589
Published on জানুয়ারি 4, 2016প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৈঠকের পর কেবিনেট সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনটি ১৯৬২ সালে প্রণীত বিদ্যমান পাট অধ্যাদেশের হালনাগাদকরণ।
তিনি আরো বলেন, খসড়া আইনে এক লাখ টাকার সর্বোচ্চ অর্থদণ্ড প্রদানের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা মূল অধ্যাদেশে সুনির্দিষ্ট ছিল না।
শফিউল আলম বলেন, সামরিক সরকারগুলোর প্রণীত সকল অধ্যাদেশ অনুবাদ করার জন্য সুপ্রীম কোর্টের পূর্বের নির্দেশ অনুযায়ী খসড়া আইনটি বাংলায় উপস্থাপন করা হয়েছে।
খসড়া আইনের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে কেবিনেট সচিব বলেন, এতে পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদন, পাট উৎপাদনে উৎসাহ প্রদান ও প্রণোদনা, গবেষণা পরিচালনা এবং এই ধরণের উদ্দেশ্য পূরণের মতো বিভিন্ন বিষয়ে সরকারকে ক্ষমতা প্রদান করে ৩২টি ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়াও, প্রস্তাবিত আইনে এজেন্ট ও ব্রোকার নিয়োগ, মূল্য নির্ধারণ, উন্নয়ন ফি আরোপ এবং চুক্তি নিবন্ধন করার জন্য সরকারকে ক্ষমতা প্রদানের বিধি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শফিউল আলম বলেন, খসড়া আইনের ২১ ধারা অনুযায়ী, সরকার মিথ্যা বিবৃতি প্রদান অথবা আইন লংঘন করার জন্য কোন ব্যক্তি বা সংস্থাকে শাস্তি প্রদান করতে পারবে।
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘বাংলাদেশ সরকার ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে বিমান পরিবহন চুক্তি’র খসড়াও অনুমোদিত হয়েছে। ২০১৩ সালের ১৫ আগষ্ট দুটি দেশের মধ্যে একটি আলোচনা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় এবং এই আলোচনা স্মারকের আলোকে প্রস্তাবিত চুক্তিটি প্রণীত হয়েছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য এই ধরণের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি জরুরি। তাই, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান চলাচল বিধি-বিধান অনুযায়ী প্রস্তাবিত চুক্তিটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
কেবিনেট সচিব বলেন, চুক্তি অনুযায়ী উভয় দেশ তাদের অনুমোদিত এয়ারলাইন্স হিসেবে দুটি দেশের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য এয়ারলাইন্স অপারেটর মনোনীত করতে পারবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইন্স অপারেটরদের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ ছিল এবং আলোচনা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ২০১৩ সালে ফ্লাইট পরিচালনা পুনরায় শুরু করার উদ্যোগ নেয়া হয়।
তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদনের পর, দুটি দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ চুক্তি স্বাক্ষর করবে।
কেবিনেট সচিব বলেন, বৈঠকে ২০১৫ সালের ১৯ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইটালির মিলান নগরীতে অনুষ্ঠিত এক্সপো মিলান ২০১৫-তে বাংলাদেশ দিবসে বাণিজ্য মন্ত্রীর অংশগ্রহনের বিষয়ে বৈঠকে অবহিত করা হয়।
এছাড়াও, ২-৪ নভেম্বর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এশিয়া প্যাসিফিক বিজনেস ফোরাম কনফারেন্স ও ইউএনএসকাপের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত কমিটির চতুর্থ অধিবেশনে এবং ১৩-১৪ নভেম্বর লন্ডনে অনুষ্ঠিত ‘ই-বাণিজ্য মেলায় বাণিজ্য মন্ত্রীর অংশ গ্রহনের বিষয়ে বৈঠকে অবহিত করা হয়।
শফিউল আলম জানান, মন্ত্রিসভা বৈঠকে ২১-২৮ নভেম্বর লন্ডনে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল ম্যারিটাইম অরগানাইজেশনের (আইএমও) ২৯তম অধিবেশনে নৌ পরিবহন মন্ত্রীর অংশগ্রহন এবং ২০১৫ সালের ২৭-২৯ নভেম্বর মাল্টায় অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহন সম্পর্কে বৈঠকে অবহিত করা হয়।
মন্ত্রীবর্গ, সংশ্লিষ্ট প্রতিমন্ত্রীগণ বৈঠকে যোগ দেন। সংশ্লিষ্ট সচিববৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।