309
Published on নভেম্বর 25, 2015বুধবার গণভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রত্যন্ত দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতায় গ্রামীণ ফোনের থ্রিজি নেটওয়ার্ক উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে এবং তাদের জীবনযাত্রার মানও উন্নত হয়েছে। এজন্য তারা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা ব্যবহার করে ভালভাবে জীবনযাপন করতে চায়। সরকারও জনগণের এ প্রত্যাশা পূরণ করতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আইসিটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ক্রমান্বয়ে এর চাহিদাও বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে ইন্টারনেট ও অন্যান্য ডিজিটাল সেবার স্পিড বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ স্থাপনে ইতোমধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ব্যান্ডউইথ’র স্পিড বৃদ্ধি এবং আইসিটির ব্যবহার বাড়াতে অন্যান্য প্রযুক্তিগত বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন লালমনিরহাট প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন, গ্রামীণ ফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব শেঠি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব এম ফাইজুর রহমান চৌধুরী এবং সরকারের ও গ্রামীণ ফোনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এ সময় গণভবনে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তথ্য-প্রযুক্তি আজ ব্যাপকভাবে সামাজিক উন্নয়নে ব্যবহার হচ্ছে। যত বেশি ব্যবহার হচ্ছে, চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সেই সাথে সাথে গতিটাও বৃদ্ধি করা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের পাশাপাশি দেশের ৮০০০ পোস্ট অফিসের মধ্যে ৩৫০০ পোস্ট অফিসকে ডিজিটাল সেন্টার পরিণত করা হয়েছে। বাকিগুলোও করা হবে।
দহগ্রামের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছিটমহল না হলেও ভারতের করিডর ব্যবহার করে সেখানে পৌঁছাতে হত। তার সরকারের উদ্যোগে সেখাতে চলাচলের জন্য প্রথমে ছয় ঘণ্টা পরে ২৪ ঘণ্টা করিডর খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
লালমনিরহাটসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।