369
Published on ডিসেম্বর 14, 2015পুষ্পস্তবক অর্পণের পর দেশের কৃতি সন্তানদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। এ সময় বিউগলে অন্তিম সুর বেজে ওঠে।
মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিসৌধে আরেকবার পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা তার পাশে ছিলেন।
পরে, প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন।
প্রধানমন্ত্রী পরে ধানমন্ডিতে যান এবং সেখানে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ করার পর তিনি স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা পরে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের স্থানীয় দোসরদের সঙ্গে নিয়ে অধ্যাপক, সাংবাদিক, শিল্পী, প্রকৌশলী ও লেখকসহ ২ শতাধিক বাঙালি বুদ্ধিজীবীকে তুলে নিয়ে যায়।
বুদ্ধিজীবীদেরকে চোখ বেঁধে নগরীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগ ও অন্যান্য স্থানে নির্যাতন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে, তাদেরকে বিভিন্ন বধ্যভূমিতে বিশেষ করে রায়েরবাজার ও মিরপুরে হত্যা করা হয়।
এ দিনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।