286
Published on ডিসেম্বর 2, 2015প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এ অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গীবাদী তৎপরতার জন্য বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।
বুধবারে ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার পঙ্কজ সরণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে এ অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
এ দেশের উন্নয়নে প্রতিবেশী দেশগুলোর আরো সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করছি। এ জন্য প্রতিবেশীদের কাছ থেকে আমাদের আরো সমর্থন ও সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আনুষ্ঠানিক সফরের পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক সফরের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, যে কোন দেশের উন্নয়নে প্রতিবেশীদের সহযোগিতা আবশ্যক।
স্থল সীমান্ত চুক্তি নিয়ে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ঐতিহাসিক চুক্তি অনুসমর্থনে ভারতের পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ লোকসভা ও রাজ্যসভার সব সদস্যক প্রথমবারের মতো এক ও অভিন্ন অবস্থানে দেখা গেছে।
তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণ ও সরকারের অকুন্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ভারত কেবল সমর্থনই দেয়নি সে সঙ্গে বিপুল সংখ্যক মানুষের আশ্রয় ও খাদ্যের সংস্থানও করেছে।
বাংলাদেশে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য ভারতের হাই কমিশনারকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকায় তার কার্যকালে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ও দিল্লীর মধ্যকার সম্পর্ক অধিকতর সুসংহত করতে বিদায়ী দূতের ব্যাপক অবদান ও সহায়ক ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, বিদায়ী হাইকমিশনারের কার্যকালে নিরাপত্তা, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, ব্যবসা-বাণিজ্য, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং দু’দেশের জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কসহ সব খাতে সহযোগিতা ব্যাপকভাবে বিকশিত হয়েছে।
পঙ্কজ সরণ ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, এ সফরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নব অধ্যায়ের উন্মোচন এবং নতুন মাত্রা সংযোজনের পাশাপাশি ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত তার সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় এ কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সুবাদে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্রে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুণমুগ্ধ। দু’দেশের এ সম্পর্ককে গতিশীল ও ব্যাপক অভিহিত করে পঙ্কজ সরণ বলেন, এতে কোন সমস্য দেখা দিলে তা আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবে।
তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ এখন জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করছে। সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে।
তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি বিশেষ করে বিগত ৬ বছর থেকে ৬ শতাংশের উপর জিডিপি প্রবৃদ্ধির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশীদের জন্য ভারতের ভিসা প্রদান সম্পর্কে তিনি বলেন, চলতি বছর ইতোমধ্যে সাড়ে ৬ লাখ ভিসা দেয়া হয়েছে এবং আগামী বছর তা ৭ লাখে উন্নীত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো: আবুল কালাম আজাদ অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পঙ্কজ সরণ ২০১২ ভারতের হাইকমিশনারের দায়িত্ব নিয়ে ঢাকা আসেন। তিনি পরবর্তীতে একই দায়িত্বে রাশিয়ায় নিয়োগ পেয়েছেন। বাংলাদেশে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন বর্তমানে থাইল্যান্ডে ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা।