের খসড়া প্রণয়ন করেছে। এতে ১৬ অধ্যায়ে ২০২টি ধারা রয়েছে।

প্রস্তাবিত এই আইনে শ্রমিকদের আর্থিক ও অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা, বাধ্যতামূলক গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স, মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ, অর্জিত ছুটির জন্য নগদ অর্থ, উৎসব বোনাস হিসেবে পূর্ণ বেতন প্রদান এবং ১৬ সপ্তাহের মাতৃত্বকালীন ছুটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তিনি বলেন, এতে শ্রমিক ও বিনিয়োগকারী এবং তৃতীয় পক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ১২ সদস্যের ওয়েজ বোর্ড গঠনের বিধান রয়েছে। ইপিজেডের নির্বাহী চেয়ারম্যান স্থায়ী ওয়েজ বোর্ডের প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন।

সচিব বলেন, ইপিজেডের শ্রমিক সংগঠনগুলোর নাম হবে শ্রমিক কল্যাণ সমিতি। অন্যান্য ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে এর কোন পার্থক্য নেই।

আলম বলেন, প্রস্তাবিত আইনে শ্রমিকদের বেতন, কাজের সময় নির্ধারণ, নিয়োগ ও নিয়োগের শর্ত এবং ধর্মঘট পালন সম্পর্কিত বিষয়ে মালিকদের সঙ্গে সরাসরি জয়েন্ট ওয়েজ বার্গেনিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

তিনি বলেন, এই আইনে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলগুলোতে শ্রমিক বান্ধব পরিবেশ ও শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে বলে সরকার আশা করে। শ্রমিকদের চাকুরির অধিকতর নিরাপত্তাসহ শ্রমিক কল্যাণ সংস্থা গঠন, যৌথ ওয়েজ বার্গেনিং প্রতিনিধিত্ব, শিল্প সম্পর্কিত সমস্যার নিষ্পত্তি এবং ধর্মঘটের অধিকার পূরণে এই আইন প্রণীত হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইএলও কনভেনশনের আলোকে আইনটি প্রণীত হচ্ছে। সরকার এ লক্ষ্যে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,ইপিজেডে অবসরকালীন বয়সসীমা হচ্ছে ৬০ বছর। তবে ২৫ বছর চাকরির পর স্বেচ্ছা অবসরের সুযোগ থাকবে। শ্রমিকরা প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুবিধাও পাবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সৌদি আরবের জেদ্দায় ২১ জানুয়ারি ওআইসি সচিবালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিশেষ বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যোগদান, ১৯ ও ২০ নভেম্বর পরিকল্পনমন্ত্রীর জাপান সফর, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর নেতৃত্বে ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের কাতার সফর এবং ১২ থেকে ২৩ জানুয়ারি ডাক ও টেলিকমিউনিকেশন প্রতিমন্ত্রীর সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া সফর সম্পর্কে মন্ত্রিসভায় অভিহিত করা হয়।

মন্ত্রিবর্গ, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত