644
Published on জানুয়ারি 12, 2016প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ এখানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক অনুষ্ঠানে বিমান বহরে ১৬২ আসনের ‘মেঘদূত’ ও ময়ূরপঙ্খী’ ফ্লাইট দুটির সংযোজন উদ্বোধন করেন।
তিনি আশা করেন, নতুন প্রজন্মের দু’টি এয়ারক্রাফট বহরে যুক্ত হওয়ায় দেশের বিমান পরিবহন শিল্প জোরদার হবে এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শাহজালাল বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ, রানওয়ে সম্প্রসারণ, পার্কিং সুবিধা বৃদ্ধি এবং এভিয়েশন সার্ভিস সম্প্রসারণে সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। বিমান পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) জামালউদ্দিন আহমেদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব এম খুরশিদ আলম চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স ডেভিড মিল, বোয়িং কোম্পানির প্রতিনিধি সবিতা গৌড় ও বিমানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আসাদুজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমান কেবল একটি পরিবহন কোম্পানিই নয়। এটি আমাদের জাতীয় পতাকা বহন করছে এবং বিদেশে দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। জাতীয় এই প্রতিষ্ঠান আমাদের সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে যুক্ত।
বাংলাদেশ বিমানকে দেশের ভাবমূর্তির প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সংস্থার ভাবমূর্তি রক্ষা করা বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের বিমান সংযুক্তির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ বিমানকে আধুনিক সংস্থায় পরিণত করেছে। পূর্ববর্তী কোন সরকার এই সাফল্য দেখাতে পারেনি। সত্যিকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে কেবলমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই এটি করতে পারে।
শেখ হাসিনা বিমানকে ভালভাবে পরিচালনার জন্য এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাদের সুন্দর কাজ তাদের জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে। আপনাদের পেশাদারিত্ব ও উত্তম সেবার ওপর নির্ভর করে জাতির সম্মান ও মর্যাদা।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর একটি জাতীয় এয়ারলাইন সংস্থার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিলেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরু করেছিল এবং তিনি নিজে বিমানের লোগো তৈরির কাজ তদারকি করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর নতুন বিমান কেনাসহ বিমানবন্দরগুলোর উন্নয়নের এবং কার পার্কিং ও বোর্ডিং ব্রীজ নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়া হয়।
যাত্রীসেবার মানোন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশের নাগরিকরা বাংলাদেশ বিমানে ভ্রমন করতে চায়। তারা ভাল সেবা পেলে অবশ্যই তাদের পছন্দের তালিকার প্রথমে বিমানকে রাখবে।
বিমানের চেয়ারম্যান এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে বিমানের একটি রেপ্লিকা উপহার দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মেঘদূত ও ময়ূরপঙ্খী সংযুক্তি উপলক্ষে একটি কেক কাটেন।
৬টি বোয়িং বিমানই বর্তমান সরকারের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছ থেকে কেনা হয়েছে। ৪১৯ আসনের বিমান পালকী ও অরুন আলো ২০১১ সালে এবং আকাশ প্রদীপ ও রাঙ্গা প্রভাত ২০১৩ সালে কেনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক পথে লং রুটে পরিচালনার জন্য এ বিমানগুলো কেনা হয়েছে।
দুই সিএফএম ৫৬-৭বিসহ সজ্জিত ৭৩৭-৮০০ মডেলের নতুন কেনা দু’টি বোয়িংয়ে ১২টি বিজনেস ক্লাস ও ১৫০টি ইকোনমি ক্লাসের আসন রয়েছে। এই বিমানে অত্যাধুনিক ইনফ্লাইট এ্যান্টারটেইনমেন্ট ব্যবস্থা রয়েছে।