364
Published on ডিসেম্বর 9, 2015সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ভিশন-২০২১ ঘোষণার জন্য আমি গর্ববোধ করি। মাত্র ৬ বছরের মধ্যে আমরা দেশে পরিবর্তন এনেছি। ৬ বছর আগে দেশে ডিজিটাল বলতে কিছুই ছিল না। ইন্টারনেটে আমাদের অংশগ্রহণ ছিল মাত্র ৩ শতাংশ। এখন তা ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। আমরা ব্যাকআপ হিসেবে ৬টি সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করেছি, যাতে আমাদের ইন্টারনেট যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে না যায়।
তিনি গত বুধবার নগরীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিজনেস প্রোসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সম্মেলন-২০১৫ উদ্বোধনকালে একথা বলেন।
আইসিটি বিভাগ এবং বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার এ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বিএসিসিও) উদ্যোগে আয়োজিত এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি।
এতে এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ, আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, জাতীয় সংসদে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ এমপি ও ডাব্লিউআইটিএসএ চেয়ারম্যান সান্তিয়েগো গুটিয়েররেজ অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন।
জয় বলেন, ৬ বছর আগে আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করি তখন এখাতে রফতানির পরিমাণ ছিল ২৬ মিলিয়ন ডলার এবং প্রোগ্রামার ছিল মাত্র কয়েক হাজার। এখন আইসিটি খাতের রফতানি ৩শ’ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে এবং ২ লাখ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে বিপিও খাতে ২৫ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে। বাংলাদেশে ৬ বছর আগে বিপিও নামে কোন খাতও ছিল না।
দেশে আইটি শিল্প প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকারের প্রাথমিক প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, সে সময় দেশে বিপিও খাত গড়ে তোলার মতো কোন সুযোগ-সুবিধা ছিল না। কোন বিদ্যুৎ ছিল না এবং কোন কানেক্টিভিটিও ছিল না। এর দামও এতো বেশি ছিল যে মাত্র গুটিকয়েক বড় কোম্পানি এটা ব্যবহার করতে পারতো।
আগে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা লোডশেডিং ছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ ছাড়া আউটসোর্সিং ও আইটি শিল্প স্থাপন করা যায় না। বর্তমানে বাংলাদেশে লোডশেডিং বলতে কিছু নেই।
তিনি বলেন, গত বছর ৩০ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আগামীতে আউটসোর্সিং ও সফটওয়্যার খাতে বছরে ৫০ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ৬ বছর আগে কেউ এ ধরনের স্বপ্ন ও ভিশনের কথা ভাবতেও পারতেন না।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘বর্তমানে বিপিও খাত থেকে ১শ’ মিলিয়ন ডলার আয় হচ্ছে। আগামীতে তা ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এখন এ খাতের ২৫ হাজার কর্মসংস্থান পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যে ২ লাখেরও বেশি হবে। ভিশন ২০২১ লক্ষ্য নির্ধারণে আমি গর্বিত।’
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, দেশব্যাপী সাড়ে ৫ হাজার ডিজিটাল কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা থেকে আইটি প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে হাজার হাজার মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু হয়েছে।
তিনি বলেন, ৬ বছর আগে আমাদের কেবল ২জি কানেক্টিভিটি ছিল। এখন আছে ৩জি। শিগগিরই ৪জি আসছে। মধ্যম আয় নয়, আমরা উন্নত দেশে উন্নীত হতে চাই। এটাই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিশন।
দু’দিনের এ সম্মেলনে কর্পোরেট, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি পর্যায়ের ক্রেতাসহ ২০ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি যোগ দেবে। এতে ৫০ হাজারের অধিক সংশ্লিষ্ট কমিউনিটির ভিজিটর ১০ জনের বেশি বিদেশী বিশেষজ্ঞ তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সম্মেলন স্থলে তাৎক্ষণিক নিয়োগের (স্পট রিক্রুটমেন্ট) সুবিধা রয়েছে।