383
Published on ডিসেম্বর 27, 2015বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে এই পদ্ধতির চাষ 'ভাসমান বাগান' হিসেবেও পরিচিত। এই পদ্ধতির চাষাবাদে ঘাস, কচুরিপানা এবং অন্যান্য উদ্ভিদ দিয়ে 'বীজতলা' তৈরি করে এতে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষ করা হয়। গত ১৫ ডিসেম্বর এফএওর সদর দপ্তর রোমে 'বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ কৃষি উত্তরাধিকার পদ্ধতি' (জিআইএএইচএস)-এর বৈজ্ঞানিক কমিটির যৌথ বৈঠকে এই স্বীকৃতির কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।
এ উপলক্ষে উল্লিখিত তারিখে এফএও প্রকাশিত এক নিবন্ধে বিস্তারিত তথ্য ও বিবরণ তুলে ধরা হয়। নিবন্ধে বলা হয়, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা, প্রাচ্য ও এশিয়ার ১৫টি দেশের মোট ৩৬টি পদ্ধতির চাষাবাদকে জিআইএএইচএস হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জাপানের রয়েছে ৩টি পদ্ধতি, যা বাংলাদেশের সঙ্গে ওই দিন এফএওর স্বীকৃতি পেয়েছে।
সংস্থার উপ-মহাপরিচালক মারিয়া হেলেনা সেমেডো এ প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক পরিবেশ এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের আলোকে পারিবারিক উত্তরাধিকার ও ক্ষুদ্র আঙ্গিকে কৃষিচাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে আবহাওয়াগত পরিবর্তনের কারণে ঐতিহ্যগত কৃষি ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার সমাধান দিতে পারে_ যদি পর্যাপ্ত কৌশল ও বিনিয়োগ সরাসরি এ কাজে সম্পৃক্ত কৃষকদের কাছে পৌঁছায়। কেননা এ পদ্ধতির কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে 'টেকসই পল্লী উন্নয়ন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ' করা সম্ভব।
২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে এফএও বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ কৃষি উত্তরাধিকার পদ্ধতির ধারণা চালু করে। সম্প্রতি সংস্থার ৩৯তম অধিবেশনে এটি সদস্য দেশগুলোর অনুমোদন পেয়েছে।